কোনো দিন জ্যোৎস্না বিধৌত আকাশের নিচে
যাওয়া হয়নি, নীলাচল ছেড়ে তীর্থ ভ্রমণে,
একাকী নির্জনে।
পুষ্প কাননের কোনো সুবাসিত ফুল ছুড়ে
দেইনি নদীর স্রোতে, দিন হতে দিনান্তরে,
সমান্তরাল যুগান্তরে।
যদি কোনো দিন কালো মেঘে ছেয়ে যায় আকাশ, আমার জন্য প্রতিক্ষা করো, আকাশ
থেকে মহাকাশে, ঘূর্ণায়মান হবে স্মৃতি,
যুদ্ধ প্রতিরোধের মিছিলের মতো,
যেন স্বপ্নের অনুপল।
ভূতপূর্ব বিষণ্ন মানুষ, ক্লান্তিমাখা অবসাদ,
নুয়ে অপমানিত শরীরে, নেই ছায়ায় কোনো
স্থিরতা নেই, থাকবেও না।
চলার পথে আঁধার দেখি, আঁধার নেশায়
মিথ্যে হাসি, উষ্ঠের উদাস, চূর্ণ অলক,
অন্য এক পদশব্দ, যেন স্বপ্নের অনুপল।
\হআমি শুনিনা নিঃশ্বাস, লন্ডভন্ড হাওয়া
উড়ে যায়, নক্ষত্ররা জায়গা বদলায়, মধ্য রাতের
দর্পণে আমি, ক্ষতি নেই, কোনো ক্ষতি নেই,
যা ছিল না, হবেও না, শূন্য গোলকধাঁধায়, আরও
বিশালতায়, যেন স্বপ্নের অনুপল।
কষ্টের বন্যায় করি অবগাহন, সৃষ্টি বিহীন
উলস্নাসে অবচেতন, ফুলের মতো বাগানে ফুটি,
বিরহে-ই শুধু দাঁড়িয়ে উঠি, ঈশ্বর গড়নে।
বিবর্তনের মুখে উত্তরসূরির মতো শতাব্দীর
ভগ্নস্তূপ, অকৃপণ নিয়ন্ত্রণ রেখায়, যেন স্বপ্নের
অনুপল। আমার কাছে কালাগ্নি রাতের
প্রহর ক্ষিণই মনে হয়, মারাত্মক দহনের
ব্যাপকতায়, যেখানেই দাঁড়াই, দেখি ভুলেই
দাঁড়িয়েছি, একাকী অবেলায়,
যেন স্বপ্নের অনুপল।