মোংলায় নানা আয়োজনে কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

প্রকাশ | ২১ জুন ২০২১, ১৯:৫৭

মোঃ ইকবাল হোসেন, মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

 

মোংলায় নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে গতকাল কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র  ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। ’ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’ গানের স্রষ্টা তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্রের সামাধি মোংলার মিঠাখালেিত আজ সকালে পুস্প ও শ্রদ্ধাঞ্জলির অর্পন করে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। এ সময় প্রায়ত কবির আত্মার মাগফেরাত কামনা দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে  সকাল ১০টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কবির স্মরণানুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রুদ্র সংসদের সভাপতি সুমেল শারাফাত। এ ছাড়া ভার্চুয়াল স্মরণানুষ্ঠানে বিশিষ্ট নাট্যকার মামুনুর রশিদ, পিআইবি’র মহাপরিচালক কবি জাফর ওয়াজেদ, খ্যাতিমান গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর, কথা সাহিত্যিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক খান, মোংলা উপজেলা নির্বাহি পরিচালক কমলেশ মজুমদার, রুদ্র অনুজ আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ফটো সাংবাদিক আবীর আব্দুল্লাহ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট মোংলার আহ্বায়ক সাংবাদিক মোঃ নূর আলম শেখ অংশ গ্রহন করেন।

 

অকাল প্রয়াত এই কবি যাবতীয় অসাম্য, শোষণ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন। একই সঙ্গে তাঁর কাব্যের আরেক প্রান্তর জুড়ে রয়েছে স্বপ্ন, প্রেম ও সুন্দরের মগ্নতা। দেশ ও জাতির সংকটে রুদ্রের কবিতা হয়ে উঠেছে তারুণ্যের দীপ্র হাতিয়ার। মাত্র ৩৫ বছরের (১৯৫৬-১৯৯১) স্বল্পায়ু জীবনে তিনি সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ সহ অর্ধ শতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন। পরবর্তীকালে এ গানটির জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি প্রদত্ত ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন।‘উপদ্রুত উপকূল’ ও ‘ফিরে চাই স্বর্নগ্রাম’ কাব্যগ্রন্থ দুটির  জন্য ‘সংস্কৃতি সংসদ’ থেকে পরপর দু’বছর ‘মুনীর চৌধুরী সাহিত্য পুরষ্কার লাভ করেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেন।

 

যাযাদি/এস