শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
গ্র ন্থা লো চ না

গাঁও গেরামের কাব্য

নতুনধারা
  ২৫ জুন ২০২১, ০০:০০

কবি আলমগীর খোরশেদ। বারোভূঁইয়াদের শ্রেষ্ঠ বীর ঈশা খাঁর স্মৃতিবিজড়িত, বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতীর জন্ম স্থান কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার নারান্দী গ্রামের ছায়াশীতল পরিবেশে তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। ছোটবেলা থেকেই তার লেখালেখির হাতেখড়ি। ছাত্রাবস্থায় আলমগীর খোরশেদের কবিতা 'ভালোবাসা ও স্টেন গান' এবং গল্প 'একজন রানুদির গল্প' ছাপা হয় ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত দৈনিক জাহান ও সাপ্তাহিক বাংলার দর্পণ পত্রিকায়। তারপর সিলেটে থাকাকালীন দৈনিক সিলেটের ডাক ও দৈনিক যুগভেরী পত্রিকায় তার বেশকিছু লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে তিনি ইত্তেফাক, যায়যায়দিন, বাংলাদেশ প্রতিদিন, মানবকণ্ঠসহ বেশ কটি জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিকে নিয়মিত লিখছেন। তার বেশ কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তার 'গাঁও গেরামের কাব্য' কিশোর জেলার আঞ্চলিক ভাষায় রচিত ছড়ার সম্ভার। আলোচ্য বইয়ের উলেস্নখযোগ্য ছড়া হচ্ছে- ঘরের মাইনসের মন খারাপ, মনের কষ্ট, বিশ্বকাপ ফুটবল, পোড়াবাড়িয়ার মেলা, কেমনে আমি বাঁচি, মা বাবার কবর, বগার বাসা, মনে পড়ে, মেঘলা দিনের কথা, গাঁয়ের কথা, বড়শিতে মাছ ধরা আইসক্রিমওয়ালা, জঙ্গলের ডর, করম আলীর কথা, করোনারে ডরায় কেলা ও গাঁও গেরামের কাব্য।

গাঁও গেরামের কাব্য গ্রন্থে তিনি যে আঞ্চলিক ভাষার প্রয়োগ ঘটিয়েছেন, তা অসাধারণ। শিরোনাম ছড়ায় তিনি লিখেছেন- বন্দো কামলারা ধান কাডে/নাস্তাক্কাদি ভরা জাও/ফুনহা মইচের চেফা ভর্তা/যহন যেইডা বাও।

করোনা আফা ছড়ায় তিনি লিখেছেন- চাচামিয়ারে জিগাইলাম, চাচা করোনা কী জানোইন/হাঁইসেসয়া দিয়া কইলাইন সরহারে টেলিভিশানো দেহায়া।

শীতের পিডা ছড়ায় তিনি লিখেছেন- শীতের সময় পিডার ধুম/ নতুন ধানের চাল/জিয়াফত খাইতো আইয়ে জামাই/আনে নিনেয়া তাল।

প্রকৃত অর্থে সাহিত্যে আঞ্চলিক ভাষার প্রয়োগ ঘটানো কঠিন কাজ। সেই কাজটিই তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করেছেন। ব্যতিক্রমধর্মী একটি বই লেখার জন্য কবি আলমগীর খোরশেদকে ধন্যবাদ। বইটির বহুল প্রচার কামনা করছি।

গাঁও গেরামের কাব্য

আলমগীর খোরশেদ

প্রকাশনা সংস্থা- জাগৃতি প্রকাশনী

প্রচ্ছদ- মোস্তাফিজ কারিগর

মূল্য- ২০০ টাকা

মনির হোসেন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে