আমি সমুদ্রের সীমানা চাই,
মানচিত্রের মানদন্ডে, সমুদ্রের কাছে হাজির
হলেই সমুদ্রকে সরল মনে হয়, বুঝতেই পারা
যায় না, ওর রাগে মাঝে মধ্যে ভয়াবহ তান্ডব
লীলার নশ্বর আলিঙ্গনের উদ্ভব, প্রচন্ড ঝড়ো
হাওয়ার সাথে ও খেলা করে, তারপর সাগর,
বিশালতায় পরিপূর্ণ।
যদি এমন হতো, সমুদ্র পাড়ের বিস্তীর্ণ বায়ু
ভূমিতে দাঁড়িয়ে থেকে শপথ নেওয়া, পবিত্রতার সাথে
হাওয়ায় উড়বে চোখের জল, তাহলে যুদ্ধ জয়ের
হাসিটা থাকতো।
মৃতু্য দেখে শৈশবে ফিরে যাওয়ার উপায় নেই,
অমরত্বের অবান্তর হাসিতে অপ্রতিভ সম্ভাষণ, দৃষ্টি
জানে সৃষ্টির পুণ্যতা, আমি শরীরির বাদী নই, অশীরিকে
ভয়ও করি না, দুর্নিবার স্মৃতির কুহেলিকা দুঃখের
হিম ছায়া বটে।
দীর্ঘ ছায়া দাঁড়ায় না দ্বারে, রূপ রস কেবল
রক্ত শোষার উন্মাদ প্রেমের পরোক্ষ ভরসা,
অনুপযুক্ত বন্ধন রচনার আষ্টেপৃষ্ঠে বন্দিত্ব বার্তার
সূক্ষ্ণ আহ্বান।
সাগর সাগরের জায়গায়, নদী নদীর জায়গায়,
কিন্তু আমি আমার জায়গায় থাকতে পারি না, দুঃখ,
কষ্ট, যন্ত্রণার মধ্যেই আমার অধিষ্ঠান, এ আমার
অপরিশোধ্য ঋণ, প্রার্থিত প্রাচীন গমনে আমি
সমুদ্রের সীমানা চাই।