ও বাঁশিওয়ালা!
প্রকাশ | ২৫ জুন ২০২১, ০০:০০
রওশন মতিন
স্রোতঃস্বিনী নদী যে বাঁশিওয়ালার বাঁশির মোহন সুর, রঙিন
পাপড়ি ফুলের-ঢেউয়ে ঢেউয়ে সবুজ পাতার নাচন,
পেখমমেলা কিশোরী এক ফণাতোলা খোলা কালো
চুলের, উপচে পড়া দুধের ফেনায় সলাজ বধূর
ঘোমটা দেয়া আধো আধো মুখ, হীরামন পাখি তুই,
বাঁশিওয়ালার মোহন বাঁশির মধুর সুরে উথলে ওঠে
রূপকথার সুখ। দূর বিজনে পাখপাখালির ডানায়
ঘুরে উড়ে উড়ে আউল-বাউল দরবেশী-বট ডাকছে তাকে,
পাখির ডানায় বাঁশি যেন উড়ে উড়ে সুরে সুরে
নীল-সবুজে বাঁশিওয়ালার ছবি আঁকে, উপচে পড়া
দুধের ফেনায় উথলে ওঠা সুখ, বাঁশিওয়ালার বাঁশির
মধুর সুরে সলাজ বধূর বুক করে ধুক্ পুক্।
স্বাধীনতা- অস্ত্রের ঝংকারে প্রতিবাদী নিনাদে হৃদমিক
অনুরাগে আঁধার কুয়াশা পেরিয়ে সোনালি উষার-
চির দীপ্তময়ী স্বদেশ তুমি, চেনা-জানা গাঁও-গেরামে
এগাঁও-ওগাঁও মেঠো পথে পথে নীল-সবুজের হাট,
ও বাঁশিওয়ালা! বাজাও বাঁশি মোহন বাঁশির সুর,
রূপকথার অমরাতায় জেগে ওঠো, এইতো আমার
শ্যামল-তন্বী স্বাধীন রাজ্য-পাট।