নন্দিনী, মৎস্যকুমারী ডাকছে আমায়

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

মিল্টন বিশ্বাস
নন্দিনী, হাওয়ায় স্রোতের বিপরীতে ভাবছি তোমায় খুঁজছি তোমায় মাওয়ি দ্বীপের দুরন্ত বালুচরায়। পিলসুজ ঢেউয়ের দোলায় আমার পেখম গেছে বেঁকে দ্বিগুণ বাতাস উথলে উঠে ফেলবে যেন মহাসাগরের জলে। তবু দঁাড়িয়ে মোলোকাই, একাদশী চঁাদের গড়ন যার দেখছি তোমায় নভোলোকের রঙ যেখানে অনন্ত বিস্তার। এরই মাঝে এলো সে দুলিয়ে তরঙ্গ, হাসিতে তার বৃষ্টি মধু মাখা বলল, তোমার রঙটি বেজাই মিঠে, আমার কিন্তু লাল রঙ খুব পছন্দ লানাইয়ের দিকে চেয়ে তারপর সে অস্তগামীর খাবলে নিল অলিন্দ বিস্ময় চোখ গেল থেমে, মৎস্যকুমারী ডাকছে আমায় জলধি যেন কম্পিত বিশাখা। নন্দিনী, এ কোন ডাক এলো আজ জলের পরীর আলতা বেগুন পায়ে? কুহুলাউই দ্বীপে যেতে পড়লাম এ কোন তরল পাথর রোদে? চলতে হবে কি মাওয়ি দেবের বর নিয়ে আজ অক‚ল পাথার ছুঁয়ে ? কিলাউয়া অগ্নিস্নানে যে জীবন গেছে তোমার আমার চলে তার সলতে পাকানো বসতি হলো গভীর গভীর মেঘ দোলা কোনো পালে তবু জলের তোড়ে রহস্যময়ী থাকবে জুড়ে তোমার বহ্নি কোলে ?