বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নদীপাড়ের মানুষের উপাখ্যান চরকাশেম

আশরাফ উদ্‌দীন আহ্‌মদ
  ৩০ জুলাই ২০২১, ০০:০০

গ্রামের বিশেষ করে নদীপাড়ের মানুষের সহজাত জীবনের চিত্রার্পণ মধ্য বা নিম্নবিত্তের আত্মাহুতি-অন্তর্যন্ত্রণা-মনোবিকোলন সমস্যা কিংবা মিথ বা ঐতিহ্য চেতনা-শ্রেণিদ্বন্দ্ব-প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতির দাপট ইত্যাদির চেতনাগত আখ্যান নিরূপণে অমরেন্দ্র ঘোষ এক স্বতন্ত্র আঙ্গিকের জন্ম দিয়েছেন বাংলা সাহিত্যে। 'চরকাশেম' সেই ধাঁচের লেখা, যেখানে মানুষকে গভীরভাবে টেনেছে, একেকজন মানুষ যেন হয়ে উঠেছে একেকজন নায়ক, জীবনধারণের যুদ্ধে সবাই সৈনিক, কারো চেয়ে কেউই ছোট নয়, মানুষ মাটি আর যুদ্ধ যেন উপন্যাসের প্রাণ হয়ে ধরা দিয়েছে, এখানে কোনো কৃত্রিমতা নেই, আছে সাবলীল ভাষায় মানুষের সঙ্গে মানুষের আদান-প্রদানের ভাববিনিময়। চরকাশেম'র আপদমস্তক শুধুই সংগ্রাম, জীবনের সঙ্গে আজন্মকালের এই যুদ্ধ যেন শেষ হওয়ার নয়। মাঝি-মালা আর কৃষিজীবী মানুষের এই আমরণ সংগ্রামের দলিল এই উপন্যাস। কিন্তু তারপরও বলতে হয়, বুর্জোয়া সমাজের চেয়ে বাংলার গ্রাম্য সমাজের ব্যক্তি সংকটের স্বভাব ভিন্ন বলে আধুনিকতাবাদী সমালোচকদের কাছেও বইটি তেমন মনোযোগ পায়নি। যার স্বরূপ আমরা গ্রন্থটিকে ভুলে গেছি বেমালুম, হয়তো এটাই স্বাভাবিক।

পাশ্চাত্যের উপন্যাস বিচারের দৃষ্টিকোণ থেকে হয়তো 'চরকাশেম'র এমন অনেক বৈশিষ্ট্য চোখে পড়বে যাকে পাশ্চাত্যয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে সীমাবদ্ধতা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের ভৌগলিক-সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবনযাত্রার পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় এর চরিত্রগুলোর মধ্যে এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে তাকে দুর্বলতা বা সীমাবদ্ধতা হিসেবে বিবেচনা করা সমীচীন হবে না। এই উপন্যাস নিয়ে কিছু মানুষের তো আগ্রহের অন্ত নেই, উপন্যাসটি সহজ ভাষায় সরল স্বরে জীবনের জটিল ও গভীর সমস্যাবলির কেন্দ্রমূলে পৌঁছে গেছে সরাসরি। 'চরকাশেম' পাঠ করে আধুনিক প্রজন্ম নতুন করে খুঁজে পাবে অমরেন্দ্র ঘোষকে, তার উদার অসাম্প্রদায়িক মানবিকতা বোধ, গভীর সমাজ-মনস্কতা-নির্যাতিতের প্রতি স্বাভাবিক মমত্ব এবং গল্পকথনের সরল অনাড়ম্বর ভঙ্গি ও স্বর 'চরকাশেম'কে দিয়েছে এক স্বতন্ত্র মর্যাদার আসন। দরিদ্র মাঝি-মালস্নাদের নিয়ে রচিত 'চরকাশেম' বাংলা সাহিত্যে এক অবিস্মরণীয় জীবনালেখ্য, জীবনকে এতটা কাছ থেকে আর ক'জনই বা দেখেছেন, কারণ সে যে জীবনশিল্পী, সবচেয়ে বড় কথা নিজেও একজন হতদরিদ্র মানুষ ছিলেন। নিজের জীবনের অধিকাংশ দিন দুঃখ আর দারিদ্রের মধ্যে কেটেছে, সাতচলিস্নশের দেশ ভাগের পর পূর্ববাংলা অর্থাৎ পাকিস্তান ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় চলে যায় এবং স্থায়ী বাসা বাঁধেন। তারপর শুরু করে আবার সাহিত্য জীবন, লেখকের ভাষায় নতুন জীবন। জীবন-সংগ্রামে ব্যতিব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও অক্লান্তভাবে লিখে গেছেন জীবনের ইতিকথা বা পঁ্যাচালি। মানুষের গল্প, মানুষ যে সেও, সেটাই সত্য করে তুলে ধরার মধ্যে পেয়েছেন এক শক্তি, আমরণ ক্ষমতা।

অমরেন্দ্র ঘোষের প্রথম উপন্যাস 'দক্ষিণের বিল' ১ম ও ২য় খন্ড, তারপর হলো 'চরকাশেম' যথাক্রমে অন্য উপন্যাসগুলো, 'পদ্মদীঘির বেদেনী,' 'ভাঙছে শুধু ভাঙছে,' 'মন্থন,' 'কে-আইনী জনতা,' 'কনকপুরের কবি,' 'জোটের মহল,' 'একটিসঙ্গীতের জন্মকাহিনী,' 'ঠিকানাবদল,' 'অহল্যাকন্যা,' 'রোদন ভরা এ বসন্ত,' 'মন দেয়া নেয়া,' নাগিনীমুদ্রা,' 'কলেজ স্ট্রীটের অশ্রম্ন' ইত্যাদি। একমাত্র ছোটগল্প সংকলন 'কুসুমের স্মৃতি', তাছাড়াও বেশ কয়েকটি লেখা এখনো অপ্রকাশিত। এ সমস্ত রচনায় তিনি নানান ধরনের মানুষ ও তাদের জীবন-জীবিকা সংগ্রামকে তুলে ধরেছেন, এই তুলে ধরার মধ্যে আছে এক গভীর প্রত্যয়। 'দক্ষিণের বিল' উপন্যাসে তার পারিবারিক জীবনের পরিচয় পাওয়া যায়। দেশ ভাগের পর অমরেন্দ্র ঘোষ পুরোপুরি সাহিত্য সাধনায় নিজেকে নিয়োজিত করেন, দারিদ্র্যতাড়িত উদ্বাস্তু অমরেন্দ্র ঘোষকে শুধু জীবিকা অর্জনের জন্যই নয়, সাহিত্যক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা লাভের জন্যও কঠিন সংগ্রাম ও প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু সাহিত্য সৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ ও দীর্ঘআয়ু লাভ করেনি। মাত্র ৫৫ বছর বয়সে অশেষ দুঃখকষ্ট ও রোগভোগের পর ১৯৬২ সালের ১৪ জানুয়ারি মৃতু্যবরণ করেন।

অমরেন্দ্র ঘোষের 'চরকাশেম'-এ আমরা পাই পূর্ববাংলার মাঝি-মালস্না-জেলেদের সহজ সরল জীবনের বাঁকে কঠিন এবং জটিল জীবনের অন্যরকম অংক, সে অংক কতটা ভয়াবহ তা 'চরকাশেম'র পরতে-পরতে স্পষ্ট প্রত্যক্ষ করা সম্ভব, পটভূমি বিশাল, চরিত্র অনেক- যা ডালপালা বিস্তার করে এগিয়ে গেছে বিভিন্ন গন্তব্যে, এই সমস্ত চরিত্র, যাদের রাষ্ট্রের কাছে জীবন উপভোগের চেয়েও একটু খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকাটাই শ্রেয়। উপন্যাসের নাম দেখেই অনুমান করা সহজ হয় কাশেমের নানার জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় এবং একপর্যায়ে তা জেগে ওঠে, জলকরের বিনিময়ে সরকারের কাছ থেকে কাশেম উদ্ধার করে। সেখানে আবার জনবসতি গড়ে তোলে। সমতল ভূমি থেকে মানুষগুলো সেখানে যায় এবং গড়ে ওঠে বাঁশবাকারি আর টিন দিয়ে বাড়ি ঘর। তারপর শুরু হয় জীবন সংগ্রাম। কাহিনির পটভূমি চরকাশেম'র অধিবাসী, যারা সমতল ভূমি থেকে স্বেচ্ছায় গিয়ে বাসা বাঁধে, যাদের নিয়ত সংগ্রাম জলজমি আর মাছের জন্য। সাদামাঠা ভাষায় এরা সবাই চরকাশেম'র জেলে-মাছি-মালস্না, নদীর খেয়াল খুশির ওপর নির্ভর করে চরের আষু, নির্ভর করে হতদরিদ্র মানুষের বেঁচে থাকার স্থায়িত্ব, বেঁচে থাকার মন্ত্র। নদীর ইচ্ছেমাফিক আনন্দে চর জাগে আবার তলিয়ে যায় কখনো, ক্ষণিকের এই ভালোবাসার রূপ বড় নির্মম, তা শুধু নদীবেষ্ঠিত মানুষজনই বোঝে।

আবু ইসহাক'র 'পদ্মার পলিদ্বীপ' পদ্মা তীরবর্তী মানুষের জীবনের রোজনামচা, পদ্মার ভাঙাগড়ার মতো এখানকার মানুষের জীবন ভাঙাগড়ার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়, ফজল বা জঙ্গুরুলস্নার সংখ্যা এখানে কম, খুনের চর দখল-পুর্নদখলের ইতিবৃত্ত উপন্যাসের প্রধান ঘটনা হলেও নানান শাখা-প্রশাখার ভেতর দিয়ে কাহিনি তার নিজস্ব বেগে ছুটেছে, কঠিন একটা মাত্রা পেয়েছে। কিন্তু অমরেন্দ্র ঘোষের 'চরকাশেম'র কাহিনিতে এসেছে আরো নতুনত্ব, জীবনের অন্য একটা স্বাদ। মেছো হাসেমের ছেলে কাসেম, যার নামে চরকাশেম, তার নানার তালুক নিরানব্বই কানি জলমগ্ন, ফুলমনদের বাড়ি থেকেই বড় সে এবং একটু একটু ভালোবাসার রঙ গাঢ় হয় ওর চোখে। কিন্তু ফুলমন ছিল বেশ জেদি এবং অহংকারী, কখনোই তাকে পাত্তা দেয়নি, বরং তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যে কাশেমকে দূরে সরিয়ে রাখে। প্রান্তিক মানুষের প্রতি সামন্তবাদের যে দ্বন্দ্ব তা স্পষ্ট ধরা দিয়েছে এখানে। তারপরও কাশেম নাছোরবান্দা, জড়িয়ে ধরে, অনেক দিনের আক্রোশের শোধ নেয়। মানুষে মানুষে যোগাযোগ যে একটা জটিল সামঞ্জস্যপূর্ণ বিষয়, তা মনোবিশ্লেষক ভাষাবিজ্ঞানী ও দার্শনিকরা যুগে যুগে টের পেয়েছেন, এখনো টের পাচ্ছেন; মানুষ মূলত একা, এ এক কঠিন গভীর এবং জটিল দার্শনিক অভিজ্ঞতা।

উপন্যাসের পটভূমি বিশাল, ছোট-বড় অনেক মানুষের জীবনপ্রণালি এখানে ফুটে উঠেছে চরকাশেমকে কেন্দ্র করে, বিভিন্ন মানুষ এসেছে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে, তারা জানে না মানুষ কেন বাঁচে, এই বেঁচে থাকার মধ্যে কোনো সার্থকতা আছে- কি নেই, তাও কেউই জানে না, তারপরও মানুষ বাঁচে, একটু আশ্রয় চায়, বেঁচে থাকার জন্য ছোট্ট একটু আবাস, জীবনধারণের জন্য অন্ন, আর কোনো চাহিদা নেই। এমনই সাবলীল জীবনের চিত্র বাংলাদেশ নামের এই ভূখন্ড। 'চরকাশেম'র প্রধান চরিত্র কাশেমকে ঘিরেই কাহিনি বিস্তার ঘটেছে, তার নানার নিরানব্বই কানি জলমহলের ওপর আধিপত্য বিস্তার এবং আশ্রয়দাতার জেদী আর অহংকারী মেয়ে ফুলমন ও রহিমের স্ত্রী আঞ্জুমানের উপস্থিতি উপন্যাসের শিল্প সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে, চরের জীবনের ভাঙা-গড়ার বৃত্তান্ত গভীর থেকে গভীরতর হয়েছে জীবনের প্রয়োজনে। জলবেষ্টিত চরকাশেমকে ঘিরে মানুষের হাজারো স্বপ্ন জেগেছে, নানান রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে তাদের পোড় খাওয়া জীবন, এখানে কাশেম নায়কের মর্যাদা পেয়েছে সহজে, ফুলমনকে পাওয়া এবং জয় করা, আঞ্জুমানও চেয়েছে কাশেমকে জড়িয়ে নিজের জীবন সমৃদ্ধ করা।

চর ও সমতল ভূমির সংঘাত সমান্তরায় প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই মানুষের মধ্যে, এই সংঘাত চিরাচরিত রূপ পেয়েছে চরকাশেমে, তারপর কাশেম একজন আশ্রিতা হয়েও মনিবের মেয়ে ফুলমনকে ভালোবাসতে পারে এবং জয় করতে পারে তাও দেখানো হয়েছে, জোর করে বিয়ের আসর থেকে একতরফা প্রেমকে বাস্তবে প্রাণ দেওয়ার জন্য ছিনিয়ে এনেছে ফুলমনকে, তারপর চরকাশেমে সংসার পেতেছে, সে সংসার সুখের না হোক, প্রাচুর্য না থাকুক, ছিল অপার শান্তি তা অবশ্য একটু একটু অনুধাবণ করতে পারে ফুলমন। ফুলমনকে যখন নিতে আসে ওর স্বজনরা তখন সে যায়নি, ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও যেতে পারেনি কি এক টানে, এখানে তা বেশ স্পষ্ট দেখানো হয়েছে। তখন তার মধ্যে অন্যরকম প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। কালক্রমে চরের তাবৎ মানুষই তার আপন হয়ে যায়, রসময়-প্রমীলা-রহিম-ফরিদ-হাফেজ-সন্ধ্যামণি-জীবন পিওন-মকবুল চাপরাশী-নিবারণ-আঞ্জুমান-কুঞ্জদাস-নিমাই প্রভৃতি চরিত্রগুলো ঘুরে ফিরে এসেছে কাহিনির প্রয়োজনে। চরকাশেমের বিষয়, ঘটনাংশ ও প্রকরণ পরিচর্যার বাংলা কথাসাহিত্যের ধারার দাবি করতে পারে স্বকীয় এক অবস্থায়। কাহিনিকে অকারণে যে দীর্ঘ করেছে এমন নয়, প্রয়োজনে কাহিনি বেড়েছে নিজের ছন্দে যা আমরা লক্ষ্য করি। নদীবেষ্ঠিত ক্লাসিক উপন্যাসগুলো পাঠককে অন্যরকম আনন্দ দেয়, নদীর ভাঙা-গড়া, নদীর ওপর নির্ভরশীল মানুষের জীবন ধারণের বিচিত্র পেশা ওঠে আসে নানান রূপে এবং কৌশলে- যা নাড়া দেয় মনকে, ভাবায় আরো বেশি। তবে ক্যানভাসের সুবিশালতার কারণে হোক আর চরিত্র বপণ ও পরিসুদ্ধতার চাপেরই হোক না কেন দাদন ব্যাপারী বা সুদখোর মহাজনরা প্রায় অন্ধকারেই রয়ে গেছে এ উপন্যাসে।

নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদী ও নদী কেন্দ্রিক জীবন নিয়ে লেখা উপন্যাসের সংখ্যা নেহাৎ কম নয়। উলেস্নখযোগ্য উপন্যাসে নদী এবং নদীপারের মানুষের সুখদুঃখের গালগল্প সংগ্রাম যেভাবে এসেছে, সবই তা পূর্ববাংলার জীবনভিত্তিক, যেখানে সাহিত্যিক ভাবনা সীমিত হলেও সচেতনভাবে প্রকৃতিকে-জীবনবৈচিত্র্যকে উপস্থাপন করেছেন প্রতীকী ব্যঞ্জনায় নানান চিত্রকল্পের সমন্বয়ে, তেমনি 'চরকাশেম'এ আমরা নদীপাড়ের মানুষের জীবন-জীবিকার ছবি দেখতে পাই। দেখতে পায় সংগ্রামমুখর জীবনের বাস্তব চিত্র- যা এখনো সজীব, কোথাও এতটুকু ফাঁক নেই, ফাঁকি নেই জীবনের কোনো বাঁকে আপস করতে, জীবন যেন এক একটা নদী, সেখানে নানা চড়াই-উতরাই আছে, আছে কিছু সুখ-আনন্দ, তারপরও আরো কোথায় যেন একটা সীমানা, সেই সীমানাকে বারংবার ধরবার চেষ্টা করে গেছেন, 'চরকাশেম'এ তাই জেলেমালস্না-মাঝি ইত্যাদি পেশাসংশ্লিষ্ট মানুষ ঘুরেফিরে এসেছে, নদীর চিরন্তন গতিপ্রকৃতি তথা জোয়ার-ভাটা যাদের দৈনন্দিন জীবন-জীবিকার শক্তিধর নিয়ন্ত্রক, নদী গর্ভোত্থিত ভূমি- যাকে 'চর' বলি, সেই চর জেগে ওঠা ও চর-ভাঙনের সুদূরপ্রসারী প্রভাব যাদের সমগ্র জীবনভাবনাকে চালিত ও নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের নিয়েই এই 'চরকাশেম'। মানুষের মধ্যে মানুষের যে সম্প্রীতি বন্ধন অটুট তা লিপিবদ্ধ হয়েছে বেশ সাবলীলভাবে, এখানে বাস্তবিক কোনো কৃত্রিমতা নেই, আছে উদার ভালোবাসা, নিজের প্রতি নিজের যেমন আবার অপরের প্রতিও তেমন, চরকাশেমে সবাই মিলিত হয়েছে ভালোবাসার ছত্রছায়ায়, আর তাই সময়ের পরিপ্রেক্ষাপটে আজো চরকাশেম চির সবুজ এক উপাখ্যান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে