স্পধার্ ১৯৭১

প্রকাশ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

হাসান হাফিজ
নিবির্চার গণহত্যা ডেকে আনে গণ প্রতিরোধ। বেজে ওঠে যুদ্ধের দামামা। শুরু হয় জনযুদ্ধ। সবার্ত্মক। আমৃত্যু শপথ। পিছু ফেরা নেই। জীবন অগ্নিরই নাম। মুক্তিযুদ্ধ, সে এক জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি। লাভাস্রোত উদ্গীরণ। জ্বলে ওঠা। একমাত্র সত্য সেই। অন্য কোনো লক্ষ্য নেই। মাতভ‚মি শত্রæমুক্ত করাই শপথ। জনযুদ্ধ চারিদিকে। সেঁাদা মাটি বদলে গেছে। হয়েছে পাথর। গ্রামগঞ্জ শহর বন্দর। সবর্ত্রই দুন্দুভি উজ্জ^ল। শুধু প্রতিশোধ। হানাদার শত্রæকে হঠাও। বদলা নাও। দঁাতের বদলে দঁাত। ফোটাও স্বাধীন ফুল। রক্ত ছাড়া যে ফুল ফোটে না। ফুটতে সে আদৌ জানে না। দুনিয়ার ইতিহাসে এরকম নেই। গেরিলা কৌশল সবে শিখে নেয়। ছাত্র যুবা কৃষক শ্রমিক। অস্ত্র হাতে বীর দপের্। শত্রæনিধনের যজ্ঞ চলতেই থাকে। বিজয় কতটা দূর। কত আর রক্ত চাও। আর কত তিতিক্ষা সম্ভ্রম। আর কত পরীক্ষা ধৈযের্র? দিনে দিনে বাড়ে জেদ। জিগীষাও। ক্রোধ বহ্নি বদলে যায় শক্তির অমিত তেজে। বিক্রমে বিপুল। তারপর একদিন। ভোর হয়। অঁাধার জরায়ু-চেরা দিগন্ত নতুন। পুবাকাশে সূযের্র উজ্জ্বল ছটা। রৌদ্র, প্রাণ, জয়, মহা জয়। এই সূযর্ রক্ত দিয়ে নিজ বৃত্ত পূরণ করেছে। এমনই নিয়ম। স্বাধীনতা এসছে প্রত্যয়ে। প্রয়োজনে যুদ্ধ হবে ফের। এই সূযর্ কখনোই অস্তমিত হবে না জেনেছি। হতেই পারে না।