অন্ধকারের প্রহরীগণ এখন মোশতাকের
কণ্ঠ ধার করে গাইছে নক্ষত্রের স্তবগীত।
লজ্জায়, ঘৃণায়, অপমানে ফিকে হয়ে
যাচ্ছে পলাশ, শিমুল আর কৃষ্ণচূড়ার
লাল অথচ লম্পটের দাড়িতে মেহেদীর
রঙ কেমন ভুতুড়ে আলো ছড়াচ্ছে।
মজিদ খোদার আরশের নিচে দাঁড়িয়ে
বাকের ভাইয়ের মতো কৌশলে
ঘোরাচ্ছে বেহেশতের দুয়ারের চাবি।
ইতিহাস সাক্ষী, একদিন স্বর্গীয় ষাঁড়
হত্যার দায়ে এমনই দূরের মতো
তোমরাও সব হারিয়ে যাবে উরুক শহর
থেকে। শীতল জলের ধারায় ধুয়ে যাবে
তারাদের সমস্ত ক্লান্তি। কী বিষাদ!
আজও কিছু বৃক্ষের ছায়া বটের তল
থেকে দুঃখ নিয়ে ভেসে গেল স্রোতের
বিপরীতে, হায়!