কবি আসাদ চৌধুরী

প্রকাশ | ০৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

বাসার তাসাউফ
কবি আসাদ চৌধুরীর ‘তবক দেওয়া পান’ বইটি যখন পড়ি তখন আমি থাকি গ্রামে। অনন্তপুর আমার গ্রামের নাম। অজপাড়াগঁা। তখন আমার বয়স কত ছিল মনে নেই। তবে আমি যে তখন স্কুলে পড়তাম তা মনে আছে। আমার বাবা ছিলেন কৃষক। সূযোর্দয়ের আগেই তিনি কাজ করতে মাঠে বের হয়ে যেতেন। তারপর কমর্-কøান্ত হয়ে দিনান্তে বাড়ি ফিরে আসতেন সূযর্ ডোবার পরে। রাতের খাবার শেষে মা বাবাকে পান সাজিয়ে দিতেন, তবক দেয়া সেই পান থেকে যখন হাকিমপুরী জদার্র সুগন্ধ ভেসে আসত, তখন আমিও খেতে চাইতাম। বাবা মুখ থেকে বের করে একটু পান দিতেন আমার মুখে। তবক দেয়া সেই পানের স্বাদ ছিল অমৃত। এরপর শৈশব-কৈশোর পেরিয়ে আমি যখন কলেজে উঠলাম তখন পাঠ্যপুস্তকে পড়লাম কবি আসাদ চৌধুরীর ‘তবক দেয়া পান’ কবিতাটি। তবক দেয়া পান শব্দটির সঙ্গে শৈশবে থেকেই পরিচিতি থাকার কারণে কবিতাটি একটু আলাদা নজর কেড়ে নিয়েছিল আমার। তাই অন্যরকম এক আগ্রহ নিয়ে কবিতাটি পড়েছিলাম। কবিতাটি সম্পকের্ বলার আগে কবি সম্পকের্ কিছু বলে নেয়া যাক...। বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার একটি নিভৃত গ্রামের নাম উলানিয়া। ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের কথা, তখন দেশটা ছিল পূবর্ পাকিস্তান, সময়টা শীতকাল। ফ্রেব্রæয়ারি মাসের ১১তম দিনে এই গ্রামেরই এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছেন আসাদ চৌধুরী। যিনি পরবতীর্ সময়ে ‘তবক দেওয়া পান’ মুখে নিয়ে বাংলা কাব্যেভুবনে অবিভ‚র্ত হয়েছিলেন এবং এখনো এর প্রতিটি অলিতে-গলিতে ফেরি করে বেড়াচ্ছেন। ‘সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছেন’ এ কথাটি বলার কারণÑ এক সাক্ষাৎকারে কবি আসাদ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘...আমার ছেলেবেলার প্রথম অংশটা কেটেছে উলানিয়ায়। মোটামুটি অনেক বড় প্রপাটির্ ছিল আমাদের। আমাদের পরিবারে একটা সময় টাকা গুনত না, সের মেপে মেপে ১০ সের আধা মণ টাকা বস্তা ভরে আমাদের তিনটা বড় মাইট্যার (মটকির) মধ্যে রেখে দেয়া হতো। ওখানে থেকে যখন কাউকে টাকা দিত তখন সের দরে দেয়া হতো...।’ কবি আসাদ চৌধুরী যখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়েন তখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ছুটি’ কবিতাটি পড়ে ফেলেন। কবিতাটি তার মনে গেথে যায়। তখনই তিনি একটা মুক্ত জীবনের স্বাদ পেয়ে যান। এরপর তার জীবনে পরিবতর্ন আসে। তিনি বইমুখী জীবনের ধারক হয় উঠেন। কবির বাড়িতে একটা পাঠাগার ছিল। সেই সুবাদে প্রাথমিকের গÐি পার হওয়ার আগেই তিনি সুকুমার রায়ের ‘আবোল তাবোল’ কাজী নজরুল ইসলামের ‘অগ্নিবীণা’ ‘বিষের বঁাশী’। সুকান্ত ভট্টচাযের্র ‘ছাড়পত্র’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গীতাঞ্জলী’ পড়ে ফেলেন। এসব বই তার মনের ভেতর একটা আলোড়ন তৈরি করে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক শেষে তিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভতির্ হন। সেখানে তিনি শিক্ষক হিসেবে পেয়ে যান অধ্যাপক কাজী দীন মুহম্মদ, মুনীর চৌধুরী, মুহাম্মদ আবদুল হাই, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, নীলিমা ইব্রাহীম, আহমদ শরীফ, আনিসুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের মতো প্রখ্যাত ব্যক্তিদের। আকতারুজ্জামান ইলিয়াস, আবদুল মান্নান সৈয়দ তার সহপাঠী ছিল। ছাত্রজীবন থেকে এসব বিখ্যাত ব্যক্তিদের প্রভাব তার জীবনে এসে পড়ে। তারা-ই তার একক জীবনকে বহুমুখী ধারায় প্রভাবিত করেন। তিনি ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর বিভিন্ন বক্তৃতা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। তখন থেকেই তার শাণিত প্রতিভা বিকশিত হতে থাকে। তিনি আচমকা লেখালেখিতে আসেননি। তার ছোটবেলার সময়টাতে বই ছিল আমাদের দেশের বিনোদনের একটা অন্যতম মাধ্যম। তাদের বাড়িতে রেডিও ছিল, বই ছিল আর ছিল পত্রপত্রিকা। সেই বই কিংবা পত্রপত্রিকা পড়তে পড়তেই তিনি লেখালেখির প্রতি ঝুঁকে পড়েছিলেন। তখন ১৯৬০ খ্রিস্টাবব্দ। আজাদ সুলতান নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। বরিশালে তার ইমদাদীয়া লাইব্রেরি ছিল। তিনি সেই লাইব্রেরি থেকে কবিতার বই কিনতেন। কবিতা পড়তেন তিনি মুগ্ধ, বিমূঢ় হয়ে। রীবন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবননান্দ দাশের মতো কিছু কিছু তাতে আকৃষ্ট করে তুমুলভাবে। তিনি কবিতাগুলো ভাবলেন, তিনিও হয়তো এমনভাবে কবিতা লিখতে পারবেন। এরই মধ্যে একদিন আজাদ সুলতান তাকে প্যাট্রিস লুমুম্বাকে নিয়ে একটা কবিতা লিখে দিতে অনুরোধ করলেন। প্যাট্রিস লুমুম্বা ছিলেন কংগোর রাষ্ট্রপ্রধান, বিপ্লবী, জাতীয়বাদী নেতা ও সাহিত্যিক। তার জন্ম ২ জুলাই, ১৯২৫ আর মৃত্যু ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে। যে সময়টাতে প্যাট্রিস লুমুম্বা মারা যান সেই সময়ে আসাদ চৌধুরী মাত্র কবিতা লেখা শুরু করেছেন। আজাদ সুলতানের অনুরোধে তিনি তখন প্যাট্রিস লুমুম্বাকে নিয়ে তিনি একটি কবিতা লিখলেন। দুদিন পর আজাদ সুলতানের সঙ্গে এক ভদ্রলোক এলেন পাজামা, শাটর্ আর চাদর গায়ে দিয়ে। লোকটি তার কাছ থেকে কবিতাটি হাতে নিলেন, পড়লেন; কিন্তু কোনো মন্তব্য করলেন না। কবিতা লেখা কাগজটি পকেটে ঢুকিয়ে চলে গেলেন। আসাদ চৌধুরী লোকটির পরিচয় জানতে চাইলে আজাদ সুলতান জানালেন উনি রণেশ দাশগুপ্ত। নামটা শুনে তার ভেতর-বাহির আলোড়িত হয়ে উঠল। তিনি রীতিমতো শিহরিত হলেন। ইতোমধ্যে তিনি রণেশ দাসগুপ্তর অনেক লেখা পড়েছেন। রণেশ দাসগুপ্ত ছিলেন তখন বিখ্যাত ব্যক্তি। সেকালে ঢাকা সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির খুব প্রচলন ছিল। রণেশ দাসগুপ্ত কবি ও কথাসাহিত্যিক সোমেন চন্দ, অচ্যুত গোস্বামী, কিরণশঙ্কর সেনগুপ্তর সঙ্গে মিলিত হয়ে নানা রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কমর্কাÐে ব্যাপৃত হয়েছেন। এমন একজন ব্যক্তি তার কাছ থেকে কবিতা নিয়েছেন বলে তার মাঝে এই আলোড়ন আর শিহরণ জেগে উঠেছিল। পরদিনই দৈনিক সংবাদের সম্পাদকীয় পাতায় কবিতাটি ছাপা হয়ে গেল। তিনি তো একেবার সাইপ্রাইজ হয়ে গেলেন। কবিতাটি ছাপা হওয়ার পর থেকেই তিনি নানান জায়গা থেকে অভিনন্দন পেতে লাগলেন, এমনকি জেলখানা থেকে কয়েকজন কমিউনিস্ট কমীর্ও তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তিনি ষাটের দশকের সময় কবিতা লেখা শুরু করলেও তখন তিনি প্রতিষ্ঠা পেতে সংগ্রাম করে যাচ্ছিলেন। কারণ ষাটের দশকের বাংলা কবিতার পটভূমিতে কুসমাস্তীণর্ ছিল না। তবে হৃদয়বৃত্তির যে সংবেদনশীলতার থাকে তার ভেতর দিয়ে তিনি নিজেকে প্রকাশের এবং ক্রমবিকাশের পথে এগিয়েছেন নিরন্তর কাব্যসাধনা মধ্য দিয়ে। তিনি সত্যিকার অথের্ লেখালেখি শুরু করেন মুক্তিযুদ্ধের পর। যখন দেখলেন কবি বিষ্ণু দে, সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তিরা তাকে নামে চেনেনÑ তখন তিনি লেখালেখিটা মন দিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলেন। এবার তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘তবক দেয়া পান’ নিয়ে বলি। এই বইটি বের হয় ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে। ১৯৬০ থেকে ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ পযর্ন্ত প্রায় ১৫ বছর বিভিন্ন সময়ে লেখা কবিতা থেকে বাছাই করা কবিতার সংকলন এটি। কবিতাগুলো নিবার্চন করে দিয়েছিলেন কবি রফিক আজাদ, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, অরুণাভ সরকার ও আবদুল মান্নান সৈয়দের মতো ব্যক্তিত্ব। বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি সপ্রশংস আলোচনা হচ্ছে। এক সাক্ষাৎকারে কবি আসাদ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘.....বাঙালি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার অনুষ্ঠানে পানের ব্যবহার আছে। গ্রামে এখনো অতিথিদের পান দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। পানটা আবার মাঙ্গলিক। এই চিন্তা থেকেই হঠাৎ তবক দেয়া পান মাথায় এলো।’ বাংলা কাব্যভুবনে কিছু কিছু কবি আছেন, যাদের নাম উচ্চারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সৃষ্টিকমর্গুলোও উচ্চারিত হতে থাকে। এ ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একটু ব্যতিক্রম হলেও তার নাম উচ্চারিত হলে অবধারিতভাবে আমাদের মনের চোখে ভেসে উঠে ‘গীতাঞ্জলী’ ‘সোনার তরী’ মতো কাব্য, কাজী নজরুল ইসলামের ‘অগ্নিবীণা’ মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ তেমনি আসাদ চৌধুরীর নাম উচ্চারিত হলে ‘তবক দেয়া পান’ মনে পড়বেই। শুধু তবক দেয়া পান নয়, তার আরও কিছু কাব্য আছে যা বহুল পঠিত। এসব কাব্য পড়ে পাঠক অনুভব করে প্রগাঢ় জীবনবোধ। গোলাপের মধ্যে যাব। বাড়ালাম হাত ফিরে এলো রক্তাক্ত আঙুল। সাপিনীর কারুকাযর্ নগ্ন নতজানু চরাচরে আবেগ বিলায়। আমার অধরে শুধু দঁাতের আঘাত। (আত্মজীবনী: ১) আসাদ চৌধুরীর কবিতা বিবৃতিময় না। তিনি অল্প কথায়, সীমিত শব্দের বন্ধনে ভাবকে মুক্তি দেন। তবে শব্দে, উপমায়, বণর্নায় জীবন উজ্জীবিত হওয়ার মতো উপাদান আছে। তার কবিতা দুবোর্ধ্য নয়, তিনি কঠিন শব্দ ব্যবহার করার বদলে শিল্প বিনিমাের্ণর দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। এতে তার কবিতা সহজ ও সরল হয়ে পড়েনি। বরং এর ভেতর দিয়েই তিনি নিজের বলিষ্ঠ অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছেন। তার কবিতার ভাষা ও শব্দ পাঠককে বিব্রত করে না, কাছে টানে, আপন করে নেয়। আশ্রয় না-দিলেও আশা দিয়েছিলে এ কথাটি কেমন ক’রে চেপে রাখি? লক্ষ লক্ষ মালঞ্চের ঝড় বুকে পুরে শূন্য হাতেই তোমার কাছে আসা। (যদি আলোই না হয়) ‘জঙ্গনামায়’ স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রে কবি আসাদ চৌধুরী একটি কবিতা পড়েছিলেন। কবিতাটি পরবতীর্ সময়ে দৈনিক ইত্তেফাকে ছাপা হয়েছিল। কবিতাটির নাম ছিল ‘তখন আমি মানুষ ছিলাম।’ শেষের চার লাইন বেশ জনপ্রিয় হয়েছে- ‘এখন এসব কল্প কথা দূরের শোনা গল্প তখন সত্যি মানুষ ছিলাম এখন আমি অল্প।’ কবি আসাদ চৌধুরীর ‘সত্য ফেরারী’ নামের একটি কবিতা এতটাই আলোচিত হয়েছিল যে, এক সময় কবিতাটি পাঠকের মুখে মুখে উচ্চারিত হয়েছে, আবৃত্তি শিল্পী অডিও জনপ্রিয়তা পেয়েছে, এমনকি রাজনৈতিক পোস্টারও হয়েছে। কবিতাটি হলোÑ কোথায় পালালো সত্য? দুধের বোতলে, ভাতের হঁাড়িতে! নেই তো রেস্টুরেন্টে, হোটেলে, সেলুনে, গ্রন্থাগারের গভীর গন্ধে, টেলিভিশনে বা সিনেমা, বেতারে, নৌকার খোলে, সাপের ঝঁাপিতে নেই তো। গুড়ের কলসি, বিষের কৌটো, চিনির বয়াম, বাজারের ব্যাগ, সিগারেট কেস, পানের ডিব্বা, জদার্র শিশি, ল²ীর সরা, নকশী পাতিল, চৌকির তলা, সবি খুঁজলাম, খুঁজে দেখলাম নেই তো! সাংবাদিকের কাঠের ডেস্কে, কাগজে, কেতাবে, পুঁথিতে, কলমে, ইনজেকশনে, দঁাদের মলমে, ভ্যানিটি ব্যাগে বা পকেটে, অঁাচলে ড্রয়ারে, ব্যাংকে, আয়রণ সেফে সত্য নামক মহান বস্তু নেই তো! কবিতায় নেই, সঙ্গীতে নেই রমণীর চারু ভঙ্গিতে নেই পাগলের গাঢ় প্রলাপেও নেই নাটকের কোনো সংলাপে নেই শাসনেও নেই, ভাষণে নেই আঁধারেও নেই, আলোতেও নেই রেখাতেও নেই, লেখাতেও নেই, উত্তরে নেই, প্রশ্নেও নেই লেবাসে নেই, সিলেবাসে নেই পারমিটে নেই, বোনাসেও নেই হতাশায় নেই, আশাতেও নেই প্রেম-প্রীতি ভালোবাসাতেও নেই এমন কি কালোবাজারেও নেই কোথায় গেলেন সত্য? ১৯৭৫-পরবতীর্ সময়ে তিনি দেশের রাজনৈতিক স্খলন দেখে ভীষণ মুষড়ে পড়েছিলেন। যখন তিনি দেখলেন এই বাংলাদেশ তো সেই বাংলাদেশ না, যে বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, ভাসানী, জিয়াউর রহমান। চারদিকে রাজকারদের আস্ফালন। কিন্তু কবি কিছু করতে পারছেন না। তার হাতে যে অস্ত্র তা দিয়ে তিনি প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেছেন। তিনি কবিতায় বলেছেন ‘তোমাদের যা বলার ছিল বলছে কি তা বাংলাদেশ...!’ ১৯০৫-এর বঙ্গভঙ্গ, ১৯৪৭-এর পাকিস্তান, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭৫ এর পরে বঙ্গবন্ধু হত্যাÑ তার পর বাংলাদেশের রাজনীতি, ১৯৯০-তে এসে গণতন্ত্রের উত্তরণ এবং ’৯০-এর পর এখন পযর্ন্ত তত্ত¡াবধায়ক সরকার, ইত্যাদি নিয়ে এখনকার যে অবস্থা এগুলো আমরাও আজ নীরবে-নিভৃতে পযের্বক্ষণ করি। যে উদ্দেশ্যে জীবন বাজি রেখে দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়ে গেছে আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানেরাÑ তারা যা চেয়েছিল তা কি পূণর্ হয়েছে বা হচ্ছে? আদৌ হবে কি না সেটা ভবিতব্য। তাই আজও আমাদের বলতে হয়, ‘তোমাদের যা বলার ছিল বলছে কি তা বাংলাদেশ...?’