একটি মৃত্যু ও আমি

প্রকাশ | ০৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

এনাম রাজু
নতুন চাকরিতে জয়েন্ট করেছি, সাত-আট মাস কেটে গেলেও নিজের কাজ কি তা এতদিনেও পুরোপুুরি বুঝে উঠতে পারিনি। তবে যা কাজ করছি, তাতে আনন্দ পাচ্ছি। কারণ, লেখালেখি আর পুস্তক ঘাটাঘাটি করাই এখন পযর্ন্ত কাজ। ভালো লাগার পাশাপাশি খুব খারাপ লাগে যখন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে হয়। সূযর্ ওঠার আগে জেগে উঠতাম সেই ছাত্রজীবনে। তখন পড়াশোনার চাপ ছিল, অভিভাবক ও শিক্ষকের তাড়া ছিল। গত দু’বছরে অভ্যাসে বেশ পরিবতর্ন হয়েছে। কিন্তু এখন চাকরি জীবনে এসে নতুন করে ছাত্রজীবনের সেই কাজটা করতেই কষ্টই হচ্ছে। মুয়াজ্জিনের ডাক কানে যেতেই বিছানা ছেড়ে অজু করে নামাজ শেষ করে মনের আনন্দে বাগানের গাছগাছালি আর ফুল-পাখিদের সঙ্গে ভাবের আদান-প্রদান চলে। ধীরে ধীরে পাখিদের সঙ্গে সখ্যতাও তৈরি হয়। আজ ফজরের নামাজ পড়েই ফুলগাছে পানি আর পাখিদের খাবার দিয়ে ডায়াবেটিস রোগীর মতো হালকা কদমে কিছু সময় হঁাটাহঁাটি করে বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে পোশাক পাল্টে নিয়ে বের হয়ে পড়তে হয় বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশে। গন্তব্য নীলক্ষেত, বই বঁাধাইয়ের দোকানে। অনেকদিন আগে কিছু পুরনো বই বঁাধাই করতে দেয়া হলেও বিভিন্ন কাজের ব্যস্ততায় তা আনা হয়নি। ঢাকার রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামের যে অবস্থা, তাতে বাসে উঠে বেশ ভালোই ঘুমানো যাবে। সকালের ঘুমটা বাসেই হয়ে যাবে। আর সকালের ঘুমের একটা দারুণ তৃপ্তি আছে। যদিও ধমর্ বা বিজ্ঞান কেউই তা স্বীকার করে না। কিন্তু বাসে উঠে সেটা হলো না। কারণ পাশের সিটে এসে বসলো পঞ্চাশ-ষাট বছরের এক পোশাকি যুবতী। মেয়ে মানুষ পাশে বসলে ঘুমানো মুশকিল। সেটা ঘরে হউক আর বাসে হউক। মনটা খারাপ হয়ে গেল। কি আর করি, পকেট থেকে মোবাইল ফোনটি বের করে বাড়ির খবরাখবর জানতে ছোটবোন তৃষ্ণাকে ফোন দেই। কথা শেষ করে কিছু সময় গেইম খেলে সময় কাটানো চেষ্টা করলাম। কিছুই জুতসই হলো না, মনটা খারাপ হয়েই রইলো একটু ঘুমাতে না পারার জন্য। বাস থেকে নেমেই দেখি মাকের্ট বন্ধ। আজ মঙ্গলবার, সাপ্তাহিক ছুটি। বিষণœ মন নিয়ে মিসেস সৈনিককে বিষয়টি জানাতে ফোন করি। মিসেস প্রফেসর কে আম্মা বলেই সম্বোধন করি, তাতে নিজের বুকটা শান্তিতে ভরে যায়। ঢাকার মতো শহরে কাউকে যে আম্মা ডাকাটাও বড় প্রাপ্তি, যার মা নেই; সেই বুঝতে পারবে। যদিও গ্রামে আমার গভর্ধারিণী এখন জীবিত। মিসেস প্রফেসর অল্পতেই রেগে যায় কোনো কিছু সম্পূণর্ না শুনেই। পরে বুঝিয়ে বললে আবার বুঝতে পারে। কিন্তু তাতে কি আর হয়। মনতো যখন খারাপ হওয়ার তা হয়েই যায়। অবশ্য মনটা ইদানীং মিনিট চারের মধ্যেই ঠিক হয়ে যায়। তা ছাড়া মিসেস প্রফেসরের ভালোবাসা আর একাকিত্ব বুঝতে পারি। তাই মিসেস প্রফেসর যত রাগ হউক সাময়িক মন খারাপ হলেও আবার সবকিছু পজেটিভ ভেবে মনকে সান্ত¡না দেই। ঠিকইতো, যখন অথের্র অভাবে কঠিন সময়ের স্রোতে মাঝ নদীতে হাবুডুবু খাচ্ছি, তখনিতো এ চাকরিটা পাই। তা ছাড়া বিভিন্ন সময় বিপদে-আপদে তিনি তো ভরসার প্রদীপ। যে ভালোবাসা দিয়েছে তা কি করে ভুলে যাব। ভালোবাসার কোনো প্রতিদান দিতে নেই, প্রতিদান হয়ও না। জীবনে কিছু মানুষ আছে যাদের রাগ আশীর্বাদ হয়ে দেখা দেয়। মাঝে খারাপ লাগে। ভালো-খারাপতো দুটি বিষয় খুবই প্রাসঙ্গিক জীবনের সঙ্গে। তাই ভালোবাসাকে আর পাওয়াটাকেই মনে রাখতে হয়। বিবেক বজির্তরা অবশ্য ভিন্ন পথেই চলে। নিজেকে তো আর বোধহীন মানুষ ভাবতে পারি না। ভয়ে ভয়ে ফোন দেই মিসেস প্রফেসর। মিসেস প্রফেসর মাকের্ট বন্ধ শুনে নিজেও কষ্ট পায়। নীলক্ষেত থেকে শাহবাগের উদ্দেশে রওনা দেই। পথিমধ্যে বাস সিগন্যালে পড়ে। অনেক্ষণ মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থেকে ভালো লাগছে না। তাই বাসের জানালা ভেদ করে বাইরের দিকে নজর রাখতেই চোখে পড়েÑ একটু দূরে এক বৃদ্ধ রিকশাওয়ালা হাপাচ্ছে। এতটাই হাপাচ্ছে যে, মনে হয় এখনই পড়ে যাবে মাটিতে। দিনটা প্রচুর গরম, তার ওপর বেচারা রিকশাচালায় বৃদ্ধ বয়সে। খুবই দুঃখজনক। মাঝে মাঝে মনে হয় সমস্ত দেশের দরিদ্রতার এবং কষ্টের ভার একাই বহন করি। তাতেও যদি দেশটা সুন্দর হয় যেমন সুন্দর ছিল গৌতমের ছোটবেলার পরিবেশ। আবার কখনো কখনো ভাবি সমস্ত দেশতো সবুজ করতে পারব না, তাই নিজের গ্রামটা যাতে সুন্দর ও ভালো হয়, সে কাজগুলো করব। ইতোমধ্যে এসএসডিও নামে যে সংগঠনটা করেছি তার মূল লক্ষ্য ছাত্রছাত্রীদের এবং সমাজের উন্নয়নে সাহায্য করা। সবাইকে বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করা। কিছুক্ষণ পর আবার বৃদ্ধের দিকে তাকিয়ে দেখা গেল আগের চেয়ে এখন একটু বেশি হাপাচ্ছে। সেই সঙ্গে পকেট থেকে কি যেন একটা জিনিস বের করে বারবার ঝাকাচ্ছে এবং পকেট থেকে টাকা বের করে হিসেব করছে। একমিনিটের মধ্যে বেশ কয়েকবার পকেট থেকে টাকা বের করে হিসেব করছে। আবার পকেটে রাখছে। যত না হাপাচ্ছে তার থেকে বেশি একটা ছোট বোতল ঝাকাচ্ছে। এত বেশি অস্থির দেখাচ্ছে বৃদ্ধকে যে, এই দৃশ্য নিজের চোখে না দেখলে বলে বুঝানো সম্ভব না। খুব শক্ত অভিনেতাও এই সময়টি আর চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে পারবে না। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে এমন দৃশ্য চলছে। কেউ ভ্রæক্ষেপও করছে না। ব্যস্ত এই শহরে কে কার খবর রাখে। খবরের পাতার খবরই রাখে না মানুষ, আবার রাস্তার মানুষের খবর। বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলও তো দেখা বন্ধ করে দিয়েছে হিন্দি সিরিয়ালের দৌরাত্ম্যে। অস্থিরভাবে রাস্তার পাশে একবার বসছে আবার দঁাড়াচ্ছে। ধীরে ধীরে বৃদ্ধের হঁাপানি বেড়েই যাচ্ছে। এবার কৌত‚হলি মন নিয়ে বাস থেকে নেমে রিকশাওয়ালার কাছে যাই। খুব সম্মানের সঙ্গে জিজ্ঞেস করিÑ চাচা, কোনো সমস্যা আপনার? আমার কথা শুনে সে স্থির হওয়ার চেষ্টা করেও পারছে না। আমার মুখ দেখার চেষ্টা করছে। চাচা মনে হয় একটু অবাক হয়েছে প্রশ্ন শুনে। হয়তো একটু শান্তিও পেয়েছে। আসলে মানুষের যখন বয়স বেড়ে যায়, তখন সে চায় কেউ তার খবর রাখুক। কেউ একটু ভালোবাসুক। আমার দিকে তাকিয়ে বললÑ আরো অনেক লাগে। এর বেশি কিছু বলতে পারছে না। পকেট থেকে ওষুধের একটা বোতল বের করে দেখায়। প্রথম প্রথম বুঝতে না পারলেও পরে ওষুধের বোতলটি দেখার পর বুঝতে পারলাম সে গরমে এমন করছে না। কারণ আমার দাদুও এমন একটি বোতল সবসময় পকেটে রাখতো। এই বোতল কেন রাখতো সেটা তখন বুঝতাম না ছোট থাকার কারণে। এখন জানি, এ বোতলটি ছিল কয়েকটি রোগের কাযর্কর ওষুধ। এটা ছাড়া চলা ছিল দাদুর মরণপথে যাত্রা। পরবতীর্ সময়ে দাদু মারা গেলে অনেকে ছোট চাচার ঘাড়ে দোষ চাপায়। তিনি সময় মতো দাদুর প্রয়োজনীয় ওষুধ দেননি। ভালো করে তার দেখাশুনা করেননি। সত্তর থেকে আশি বছরের মানুষের সঙ্গে বসবাস করা আর তাকে দেখাশুনা করা মানেই হচ্ছে আপনি কোনো ষাট বছরের অভিজ্ঞ নাসর্। সেই সঙ্গে একটি দুষ্ট প্রকৃতির শিশুর মা। চাচা কোনো কথা না বলতে পারায় শুধু ইশারায় বুঝাতে চেষ্টা করলÑ তার ওষুধ শেষ। ওষুধ কিনতে না পারলে যে কোনো মুহ‚তের্ জীবননাশ হতে পারে। আরো টাকাও লাগবে। এমন সিগন্যাল আর রাস্তায় জ্যাম ঠেলে সামান্য টাকাই আয় করেছেন। তা ছাড়া বয়সে ভারী হওয়ার কারণে অনেকেই তার রিকশায় উঠতে চায় না। অন্য রিকশাওয়ালা যেখানে আড়াই থেকে তিনশ টাকা আয় করেছে। সেখানে তার উপাজর্ন মাত্র সত্তর টাকা। নিজের ওষুধ সঙ্গে গৃহিণীর ওষুধও। যদিও বাড়ির মানুষটির জন্য আজকে না কিনলেও তেমন ক্ষতি হবে না জানালেন। বৃদ্ধের সন্তান-সন্ততির কথা জানতে চাইলে। প্রথমে কিছুই বললেন না। অনেকবার জিজ্ঞেস করাতে ইশারা করে দেখিয়ে দিলেন একটি দোকান। বেশ বড়সড় দোকান। সেটা তার ছোট ছেলের। আরো একটি ছেলে আছে। সে সিএনজি চালায়। মেয়ের কথা বললেÑ কেঁদে ফেলল। কারণ অল্প বয়সে ফুটফুটে মেয়েটা মারা গেছে সাপের কামড়ে। বৃদ্ধ আত্মসম্মানে ভরপুর। আমার পকেটে অতিরিক্ত টাকা নেই। যে টাকা আছে তা আম্মার। এই টাকা সে কোনোভাবেই খরচ করতে পারবে না। কারণ হিসাব করেই নিয়েছে টাকা। আবার এই টাকা দিলে ফুলগাছের পাথর আর টব কেনা হবে না। অবশ্য আম্মাকে বললে কিছুই বলবে না। কারণ দুই হাত ভরে দান করার অভ্যাস আছে আম্মার। প্রতিদিন যে কত টাকা গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দিচ্ছে তার খবরতো শুধু সেই। অবশ্য অন্য কেউ জানার কথাও না। বরং অন্যের উপকার হয়েছে শুনলে খুশি হবে। মুখ্য সমস্যা হচ্ছে এতদূর এসে কাজ হাসিল না করে খালি হাতে ঘরে ফেরাটাও যে নিজের কাছে নিজেকে ছোট করা। এমনিতেই অনেক কাজ সময়ের অভাবেই হয় না। তা ছাড়া এতদূর সময় ব্যয় করে আসা যে কত কষ্টসাধ্য আর কতদিনের ব্যাপার তাও হিসাব করে দেখতে হয়। সারাদিন বৃথাই যাবে। এত কষ্ট করে নীলক্ষেত আবার সেখান থেকে শাহবাগ। ঢাকা শহরে গৃহবন্দি থাকা ভালো। তবুও কাজ নিয়ে রাস্তায় বের হওয়া উচিত না। কিছুদিন আগে পত্রিকার হট শিরোনাম ছিলÑ জ্যামে আটকা পড়ে হসপিটালে যাওয়া হলো না গভবতীর্র। রাস্তায় সন্তান প্রসব। এত কিছু ভাবার সময় নেই। যে কোনো মুহ‚তের্ বাস ছাড়তে পারে। আবার বৃদ্ধের শরীরের অবস্থাও বেশ খারাপের দিকে এগুচ্ছে। পকেট থেকে টাকা বের করে দিতে চাইলাম বৃদ্ধকে। বৃদ্ধ টাকা নেবেনই না। সে ভিক্ষা করতে বা কারো করুণা পেতে পৃথিবীতে আসেনি। তা ছাড়া নিজের ছেলেই যখন তাকে অসহায় রেখে সুখে আছে। তখন অন্যের দয়ায় বঁাচতে চায় না। অনেক বলে কয়ে রাজি করাতে না পেরে। শেষে নিজের নাম, ঠিকানা আর মোবাইল নাম্বার একটা কাগজে লিখে দিয়ে বলি, আপনি আমাকে টাকাটা পরে দিয়ে দেবেন। ইতোমধ্যে বাস ছেড়েছে। কোনো রকমে বৃদ্ধের হাতে তিনশ টাকা দিতে পেরে খুবই আনন্দ লাগছে। আর ভাবছি এত টাকা অকারণে খরচ করছে মানুষ। অথচ তিনশ টাকা বৃদ্ধকে দিতে পারছে না। আবার বৃদ্ধও কতটা অসহায় যে তিনশ টাকার জন্য ওধুষ কিনতে পারছে না। বারবার বৃদ্ধের সেই হাপানো আর পকেট থেকে টাকা বের করে হিসাব করার দৃশ্যটা চোখে ভাসছে। বৃদ্ধ নিজেও জানে পকেটে যে টাকা আছে সেটা যতবারই হিসাব করুক না কেন তার থেকে এক টাকাও বেশি হবে না। তবুও বারবার হিসাব করার মাঝে জীবন খুঁজে ফেরার যে করুণ চেষ্টা তা ভুলতে পারা সম্ভব নয়। শরীর শীতল হয়ে আসছে। বাস থেকে নেমে একটা চা খেলাম। যদিও বাইরের দোকানে কিছুই খাওয়ার তেমন অভ্যাস নেই। কারণ একটাই পকেটে অতিরিক্ত টাকাই থাকে না। অনেক দিন পরে চা’য়ে ঠেঁাট ভিজলো। আজকে চা’য়ে আনন্দ পাচ্ছে। মনে মনে ভাবছে বৃদ্ধ আর তার পাথর্ক্য? বৃদ্ধও অথর্হীন সেও অথর্হীন। তবে বৃদ্ধের মতো ভুল করার মতো মানুষ সে না। তাই অনেক আগেই সিদ্ধান্ত পাকা করেছে বিয়ে করার মতো ভুল সে করবে না। এমন একা জীবনই ভালো। চা খাওয়া শেষ করে গ্রামে ফোন করলাম মাকে। ফোন করে মাকে বললাম বিস্তারিত। মায়ের হাতে টাকা নেই। তবুও ছেলের এমন কাজে মা গবির্ত। ছেলেকে আশ্বাস দেন, একটু অপেক্ষা করতে বলেন। আমি নিশ্চিৎ, যেভাবেই হউক মা টাকা ম্যানেজ করে পাঠাবে। এই ফঁাকে দোকানদারকে আরও একটি চা দিতে বলি। মা টাকা পাঠিয়েছে। সেই টাকা দিয়ে পাথর কিনে হঁাটতে শুরু করি মালিবাগের পথে। কিছু দূর যাওয়ার পর রাস্তায় জ্যাম দেখে আবার উল্টো পথে হঁাটতে শুরু করি। শাহবাগ চত্বর থেকে একটু দূরে উৎসুক মানুষের ভিড় দেখে সে দিকে ভ্রæক্ষেপ না করে বাসার উদ্দেশে জোড় কদমে হঁাটতে থাকি। সারাদিনের কাজের ব্যস্ততায়ও সেই বৃদ্ধের ও তার কথোপকথন ভুলতে পারি না। কতটা অসহায় রিকশাওয়ালা সে পিতা! এ ভেবে ভেবে কোনো কাজই ভালো করে করতে পারছি না। সব কাজই ভুল হতে থাকে। রাতে ঘুম আসে না। ছাদে হঁাটাহঁাটি করতে করতে রাত শেষ হয়ে আসে। সকালে আম্মা আদর করে যখন খেতে বলেÑ তখন খেয়ে কাজে লেগে পড়ি। আজ সারাদিন বড্ড কাজের চাপ গেছে। রাতে রুমে ফিরে ফ্রেশ হয়ে একটু আরাম করে বসতেই মনে হলো আজকের পত্রিকা দেখা হয়নি। টেবিল থেকে পত্রিকাটি হাতে তুলে নিতেই প্রথম পাতায় একটা ছোট শিরোনামে চোখ আটকে যায়Ñ ‘গরমে রাজধানীর রাস্তায় রিকশাওয়ালার মৃত্যু’