শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

টিউশনের গল্প

বাসার তাসাউফ
  ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

কলেজের ক্যাম্পাসে বসে একদিন টিউশনি নিয়ে আমিনুলের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। অনেকেই টিউশনি করে। অভাবের জন্য নয়, শখে। বাবার ওপর যাতে চাপ কম থাকে। টিউশনি করতে আমার আগ্রহ আছে কিনা আমিনুল জানতে চাইল। আমি হঁ্যা সূচক জবাব দিলাম। সে কথা দিল, আমাকে একটা টিউশনি জোগাড় করে দেবে। কিছুদিন পর সত্যিই সে একটা টিউশনি জোগাড় করে দিল। শহরের এক বড়লোকের মেয়েকে পড়াতে হবে সপ্তায় চার দিন। মেয়েটির ফ্যামিলির হাই-প্রোফাইল সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর একটু ভড়কে গেলাম। এত বড় লোকের মেয়েকে আমি পড়াতে পারব তো? আমিনুল সাহস দিয়ে বুকে ফু দিয়ে দিল। আমি আলস্নাহর নাম স্মরণ করে গিয়ে হাজির হলাম মেয়েটির বাসায়। আগেই মেয়ের মায়ের সঙ্গে মাইনে নিয়ে পাকা কথা হয়ে গেছে। তাই নতুন করে এ নিয়ে আর কথা বলতে হয়নি। সপ্তাহে চার দিন পড়িয়ে ছয় হাজার টাকা এখনকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দুর্দিনে আমার কাছে চাঁদ হাতে পাওয়ার মতোই মনে হলো। তার ওপর মেয়েটা পড়ে মাত্র ক্লাস সেভেনে। এইটুকু পিচ্চি মেয়েকে পড়াতে এতগুলো টাকা দেবে! খুশি হয়ে পরদিনই আমি গিয়ে হাজির হলাম শহরের অন্যতম আলিশান এক বাড়িতে। বাড়ির গেট, দারোয়ান ও আধুনিক সাজসজ্জা দেখে প্রথম চমকটা লাগল। কে জানত, এই বাড়িতে একটা মেয়ে পড়াতে এসে শুধু একটা চমকেই শেষ না, চমকের পর চমক অপেক্ষা করছে আমার জন্য।

দারোয়ানের জেরা শেষে গেট পেরিয়ে মূল বাড়িতে প্রবেশ করে স্টাডি রুমে এসে লাগল দ্বিতীয় চমকটা। ফ্লুরে পা ফেলে হাঁটতে গিয়ে নিজের পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পেলাম না। পেলাম সুন্দর ডিজাইনের টাইলসের ওপর বিছানো শিউলি ফুলের মতো সাদা ও মখমলের মতো নরম গালিচা- যেখানে পা ফেলে হাঁটতে গিয়ে রীতিমতো সারা শরীর কেঁপে উঠল আমার। মনে পড়ে গেল বহুদিন আগে পড়া সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা একটা কবিতার কয়েকটা লাইন।

'...আমার কৈশোরে পথের ওপর ঝরে পড়ে থাকা

শিশিরমাখা শিউলির উপর পা ফেললে

পাপ হতো

আমার পাপ কাটাবার জন্য প্রণাম করতাম...।'

শিউলি ফুলের মতো সুন্দর গালিচায় পা ফেলে হাঁটব নাকি প্রণাম করব বুঝতে পারলাম না। দ্বিধান্বিত হয়ে বিড়ালের মতো হালকা পায়ে হাঁটলাম। এক কোণে সিংহাসনের মতো চেয়ারে বসতে বসতে আরেক চমকের মুখোমুখি হলাম। বিশাল হল রুম। চারপাশের জানালায় দামি দামি পর্দা টানানো। এমন বাড়ির মেয়েকে আমি পড়াতে পারব তো? ভাবতে ভাবতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে বসেও আমি রীতিমতো ঘামতে লাগলাম।

কিছুক্ষণ পর এসির মাঝেও মৃদু গতিতে চলা ফ্যানের বাতাসের সঙ্গে মিশে একটা বকুল ফুলের ঘ্রাণ আমার নাকে এসে লাগল। চোখ তুলে তাকিয়ে দেখলাম, আমার ছাত্রী এসেছে। তার শরীর থেকেই ঘ্রাণটা পেলাম। মেয়েদের শরীরের ঘ্রাণ কেমন হয় আমার জানা নেই। আমার ধারণা ছিল, মেয়েদের শরীরে ফগ ফ্রাগন্যান্ট, নিভিয়া ডিওড্র্যান্ট কিংবা এনগেজ বস্নাশ ডিও বডি স্প্রে'র কৃত্রিম ঘ্রাণ থাকে। বকুল ফুলের ঘ্রাণও যে থাকে সেটা জানা ছিল না। জানলাম ক্লাস সেভেনে পড়ুয়া আমার ছাত্রীর কাছ থেকে। অবশ্য জীবনে খুব কম সময়ে আমি মেয়েদের সান্নিধ্য পেয়েছি। মেয়েদের শরীর নিয়ে তেমন ধারণা আমার নেই। তবে এ মুহূর্তে আমি হলফ করে বলতে পারি, এ রকম সুন্দরী মেয়ে কখনো দেখিনি আর এমন মেয়েলি মিষ্টি ঘ্রাণ কখনো উপভোগ করিনি। তাই আমি শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি বাড়িয়ে তার শরীরের ঘ্রাণ নিতে লাগলাম।

আগে জেনে এসেছি, মেয়েটার নাম রূপা। রূপার গায়ের রং উজ্জ্বল ফর্সা। গোলগাল মুখ, বাদামি রংয়ের চুল আর চোখের রং হালকা নীল। পরনে সাদা ফতোয়া টাইট জিন্স প্যান্ট। ফতোয়া ভেদ করে ওঠা আমের মুকুলের মতো স্তনের বোঁটা উঁকি দিয়ে আছে। মাত্র সেভেনে পড়ুয়া মেয়ের বুকের এই বিষয়টা আমার কাছে অস্বাভাবিক লাগল।

ছাত্রী আমার সামনের চেয়ারে মুখোমুখি হয়ে বসেই বলল, 'গুড ইভেনিং স্যার।'

সময়টা যে বিকাল আমি একদম ভুলে গিয়েছিলাম। তার কথার রিপস্নাই দিলাম, 'গুড ইভেনিং।'

'আ'ম রূপা। ইউ...?'

হঠাৎ আমি আমার নাম ভুলে গেলাম। মানুষ বেশি অবাক হলে মুখের কথা হারিয়ে ফেলে আর আমি বেশি মুগ্ধ হলে নিজের নাম ভুলে যাই। আর কী কী ভুলে যাই- সেটা একটু পরে বলছি-।

আমার নামটা কিছুতেই মনে করতে না পেরে কয়েক সেকেন্ড থেমে রইলাম। হঠাৎ মনে পড়ল। বললাম, 'আ'ম শুভ্র।'

'নাইস নেইম!'

তখনই মনে পড়ল, আরে আমার নাম তো শুভ্র নয়! আমার নাম শওকত। এখন কি আমি আমার নাম সংশোধন করে নেব? না, থাক। যেহেতু রূপা বলেছে, আমার নামটা সুন্দর, তাই আজ থেকে আমি শুভ্র। কাকতালীয়ভাবে একটা বিষয় মিলে গেল। শুভ্র আর রূপা- হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসের নায়ক-নায়িকার নাম। রূপা কি হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসের নায়িকার মতো? আমি কি শুভ্রর মতো...! এইটুকু বাচ্চা মেয়েকে নিয়ে আমি কী ভাবছি? ছি!

আমার ভাবনার সঙ্গে সম্পূর্ণ বিপরীত এক মেয়ে রূপা। এ বয়সি মেয়েরা লাউ কিংবা পুঁইয়ের মাচায় ওড়ে বেড়ানো ফরিঙের মতো চঞ্চল থাকার কথা। পাশের ফ্ল্যাটের মেয়ের সঙ্গে পুতুল খেলার কথা, ড্রয়িংরুমে রাখা টেলিভিশনে 'টম এন্ড জেরি' 'আলাদিন' 'গোপাল ভাঁড়' কার্টুন দেখার কথা। কিন্তু না, রূপা তা করে না। রূপা যেন এসব কিছু পেরিয়ে এসেছে।

কয়েকদিন পড়ানোর পরই টের পেলাম, এর মতো ইঁচরে পাকা মেয়ে আর হয় না। শুধু ইঁচরে পাকা হলে কথা ছিল না। একদম শয়তানের হাড্ডি। এমন শয়তানের হাড্ডি মার্কা স্টুডেন্ট আমার টিউশন লাইফে কখনও পাইনি।

প্রথম দিনেই রূপা আমার কাছে জানতে চাইল, 'স্যার, একটা কথা বলব?'

আমি স্বাভাবিক গলায় বললাম, বলো।

'আপনার কি জিএফ আছে?'

আমি এ রকম প্রশ্ন শোনার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। ধমক দিয়ে বললাম, 'এসব কী ধরনের প্রশ্ন!'

'আপনি আমাকে ধমক দেন কেন? ধমক দিলে আমি আপনার কাছে পড়ব না।'

আমি ভুলে গিয়েছিলাম, বড় লোকের মেয়েকে ধমক দেওয়া যাবে না। পোষা বেড়ালের মতো আদর করে করে পড়াতে হবে। তাই আমি নিজেকে সামলে নিয়ে পরক্ষণে নরম গলায় বললাম, 'রূপা, এসব কথা বলতে হয় না।'

আমার গলার স্বরের পরিবর্তনের সঙ্গে রূপাও গলার স্বর পরিবর্তন করে বলল, 'বলেন স্যার, পিস্নজ আমাকে বলেন।'

'এটা তো পারসোনাল বিষয়। সবাইকে বলা যায় না।'

'আমার বন্ধু তাহলে ঠিকই বলে।'

'কী বলে তোমার বন্ধু?'

'ছেলেরা জিএফ-এর কথা কাউকে বলে না।'

আমি জিজ্ঞেস করলাম, 'জিএফ কী?'

'এটা বুঝেন না! জিএফ মানে- গার্ল ফ্রেন্ড।'

ক্লাস সেভেনের মেয়েদের আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে জেনে আমার পিলে চমকে গেল। বড় লোকের মেয়েকে পড়াতে এসে এসব হাবিজাবি বিষয়ের মোকাবিলা করতে হবে জানতাম না। তবু মুখ বন্ধ করে সহ্য করে গেলাম মাস শেষে ছয় হাজার টাকা পাওয়ার আশায়। সপ্তায় চার দিন দুই ঘণ্টা করে আট ঘণ্টা, মাসে বত্রিশ ঘণ্টা একটি মেয়েকে সময় দিয়ে ছয় হাজার টাকা আমার কাছে অনেক বেশি কিছু পাওয়া মনে হতে লাগল।

অবশ্য রূপাকে দুই ঘণ্টার পড়ানোর পর আরও দুয়েক ঘণ্টা গল্প শোনাতে হতো। প্রতিদিনই পড়া শেষে গল্প বলার একটা নিয়ম হয়ে গিয়েছিল। সেই গল্প আবার রূপকথা বা থ্রিলার টাইপের হওয়া যাবে না। হতে হবে প্রেমের গল্প। গার্ল ফ্রেন্ডের গল্প। প্রথমে আমি আমার বন্ধু হাবিবের গার্ল ফ্রেন্ডের গল্প বলেছি। এরপর বলেছি আমিনুলের গার্ল ফ্রেন্ডের গল্প। কিন্তু বানিয়ে বানিয়ে আর কত গল্প বলা যায়। তাই আমি একটা বাঁকা পথ বেছে নিলাম। রূপাকে প্রেমের গল্প বা গার্ল ফ্রেন্ডের গল্প বলতে গিয়ে আমি একে একে ইমদাদুল হক মিলন, আনিসুল হক, সুমন্ত আসলাম, হুমায়ূন আহমেদ ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বই থেকে প্রেমের গল্প পড়ে গিয়ে সেই গল্পটাই হুবহু বলেছি। প্রতিদিন একটা করে গল্প বলতে গিয়ে নিজের পড়াশোনা বাদ দিয়ে এসব লেখকের বই পড়তে হয়েছে গভীর রাত পর্যন্ত জেগে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প বলতে গিয়ে একদিন বলেছিলাম, 'রূপা নামে হুমায়ূন আহমেদের একটা বই আছে, তা কি তুমি জানো?'

রূপা বলল, 'না, জানি না। কীসের বই এটা?'

'জিএফ নিয়ে একটা মজার গল্পের বই।'

'আমাকে বইটা এনে দেবেন?'

'আচ্ছা।' বলেই আমি একবাক্যে রাজি হয়ে এলাম। কিন্তু বইটা পাব কোথায়? পরদিন নীলক্ষেতে গেলাম। সব দোকানে তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম। কিন্তু কোথাও পেলাম না। হুমায়ূন আহমেদের অন্য বই আছে, শুধু 'রূপা' নেই। যে দোকানে গিয়ে চাই সে-ই বলে, 'ছিল, শেষ হয়ে গেছে। হুমায়ূন আহমেদের অন্য বই আছে, এগুলা নেন।'

'না রে ভাই, বড়লোকের বেটি ঠেক ধরেছে, তাকে হুমায়ূন আহমেদের রূপাকেই এনে দিতে হবে।' দোকানির দিকে তাকিয়ে আমি অনুচ্চস্বরে কথাগুলো বলে অন্য দোকানের সামনে এসে দাঁড়ালাম। এখানেও নেই রূপা। কী করা যায়? আমাকে বিমর্ষ দেখে দোকানি সান্ত্বনা দিল, 'দেখুন কোথাও পেতেও পারেন।'

'সব দোকানেই তো খুঁজলাম।'

'বাংলাবাজারে চলে যান। ওখানে পাবেন।'

'রূপা' প্রকাশ করেছে বাংলাবাজারের একটি নামকরা প্রকাশনী। সেখানে গেলে পাব সেটা প্রায় নিশ্চিত। নীলক্ষেত থেকে বাংলাবাজার বেশি দূরের পথ না। কিন্তু মাত্র একটা বই কিনতে সেখানে যেতে আমার ইচ্ছে হলো না। নীলক্ষেতেই ফুটপাত, ঝুপড়ি, গলিঘুপচি সবখানে আরও খুঁজলাম। কোথাও পেলাম না। একজন কলেজ ছাত্র হয়তো আমাকে অনেক্ষণ ধরে ফলো করছিল। সে আগ বাড়িয়ে এসে বলল, 'আপনি অনেকক্ষণ ধরে কী খুঁজছেন?'

আমি যা খুঁজছি জানালাম তাকে।

সে বলল, 'একটি দোকান আছে, সেখানে পেতেও পারেন।'

'সে দোকানটা কোন্‌ দিকে?'

'এ রাস্তা ধরে সোজা যাবেন। তারপর বাম দিকে ঘুরবেন, খাবারের দোকান দেখবেন একটা। আরেকটু এগিয়ে গেলে একটা টঙ দোকানে রূপা বইটি পাবেন।'

'ধন্যবাদ।' বলেই আমি ছেলেটার দেখানো পথে এগিয়ে গেলাম। তার কথামতো সেই দোকানে বইটা পেলাম।

বেলা বেড়ে দুপুর ফুরিয়ে গেছে। এখন আর হলে ফিরে যাওয়া হবে না। কাছাকাছি কোনো রেস্টুরেন্টে খেয়ে রূপাকে পড়াতে যাব আর সঙ্গে নিয়ে যাব বইটা- এ রকম ভেবে আমি একটা রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করলাম। রেস্টুরেন্টে গিয়ে আমি যেখানে বসেছি তার ডান দিকের একটা টেবিলে রূপাকে দেখতে পেলাম! মনে হয় স্কুল থেকে এখানে এসেছে সে। তার বিএফ তাকে বারবিকিউ খাওয়াচ্ছে। আদর করে টিসু্য দিয়ে মুখও মুছে দিচ্ছে। আমি লুলুপ দৃষ্টি মেলে হ্যাবলার মতো তাকিয়ে রইলাম। হঠাৎ রূপার চোখ পড়ল আমার দিকে। রূপা লজ্জা পাবে ভেবে আমি চোখ সরিয়ে নিলাম। কিন্তু লজ্জা পেল না সে। বরং আমাকে লজ্জা দিতে ছুটে এলো। এসে চোখে-মুখে আগুনের ফুলকি ছুটিয়ে তীব্র কড়া গলায় বলল, 'আমাদের কথা যদি মাম কিংবা ড্যাডকে বলেন তাহলে আমি আর আপনার কাছে পড়ব না।'

বলেই রূপা ছেলেটার হাত ধরে টেনে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে গেল। আমি মনে মনে বললাম, 'তোমার যা খুশি করো, আমি কেন বলতে যাব? আমার বুঝি ছয় হাজার টাকার মায়া নেই!'

এরপর কী থেকে কী হয়ে গেল! দুই দিন পর রূপার বাবা আমাকে ১০ হাজার টাকার একটা খাম ধরিয়ে দিয়ে বলল, 'আপনার বেতনটা নিয়ে যান। রূপা আপনার কাছে আর পড়তে চাইছে না। তাই তার জন্য আরেকজন টিচার ঠিক করেছি। মেয়ের ইচ্ছেতে। আমি কিছুতেই ভেবে পাচ্ছি না রূপার হঠাৎ কী হলো? মাত্র তিন মাস পড়ার পর আপনার কাছে আর পড়তে চাইছে না কেন?'

এই কেন'র উত্তর আমি জানি। কিন্তু যে কথাটার উত্তর আমার আজও জানা হয়নি তা হলো- সেদিন রূপার বাবা আমাকে ১০ হাজার টাকা দিল কেন? তিনি বুঝি প্রতি মাসে আমাকে ১০ হাজার টাকাই দিতেন? রূপার মা আমাকে দিত ছয় হাজার টাকা। বাকি টাকা তাহলে কোথায় যেত? মা ও মেয়ে ভাগাভাগি করে নিত? বুঝতে পারলাম, মা ও মেয়ে ভাগাভাগি করে নিত চার হাজার টাকা আর এই অধম পেতাম ছয় হাজার টাকা!

হায় রে সোনার বাংলা দেশ! যে দেশে ঘরের ভেতরে স্বামীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে স্ত্রী দুর্নীতি করে সে দেশে আমার মতো নীতিবান টিউশন মাস্টারেরা তাদের মেয়েকে কোন নীতি শেখাবে?

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে