আহার

প্রকাশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

গোলাম কিবরিয়া পিনু
সে-এক সময় ছিল যখন ঘোড়ায় চড়ে মানুষকে হত্যা করে অস্ত্র হাতে পরের রাজ্য দখল করার পর \হরক্তমাখা হাত মুছে নিয়ে পরক্ষণেই- কী আনন্দে গোগ্রাসে খাবার খেত স্বনামধন্য হন্তারক, পোশাকে তখনও কাঁচা রক্ত লেগে থাকত অদূরে পুড়তো ঘর-বাড়ি মা ও শিশুর ক্রন্দনও শোনা যেত। এখন হয়তো এমন পরিস্থিতি নেই \হআমাদের দেশে- তবে, এর চেয়ে ভয়াবহ অবস্থার মুখোমুখি এখনো অনেক দেশের মানুষেরা- তাদের অভিজ্ঞতায় বয়ান শুনলে \হআমরা এখনো শিউরে উঠি! তবে, গোপন ও অলক্ষে কপট বেশে যে তোমাকে নিজ হস্তে রান্না করা খাবার খাওয়ায় দাওয়াত দেয় দামি হোটেল বা রেস্তোরাঁয় \হএকসঙ্গে তোমার সাথেও খায়- সেই তোমাকে ফাঁদ পেতে সুড়ঙ্গে নেওয়ার আয়োজন শেষ করে রাখে! মহুয়ার মাতাল গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে কখন যে তুমিও টুপ করে অন্ধকূপে পড়ে যাবে-টেরও পাবে না, তোমার পতনের শব্দ শুনতে পারবে না অন্য কেউ! এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে আমরা প্রতিনিয়ত \হগোপন হিংসায়-পরশ্রীকাতরতায় \হচৈতন্য হারিয়ে- ক্ষয়-ক্ষতি-দুর্ভাগ্য-পরাজয়-বিপর্যয় থেকে অন্যকে না বাঁচিয়ে ভয়াবহ জিঘাংসার মধ্যে ডুব দিই! গোপন অদ্ভুত আঁধির ভেতর থেকে মড়াকাটা ঘরে নিজের জীবন্ত দেহ, মস্তিষ্ক ও হদয় রেখে ফিটফাট পরিবেশে সাজানো-গোছানো টেবিলে গান শুনতে শুনতে মুখে তুলে নিই \হ-কত রকমের আহার!