তালগাছ আমার

প্রকাশ | ১০ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

বোরহানউদ্দীন ইউসুফ
প্রশ্ন উঠেছে তালগাছ কার; নৈতিকতার নাকি জনপ্রিয়তার! যে গাছ সবার- সে গাছ হাজারি; যে গাছ জনতার- সে গাছ রাজার-ই! তালগাছের কোনো মালিকানা হয় না! তাই এটি কখনো 'দলকানা' হয় না। তবু কিছু লোক বলছে- তালগাছ ওদের, না তালগাছ এদের! কেউ ছাল ছিলে, রস গিলে- হয়েছিল বেসামাল; কেউ ভরা ভাদরে দলবল মিলে কুঁড়িয়েছিল তাল! চূড়ান্ত মালিকানা হয়নি টানা! সবেধন তালগাছ একখানা। গাছকাটার উৎপাতে চারদিকে বজ্রপাতে করুণ মৃতু্যধ্বনি! অসীম সাহসে দাঁড়িয়ে সকাশে বাঁচিয়েছে তালগাছ তখনি। হঠাৎ কি হলো দেশে তালগাছ যত সমস্যার! পাড়া-পড়শী কিবা ভিনদেশি অংশীদার গাছের মালিকানার। একদিন ভূস্বামী বললেন, জানো কে আমি? তালগাছ আমার চাই। আরেক বেনামি- জেলখাটা আসামি হুংকার দিল তালগাছ লাগিয়েছিল আমার দাদাভাই। আমার দাদি, চোখ ভাসান কাঁদি; ওরে এ গাছ কেউ লাগায়নি! সরকারি রাস্তার পাশে কলাবাদুরের ফেলে যাওয়া শাঁসে অনাদর অবহেলায় বেড়ে উঠে এই তালগাছ। চারদিকে হৈ চৈ! তালগাছ আসলে কার! টিভিতে রিপোর্টিং পত্রিকায় সম্পাদকীয়, সমাচার। সব গুড়েবালি আকস্মাৎ আমার শালী; বলিলো হে দুলাভাই! তালগাছ কেটে ভালোমতো ছেঁটে কোষানাও বানাই। এই গাছ বাজ-নিরোধ এর চেয়ে বেশি বাজপাখির উৎপাত! হুমকির মুখে হাস-মুরগির ছানা মগডালে বাজ মহারাজ দিনরাত। অবশেষে আজ লাগছে নির্ভার! কোনো তর্ক নেই; তালগাছ আমার।