মৃতু্যর অজ্ঞাতবাস
প্রকাশ | ০১ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
বিমল ভৌমিক
নারীর সঞ্চিত সিক্ত যৌবন বসনে পুরুষ হারিয়ে যায়-
বক্ষের উষ্ণু ভাঁজে তার পথ পরিক্রমায় নিটোল যৌবাঙ্গে,
কুমারীত্ব হারানোর গল্পরা শুধু বিষাদ, উলঙ্গ হৃদয়
অস্বাভাবিক হৃদয়ে ভয়ের সঞ্চার করে রক্তাক্ত অঙ্গে।
জীবনে গান বেজে ওঠে, পুষ্পিত সৌরভে প্রলম্বিত হয়,
দৃষ্টির গভীরে যে ছবি আঁকা থাকে তা অমলিন।
হৃদয়ের ক্যানভাসে; যৌবনবতীর পুরুষ্ট প্রেমক্ষয়-
কামার্ত ওষ্ঠ পুটে সুখের আস্বাদে ভরে সে দিন।
ফুলের মতো মেলে দিতে চায় নারী, তার কামনার কুড়ি
যে অঙ্গে কামনার্ত সৌরভে জেগে ওঠে চেতনার ছায়া।
শেষের কবিতায় লাবণ্য কামনায় খুলে ফেলে পাঁপড়ি
চেতনার অভিষেকে যৌবন-জীবনে থাকে শুধু মায়া।
আলেয়ার কম্পণময় সৌন্দর্যে মাধবীর জানা-অজানা,
মরিচিকার পূর্ণীমায় আলোর নরম শুভ্র ঝরণা ধারায়-
সরে সরে যায় বুকের ভেতরে অবোধ্য যন্ত্রণায় সে ধারণা।
সময়ের সন্ধিক্ষণে নীলাঞ্জনা হও রাতের নিভুনিভু তারায়।
নীলাম্বরীর লুকানে ব-দ্বীপে তোলে ঝড় কালিদহের ঢেউ,
শূন্যতার পাত্র পূর্ণ করতে এক নারী গভীর অরণ্যে যায়,
অসমাপ্ত অতৃপ্তির ঝলকে সান্ত্বনা দেয় না তাকে কেউ-
জীবনের অতৃপ্ত আত্মা মৃতু্যময় নিকষ কালো আঁধারে হারায়।