প্রাতিভাসিক

প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

রেজাউদ্দিন স্টালিন
এমন নয় যে এর আগে সূর্যোদয় সুন্দর ছিল না প্রকৃতিতে প্রভূত পাতার আহ্বান সকালের ছিন্নভিন্ন শিশিরের দু্যতি লোকদের কোলাহল, কণ্ঠের ত্বরণ আহ্বাদে উথলানো ব্যাকুল রেস্তোরাঁ নক্ষত্রের দিকে উড়ে যাওয়া রাজেন্দ্রগতি দপ্তরের দীর্ঘ হাত, তার রোমশ থাবার স্বেচ্ছাহত আমরা কেরানি নিঃসঙ্গ পার্ক তার বেঞ্চের ক্ষয়ে যাওয়া অমল-ধবল এইসব দিগ্বিদিক অম্স্নমধুর ছিল, স্বপ্ন ও শেয়ারবাজার কিন্তু যেদিন অচেনা কণ্ঠ তাকে ডাক দিল তৃষ্ণা তপোবনে সেই থেকে আরও সুন্দর হয়ে উঠল সূর্য ও সকাল মানুষের কোলাহল বদলে হলো কোকিলের কুহু দপ্তরের দ্বৈত কাজ, কর্তৃপক্ষের সব জটিল জিজ্ঞাসা-মুহূর্তেই সরলাঙ্ক হলো আগের চেয়ে আরও মোহনীয় হয়ে উঠল ক্ষুধার খিলান ঝাড়বাতি থেকে স্ফুরিত হলো বর্ণিল বিভা সব যানজট নিভে গিয়ে পথগুলো নির্জন আলিঙ্গনের উপযোগী হলো নিঃসঙ্গ পার্ক, তার বেঞ্চের বেদনা ধুয়ে গেল একপশলা যুগল বৃষ্টিতে ইলেকট্রিক তার ছেড়ে উড়াল দেয়ামাত্র কুৎসিত কাকগুলো হয়ে গেল সাদা কবুতর রুগ্ন প্রায় শেয়ারবাজার আকাশে অশ্বের মতো লাফিয়ে উঠল বর্ণনাতীত সব কান্ড ঘটে গেল অতিপ্রাকৃত এই অন্তবিপস্নবের বাণী গুজবের মতো রাষ্ট্র হয়ে গেল দিকে দিকে কাল নিরবধি তবু হকিংসের সব তত্ত্ব মিথ্যা হয়ে মহাকাল শুরু হলো সেইদিন থেকে শনাক্তযোগ্য নয় যে সময়, সেও হৃদয়মাপক যন্ত্রে কী সহজে ধরা দিল আর এক স্বেচ্ছাচারী কবি সেই অচেনা লুপ্তপ্রায় কণ্ঠের লাবণ্য সমুদ্ধারে ব্যয় করল তার সারা জীবনের সঞ্চিত, কালি ও কলম।