তারুণ্যের ক্যানভাসে শেখ হাসিনা

প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অপূর্ব কুমার কুন্ডু
আজ যে গোধূলী বেলার মতো বার্ধক্যে উপনীত একদিন সেও তো ছিল তরুণ। উদ্দামতায় ছিল তারুণ্য। দুরন্তপানায় ছিল উন্মত্ততা। সে তরুণও হয়তো তখনকার বয়োজ্যেষ্ঠদের দেখে পাশ কাটাতো সন্তর্পণে কিংবা শ্রদ্ধাবনত হয়ে। আজকের সময়ের তরুণরা হয়তো সন্তর্পণে কিংবা শ্রদ্ধাবনত হয়ে পাশ না কাটিয়ে ঔদ্ধত্বের সঙ্গে হেঁটে যায়। কথাবার্তা আচার আচরণের বিরক্তিকরণ অভিব্যক্তি নিয়ে এলাকায় এলাকায় কিশোরের পথভ্রষ্ট চক্র হয়ে যায়। সমাজ কিংবা রাষ্ট্র থেকে সঙ্গত কারণেই প্রতিক্রিয়াও হয় অসহিষ্ণু, ক্ষতিকারক। দূরত্ব বাড়তেই থাকে। তরুণরা হয় বিচ্ছিন্ন আর বয়োজ্যেষ্ঠরা হয়ে পড়ে সংশয়ী। এই যে দূরত্ব সৃষ্টি হয় এখানে কে কতটা দায়ী! যান্ত্রিকতায় ব্যস্ততা যখন অনিবার্য তখন তরুণদের খেয়াল রাখবার মতো সময় বাবা মায়ের কোথায়! খেলার মাঠ কোথায়! বুড়িগঙ্গার মজে যাওয়া পানিতে কি ডুব সাঁতার দেয়া যায়। বিনোদিত হওয়ার মতো সাংস্কৃতিক চর্চা কোথায়! সিন্ডিকেটের প্রবল প্রতাপকে উপেক্ষা করে কতক্ষণ মাদকমুক্ত থাকা যায়! সন্ত্রাসের সংক্রমণ ব্যাধি থেকে আপনাকে বাঁচাতে সে নিজেই কখন ভুল পথে পা বাড়ায়। তরুণের বেদনা, প্রতি মুহূর্তে তার আত্মগস্নানি, পুনঃপুনঃ পরাজয়ে পর্যাবসিত হওয়ার মাঝে সেও তো চায় মাথা উঁচু করে বাঁচতে, দৃষ্টান্তমূলক কাজ করে সবাইকে চমকে দিতে, কৃতিত্ব স্থাপন করে পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বাড়াতে। কিন্তু সে রকম কাজ করার সুযোগতো সব সময় মেলে না। সুহৃদের অভাব আবার দিকনির্দেশকেরও অভাব। তেমনই সুহৃদ-দিকনির্দেশক এবং কর্মবীর সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় ১০ জন তরুণ চিত্রশিল্পীকে শতচিত্রে জননেত্রী আর্টিস্ট ক্যাম্পে টানা এক মাসের কর্ম পরিধির সময়কালে হাতে তুলে দিয়েছেন কাঠের ফ্রেমের ওপর কাপড় বসানো ক্যানভাস, রং-তুলি আর নির্জনতা নিশ্চয়তার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চিত্রকলা স্টুডিও। দিকনির্দেশনায় লিয়াকত আলী লাকী বলেন, 'শিল্পের আলোয় শেখ হাসিনা'কে উপস্থাপন করা। উন্নয়নের মহাকবি, মানবতার মা ও ২০৪১ এ বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত করা এবং তিনি কিভাবে জননেত্রী থেকে বিশ্বনেত্রী হয়ে উঠলেন তা তুলে ধরা আমাদের লক্ষ্য। তরুণ চিত্রশিল্পীরা চোখের দেখা অন্তর লোকের দেখায় আঁকবে প্রত্যেকে দশটি করে সর্বমোট ১০০টি চিত্রকর্ম। ২৮ আগস্ট থেকে আরম্ভ হওয়া ১০ চিত্র শিল্পীদের আঁকার নির্ধারিত বিষয় তারুণ্যের ক্যানভাসে দেশনেত্রী শেখ হাসিনা'। তারুণ্যের ক্যানভাসে দেশনেত্রী শেখ হাসিনা বিষয় আশ্রিত নির্মিত চিত্রকর্মগুলো নিয়ে চিত্র প্রদর্শনী আরম্ভ হবে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালায় ৬নং গ্যালারিতে, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভ জন্মদিনে। জন্মের  প্রথম বেলার শৈশব, কিশোরী বেলার হতবাক, যৌবনের লড়াই, পরিণত বেলায় প্রাজ্ঞতা, সমকালের দৃষ্টান্তসহ কত না ভাবনা শেখ হাসিনাকে ঘিরে তরুণ শিল্পীদের তা চিত্রকর্মগুলো দেখে বিস্মিত না হয়ে পারা দায়। শিল্পী তিতাস চাকমার 'শৈশব' চিত্রকর্মে রুচি-আচরণে বনেদি আবহে সপরিবারে শেখ হাসিনা, 'নেতৃত্বের যাত্রা' চিত্রকর্মে স্বাধীন রাষ্ট্রের অভু্যদয়ের দিকনির্দেশনারত পিতাকে দেখছেন দৃপ্ত প্রত্যয়ে, 'প্রজন্মের তরে' চিত্রকর্মে একপাশে বঙ্গমাতা তো অপর পাশে কন্যা পুতুল, 'স্বপ্ন আশা' চিত্রকর্মে ধরিত্রীতে ছড়িয়ে দিচ্ছেন কবুতররূপী শান্তির বারতা আর পার্বত্য শান্তি চুক্তিতে অস্ত্র গ্রহণের মধ্যে দিয়ে হিংসার অবসান। শিল্পী শিবলী হাওলাদারের 'আলোকিত বাংলাদেশ' চিত্রকর্মে আলোকিত মুখাবয়বের পাশাপাশি দেশব্যাপী প্রবাহমান বিদু্যৎ সরঞ্জামের মধ্য দিয়ে আলোকের প্রজ্বালন, 'জনতাই শক্তি' চিত্রকর্মে জনবেষ্টিত জননেত্রী, 'অগ্রযাত্রায় কৃষি' চিত্রকর্মে কৃষকের হাসিতে মুগ্ধ নেত্রী, 'বারবার মৃতু্যর মুখোমুখি' চিত্রকর্মে আত্ম জিজ্ঞাসা, আর কত দিতে হবে অগ্নি পরীক্ষা! শিল্পী জয়ন্ত সরকার জনের 'সুরক্ষিত সমুদ্রসীমা' চিত্রকর্মে উত্তাল সমুদ্রে জাহাজ ভাসিয়ে নৌপ্রধানকে পাশে নিয়ে অবিচল শেখ হাসিনা, 'জাগ্রত' চিত্রকর্মে দেয়ালে ঝুলন্ত বাবা-মায়ের ছবির সামনে প্রত্যয় নিয়ে কন্যার দাঁড়িয়ে থাকা, 'ভুলি কেমনে' চিত্রকর্মে পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের কোলে আদরের ভাই রাসেলকে প্রাণ ভরে দেখেন  তার প্রিয় হাসু আপা শেখ হাসিনা, 'জননেত্রী' চিত্রকর্মে তিনি নিজেই নিজের উপমা, রন্ধন শিল্পী চিত্রকর্মে তিনি রাষ্ট্র চালিয়েও রান্না ঘরে যেতে অজুহাতকে প্রশ্রয় দেন না। সুন্দর গ্রাম-বাংলার নকশিকাঁথা। পুরো ক্যানভাসকে নকশিকাঁথার অংকিত চাদরে ঢেকে, দেশনেত্রীর পোট্রেট মিলিয়ে, অর্জিত উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে শিল্পী সৈয়দা তামান্না আফরোজের শিল্পকর্ম সৌরশক্তি বাংলার মুখ, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, গ্রামীণ নারী উন্নয়ন, বাঙালিয়ানা প্রভৃতি। জাতীয় উপকরণের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক মাপের অংকন, শিল্পী সৈয়দা তামান্না আফরোজের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে ব্যতিক্রম সিনেমা পেইন্টার আব্দুল রব খান। এক সময় সিনেমার ব্যানার অংকন করতেন রং-তুলি দিয়ে আব্দুল রব খান। নায়ক রাজ্জাক-নায়িকা শাবানার মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীরা গাড়ির গস্নাস নামিয়ে মিলিয়ে নিতেন রব খানের আঁকার মাঝে নিজেকে। সেই রং-তুলির অংকিত ব্যানার আজ ঢাকা পড়েছে ডিজিটাল ব্যানারে। ক্ষয়িষ্ণু সময়ে সহিষ্ণু ধৈর্যে যে চিত্রকর্ম আঁকলেন আব্দুল রব খান তার থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয়া দায়। নীলাকাশে চোখ ভাসিয়ে নেত্রী দেখছেন একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সুফল, রিকশায় চড়েন- হয়ে তোমাদেরই একজন, লক্ষ্য ২০৪১ সুনির্দিষ্ট সফলতার অভিমুখী, বয়স্ক ভাতা চিত্রকর্মে বৃদ্ধা যেন নেত্রীর একান্ত আপনার, স্যাটেলাইট-বিদু্যৎ ব্যবস্থাপনায় বিপস্নব আনতে সক্ষম নেত্রীর উপস্থিতিতে অঙ্কিত চিত্রাংকন সর্বাধুনিক বোঝায় আধুনিকতা এক অর্থে দক্ষতারই সম্প্রসারণ। সম্প্রসারিত চুলের বেণীর প্রান্ত বেয়ে থেমেছে শাপলা ফুলের সম্মুখে। জাতীয় ফুলের পাশে জাতীয় নেত্রীর কিশোরী চেতনাকে অনবদ্য ভঙ্গিমায় এঁকেছে ছাইচাপা আগুন চিত্রশিল্পী সুরভী আক্তার বঙ্গললনা চিত্রকর্মে। 'সৌহার্দ্যপূর্ণ ক্ষণকাল' চিত্রকর্মে মাস দেড়েকের রাসেলকে বুকে জড়িয়ে আদর করছেন দেশনেত্রী।  পরবর্তী বাস্তবতাকে ভেবে অনুরাগীর চোখ হয়তো ভিজে যেতে পারে বেদনার আঁচড়ে। নবীন হতে প্রবীণে, বৃত্তাকার রূপ সরলতায় কিশোরী বেলা, ত্রিভুজ রূপ ক্ষমতার অন্দরে যৌবনের লড়াই আর চতুর্ভুজ রূপ স্থায়িত্বের আদলে দেশনেত্রীর অঙ্কিত পোট্রেট চিনিয়ে দেয় চিত্রশিল্পী সুরভী আক্তারের হৃদয় হরণের দক্ষতা। 'মা ও নেত্রী' চিত্রকর্মে জয়-পুতুলের পাশে স্নেহময়ী মা আবার সন্তান লালন-পালনের প্রশ্নে শাসনে দিকনির্দেশনে নির্দেশধাত্রী। চিত্রশিল্পী সৌরভ ধরের চিত্রকর্ম আলোকিত শিক্ষার দূত এ প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে প্রাথমিক শিক্ষার বই হাতে পেয়ে উদ্ভাসিত-উচ্ছ্বাসিত স্কুলের ছাত্রছাত্রী। অর্টিজম সহায়তায় বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন চিত্রকর্মে অর্টিজম শিশুর আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা বঙ্গকন্যা, 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' চিত্রে ইন্টারনেট বিশ্বের অংশীদার আমরা, 'তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার অগ্রগণ্য ভূমিকা' চিত্রে আইসিটি পুরস্কার পেয়ে পুত্র জয় তুলে দিচ্ছেন মায়ের হাতে। চিত্রশিল্পী শুভ তালুকদারের চিকিৎসা সেবায় কমিউনিটি ক্লিনিক চিত্রে ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসাপত্র মা-শিশুকে পেতে দেখে সুখী শেখ হাসিনা। তাপমাপার যন্ত্র, আগাছা নির্মূল যন্ত্র, কম্পিউটার-স্মার্ট ফোন, ফসল কাটার আধুনিক মেশিন, খননের ট্রাক্টর প্রভৃতির মধ্যে দিয়ে কৃষিবিপস্নব হতে দেখে হাস্যোজ্জ্বল শেখ হাসিনা, কৃষিতে প্রযুক্তি বিপস্নব চিত্রকর্মে। নাতনির চুলে বেণী বাঁধছেন দাদি শেখ হাসিনা 'স্নেহময়ী' চিত্রকর্মে। নেত্রীকে ঘিরে বিভিন্ন বিভাগের নারী নেত্রীদের উপস্থিতি নিয়ে শুভ তালুকদারের তেজোদীপ্ত চিত্রকর্ম 'নারীশক্তি'। ভোট ও ভাতের অধিকার স্স্নোগানকে ঘিরে গস্নাস পরিহিত নেত্রীর মুখাবয়বে চিত্রকর্ম, চিত্রশিল্পী শ্রীকান্ত রায় চৌধুরী সুবীরের ধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ। লাল রক্তে রঞ্জিত সবুজ প্রান্তরে শেখ হাসিনার সম্মুখে ন্যায় বিচারের মাপযন্ত্র দাড়িপালস্না নিয়ে অঙ্কিত চিত্র ১৯৭১ গণহত্যার বিচার। শরণার্থীদের আশ্রয়দাতা হিসেবে মাদার অব হিউম্যানিটি পদকে ভূষিতা নেত্রীকে নিয়ে চিত্রকর্ম 'মানবতার মা'। জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের নেয়া গৃহীত পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ পদকপ্রাপ্ত বিষয়ের চিত্রকর্ম চ্যাম্পিয়নস অব দা আর্থ। শ্রীকান্ত রায় সুবীরের অংকনে বিষয়ের গস্নামারাস এবং টোনের কনট্রাস্ট ফটোগ্রাফিকে চ্যালেঞ্জ জানায়। শিল্পী সুজন মাহাবুবের ক্যানভাস মায়ের আঁচল রূপ জামদানি শাড়ি হয়ে মুখাবয়বে এবং উচ্চারিত সংলাপের বুননে নেত্রীর বিচিত্র শিল্প ভাবনা। শিল্প ভবনা, গ্রামই জীবন, অবিচল, অসীম সমুদ্র, রাজনীতির শিল্পী প্রভৃতি শিল্পকর্ম শিল্পের প্রতিনিধিত্ব করছে। 'অসীম সমুদ্র' চিত্রকর্মে নেত্রীর মুখাবয়বের পাশে বর্ণমালায় ফুটে আছে শেখ হাসিনার রঙিন মনের বর্ণিল কথা, '...দেখেছি পূর্ণিমা রাত। বালুকাবেলায় জোছনা ভরা রাতে পূর্ণ জোয়ার সাগরের। শুনেছি দুরন্ত গর্জন। পূর্ণিমা রাতে যখন ভরা জোয়ার, সাগর তখন কানায় কানায় ভরা। সাগর পাড়ে বসে দেখেছি সে অপরূপ রূপ। দুচোখ ভরে দেখেছি আর মুগ্ধ হয়েছি। এত সুন্দর? শিল্পী সুজন মাহাবুব একাডেমির পক্ষে সব তথ্য অত্যন্ত দক্ষতায় সবাইকে সময়মতো জেনে জানায়।জানা এবং জানানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী যেন বেশ খানিকটা নস্টালজিক। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে নেত্রী বললেন, 'সাংস্কৃতিক আন্দোলন ছাড়া রাজনৈতিক আন্দোলনে সফল হওয়া যায় না'। '৭৫ পরবর্তী যে বাস্তবতা সেখানে ভাষা আন্দোলনের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, শুভ বুদ্ধির চেতনা বিনষ্টের ধারাবাহিক চক্রান্ত। তার উপস্থিতি এই বিরুদ্ধ শক্তির বিরুদ্ধে, শুভ শক্তির পক্ষে। সাংস্কৃতিক জাগরণের পক্ষে। তার উপস্থিতি কাব্যে, গানে বিভিন্নভাবে এসেছে। এবার এলো চিত্রশিল্পে। দশ তরুণ শিল্পীর এই শিল্প ভাবনা অঙ্কিত হলো, প্রদর্শিত হবে। নতুন শিল্পীরা উদ্ধুদ্ধ হবে, অনুরাগীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে সার্বিক বিষয়ে জানবে। ক্যাটালগ প্রদর্শিত হবে। ঢাকার পাশাপাশি জেলা শহরগুলিতে চিত্রকর্মগুলো তুলে ধরা হবে। তারুণ্যের ক্যানভাসে দেশনেত্রী শেখ হাসিনা শিরোনামের এই চিত্রকর্মের প্রদশনীতে কম-বেশি সবার উপস্থিতি সাংস্কৃতিক জাগরণকে ত্বরান্বিত করবে এবং শিল্পীদের পরিশ্রমকে স্বার্থকতা পাইয়ে দেবে বলেই বিশ্বাস।