অহংকারের প্রাসাদ
প্রকাশ | ১৮ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০
অনলাইন ডেস্ক
শাহিদ উল ইসলাম
নিজেকে হিমালয় ভেবে ভেবে একদিন দেখবে
তোমার চূড়ায় আর বরফ জমছে না!
তোমার দেহে আঁটসাঁট লেগে থাকা পাথরগুলো
আলগা হয়ে একদিন মিশে যাবে ধরার ধুলোয়।
কেউ ভুলেও বলবে না এখানে হিমালয় ছিল
কোনো পাখি আর গাইবে না তোমার গান!
তবে কেন অহংকারের প্রাসাদ গড়তে গড়তে
আকাশ ছুঁয়ে বহুতল ভবন হতে চাও!
মনে রেখো অহংকার তোমার পতন কারণ
এখনো সময় আছে মাটি মেখে মাটি হও।
তোমার চারপাশে মোসাহেবের যে আঁটি বাঁধা
মৌসুমি মাছির ঝাঁক
পা চাটা এসকল কুকুরের দল
কালে দেখবে তারা সরে গেছে দুগ্ধবতী অন্য ওলানে।
এবং তোমাকে আকাশে তুলে দেবার কথা
বলে ওরা মই সরিয়ে নিলে
ফের আবার সেইসব মীরমদনের অট্টহাসি!
সেদিন বন্ধু তুমি করো স্মরণ
ফের আবার কথা হবে দুজনার।
শেষকথা;
ভালোবাসি বলে যদিও তুমি
বুকচিরে হৃদপিন্ড নিয়ে
বারংবার হিন্দ বিনতে উতবা হয়ে যাও!
মরু খা খা বুকে যে ক্ষত এঁকে যাও তুমি
সে ঘা হয়তো কালে শুকাবে না কোনোদিন
তবুও তুমি আছো আমার হৃদ আঙিনায়
প্রভাতে সদ্য ফোটা গোলাপ।