পরাবাস্তবতা

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

সালাম সালেহ উদদীন
ফুলের বিছানা পেতে বসে আছে সাগরের জলরাশি ঢেউয়ের তোড়ে আকাশে উড়ছে পাপড়িদল উল্লাসে আকাশে বজ্রপাতহীন চঁাদহীন রংহীন রঙের খেলা কাপ্তান-নাবিক দেখছে অভিনব সব দৃশ্য শূন্যচোখে গন্ধমাদকতা সুভাস ছড়িয়ে পড়েছে সারা পৃথিবীতে ফুলেরা ভাসছে পাখিরা হাসছে মানুষের স্বপ্ন নিয়ে সময় বদলায় পৃথিবী নিয়ত বদলায় নিজস্ব খেয়ালে কাচ-পাত্র ভাঙবে না আর শত-সহস্র গাঢ় অভিমানে দুই পথে চলতে গিয়ে দোল খাই খেয়ালি মন নিরুত্তাপ জীবন ঝুলে থাকে আকাশ-বারান্দায় বৃষ্টির প্রহরে স্নান সেরে হল্লা করে প্রাণহীন ব্যথর্ সব করুণ আয়োজন গ্রামের মাঠে ফলে সূযর্ রাশি রাশি আমাদের অনুভ‚তিগুলো পাকা কঁাঠাল কামনার চোখগুলো খসে পড়ে আগুনে লাভা পান করে বেঁচে থাকি এই ক্ষণে অমরত্ব লাভের আশায় এই বাংলায় তিন দালান ঝলসানো রোদ দেখেই পাহাড় ঝলসিয়ে দিলে তুমি তোমার তীক্ষè দৃষ্টির একাগ্রতা দিয়ে ক্ষিপ্র গতিতে ছুটে এলো হরিণ-শাবক তুমি মনে করলে সোনালি মাছ হাতের কঙ্কন তোমার হাতের মুঠোয় চলে এলো আকাশ নিজেকে অলৌকিক ভাবতে গিয়ে লৌকিকতা ভুলে আয়ুষ্মান হলো তোমার সীমারেখা তোমার হৃদয় ছিটিয়ে দিয়েছো সাগর-মহাসাগরে কুড়িয়ে খায় জলজ-স্থলজ সব প্রাণী গভীর আয়েশে চার শূন্যতার শহরে ধেঁায়ার বসতি গড়ে পাবিহীন হেঁটে চলো তুমি এক অদম্য দৌড়বিদ জনকোলাহল থামিয়ে দেয় রংধনু সাইরেন গন্তব্য ও সময় চলে গেছে শুভঙ্করের হাতে পাললিক জীবন ছেনে খায় রাক্ষুসী মাছ গুচ্ছ গুচ্ছ স্বপ্ন অন্ধকারে নাচে অদৃশ্য নিয়তি বৃত্তের আকার বাড়ায় বৃত্তবন্দি ঘোরের মানুষ আদিমতা থেকে অধীনতা স্বাধীনতা সবই ফানুস পঁাচ বাতাস জমাট বেঁধে নীল হয়ে গেল আকাশ হারালো তার চিরায়ত নীলাভ গোলাপ পরিণত হলো নিষ্প্রাণ পাথরে হারালো তার সৌরভ আকষর্ণ বিমুগ্ধতা সচল শরীর পরিণত হলো মমিতে নিজস্ব কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করে ক্লান্ত চঁাদ চিরতরে হারালো তার উজ্জ্বলতা অহঙ্কারের স্নিগ্ধতাই তোমার প্রণয়-স্মারক অমরত্ব লাভের আশায় নিষ্ফল দৌড়-ঝঁাপ নশ্বর পৃথিবীতে আমাদের স্বপ্ন আজব নিশান ছয় রাতের শরীরে শীত-নিবিড় উন্মাদনা রাতের বিছানায় ঘুমিয়ে আছে পূণর্চঁাদ আকাশ ঘুমিয়ে আছে তোমার করতলে চঁাদ ক্ষয়ে গেলে প্রবল জোছনার ঢল নামে অনুবর্র পানসে চোখে অন্ধকার হেঁটে চলে মূতির্মান ছায়ার পেছনে জীবনের পিচ্ছিল পথে তোমার অশরীরী-ঘ্রাণ যেখানেই যাই অবিচল মন চাতক-সন্ধানী