আকাশকন্যাদের কথা

প্রকাশ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

রুদ্র হক
বিমান চালনা পৃথিবীর অন্যতম সাহসী ও চ্যালেঞ্জিং কাজগুলোর একটি। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ, সাহসী ও দক্ষরাই কেবল বিমান চালনার জন্য নিবাির্চত হয়ে থাকেন। একটা সময় ছিল যখন বিমান চালানোর মতো চ্যালেঞ্জিং কাজটি পুরুষের পক্ষেই সম্ভব বলে মেনে নেয়া হতো। নারীদের বিমান চালনায় দেখা যেত কালেভদ্রে। কিন্তু এ ধারণা ভুল প্রমাণ করেছেন বেসরকারি এয়ারলাইন্স রিজেন্টের পাইলট সাদিয়া আহমেদ, ফারিহা তাবাসসুম, জহুরা মাহ্জাবীন মন্দিরা, তাসনুভা ওয়াদুদ নীলমীর্ ও গুলসেতাঈন আহমেদসহ দেশের নারী বৈমানিকরা। কমাশির্য়াল ফ্লাইট ছাড়াও সামরিক বাহিনীতে যোগ দিয়ে যুদ্ধবিমানেও উড়ছেন কয়েকজন নারী পাইলট। প্রলয়ঙ্করী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ থেকে শুরু করে শত্রæপক্ষের ওপর বোমাবষর্ণসহ এখন সবই করছেন নারী বৈমানিকরা। বাংলাদেশ বিমান ও বেসরকারি এয়ারলাইন্স রিজেন্ট এয়ারওয়েজসহ সামরিক-বেসামরিক মিলে দেশে নারী পাইলটের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তারাও আকাশে রাজত্ব করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। প্রথমবারের মতো আকাশ জয়ে ইতিহাস গড়েন বাংলাদেশের দুই নারী পাইলট। প্রথমবারের মতো তারা বৈমানিক হিসেবে যুক্ত হন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে। তারা হলেনÑ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাইমা হক ও ফ্লাইং অফিসার তামান্না-ই-লুৎফি। তারা নিজ বাহিনীর জন্য বয়ে আনেন গৌরব। শুধু নিজ বাহিনী নয় তারা এখন দেশের অহঙ্কার। বৈমানিক হয়ে ওঠার প্রাথমিক ধাপের একটি অংশ সম্পন্ন করে এককভাবে উড্ডয়ন করেন দুই ‘আকাশকন্যা’।