সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
প্রতিবাদী মানববন্ধন নন্দিনী ডেস্ক বান্দরবানের লামায় দুই ত্রিপুরা কিশোরী ধষের্ণর ঘটনার প্রতিবাদে বান্দরবানে মানববন্ধন করেছে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের শিক্ষাথীর্রা। মঙ্গলবার সকালে প্রেসক্লাবের সামনে ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরামের ব্যানারে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষাথীর্রা এই মানববন্ধনে অংশ নেয়। এ ছাড়া বিভিন্ন পাহাড়ি সম্প্রদায়ের ও সংগঠনের নেতাকমীর্ সমথর্ক ও ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন। পরে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় নেতা অংথুই খ্যয় মারমা, ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফেরামের নেতা প্রশান্ত ত্রিপুরা, চাক স্টুডেন্ট ফেরামের নেতা থোয়াইক্য জাই চাক, ম্রো সম্প্রদায়ের নেতা রিংগেআং ম্রো প্রমুখ। বক্তরা অবিলম্বে ধষের্ণর ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদানের দাবি জানান। উল্লেখ্য, ২২ আগস্ট বান্দরবানের লামা উপজেলার বনফুড় এলাকায় রামখতিপাড়ায় দুই ত্রিপুরা কিশোরী ধষের্ণর শিকার হয় বলে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে লামা থানায় মামলা করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ক্যারিয়ারে নারী নন্দিনী ডেস্ক বাংলাদেশের নারীরা এগিয়ে এসেছেন তথ্যপ্রযুক্তিতে। যদিও পোশাকশিল্প, ক্ষুদ্রঋণ, চিকিৎসাসেবা, শিক্ষকতা, গবেষণা, ব্যাংকিংসহ অন্যান্য খাতে নারীর পদচারণা তুলনামূলকভাবে অনেক বেড়েছে। এমনিতেই বাংলাদেশে মোট কমর্সংস্থানের মাত্র শতকরা চার ভাগ তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত। সেখানে নারীর অবস্থান তো খুঁজে না পাওয়ারই কথা। আশার কথাÑ নারীরা এ খাতে অংশগ্রহণে কম হলেও যোগ্যতায় পিছিয়ে নেই। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়Ñ ১০ থেকে ১৫ বছর আগেও আইসিটি বা তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে একচেটিয়া বিচরণ ছিল পুরুষদের। মূল কারণ কম্পিউটার তথা আইসিটি খাতে শিক্ষা, সেবা ও ব্যবসায় যারা নিয়োজিত ছিলেন, তাদের বেশিরভাগই ছিলেন পুরুষ। কিন্তু এখন আর সে অবস্থা নেই। পাল্টেছে এ চিত্র। যদিও কম্পিউটার কৌশল, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলের মতো বিষয়গুলো নারীদের তেমন অংশগ্রহণ এখনো চোখে পড়ার মতো নয়। তবে আইসিটি খাতে নারীদের সম্ভাবনা যথেষ্ট। বিশেষ করে উন্নত বিশ্বের তুলনায় উন্নয়নশীল দেশে এ সুযোগের সম্ভাবনা আরও বেশি। কারণ অথর্নীতিতে তুলনামূলক পিছিয়ে থাকা দেশের নারীরা আইসিটি খাতের অথৈর্নতিক সম্ভাবনার গুরুত্ব বুঝতে পারছেন এবং এ খাতেই কমর্জীবন ও পেশাজীবন গড়ার কথা ভাবছেন। গণমাধ্যমে নারীর উপস্থাপন নন্দিনী ডেস্ক দীঘর্ ২০ বছর ধরে ১১৪টি দেশ থেকে সংগ্রহ করা তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে বৈশ্বিক গণমাধ্যম পযের্বক্ষণ প্রকল্পের (গেøাবাল মিডিয়া মনিটরিং প্রজেক্ট) করা ওই গবেষণায় যে চিত্র উঠে এসেছে, তা মোটেও ইতিবাচক বা সম্ভাবনাময় নয়। গণমাধ্যমে যাদের দেখা, শোনা ও পড়া হয় তাদের মাত্র ২৪ শতাংশ নারী। নারীকে অপরাধ বা সহিংসতার শিকার হিসেবে দেখানোর হার পুরুষের তুলনায় দ্বিগুণ। এই হার অপরিবতির্ত রয়েছে প্রায় এক দশক ধরে। সংবাদে বেশ কয়েকটি ভূমিকায় মানুষের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়ে থাকে। এদের মধ্যে রয়েছেন বিশেষজ্ঞ, মুখপাত্র, প্রত্যক্ষদশীর্, জনমত ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। গণমাধ্যমে নারীর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নেয়া সাক্ষাৎকার পুরুষের তুলনায় শতকরা ৩৮ ভাগ মাত্র। সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও রেডিওতে প্রচারিত প্রতিবেদনের মাত্র ৩৭ ভাগ প্রতিবেদক নারী যে হার ১০ বছরে এতটুকুও বৃদ্ধি পায়নি। সবচেয়ে বেশি নারী প্রতিবেদক পাওয়া যায় রেডিওতে, শতকরা ৪১ ভাগ এবং সবচেয়ে কম পাওয়া যায় সংবাদপত্রে, শতকরা ৩৫ ভাগ মাত্র। অনলাইন নিউজ মিডিয়ায় নারীর উপস্থিতি পুরুষের তুলনায় মাত্র ২৬ শতাংশ।