শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঝিনাইদহের ক্ষুধা জয়ী নারীরা

তারেক মাহমুদ
  ৩০ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

ঝিনাইদহের ক্ষুধা জয়ী ১৫ নারীর দরিদ্রতার সঙ্গে যুদ্ধ করেই শৈশব আর কৈশোর পেরোতে হয়েছে। শৈশব-কৈশোরের প্রতিটা দিন কাটাতে হয়েছে খেয়ে না খেয়ে। অভাবের সংসারের স্বাস্থ্যসেবা আর শিক্ষা কি তা ছিল সোনার হরিণের মতোই। ফলে খাবারের অভাবে খুব অল্প বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছে তাদের। তারপরও তাদের সবারই স্বপ্ন ছিল স্বামীর সংসারে হয়তো সুখের দেখা মিলবে কিন্তু না এবারও অভাবের মহাসাগরে নিক্ষেপ করেছে তার পরিবার। আবারও যুদ্ধ সেই দরিদ্রতার সঙ্গে। কিন্তু তারা এ যুদ্ধে কেউ হেরে যায়নি। যুদ্ধ জয় করে তারা এখন সবাই স্বাবলম্বী। প্রায় একই রকম গল্প ছিল সবারই। এ রকম ১৫ ক্ষুধা জয়ীকে খুঁজে বের করেছে জাপানভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড। যাদের সবার বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে।

তারা সবার অজান্তেই টেকসই উন্নয়ন, জৈব চাষ, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, পরিবেশ সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, যুব উন্নয়ন তথা আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্য অবসানে অবদান রেখে চলেছে। ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখায় এ সব নারীকে সম্মাননা প্রদান করবে জাপানভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড। ২৫ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে জেলার কালীগঞ্জ শহরের বলিদাপাস্থ সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে সম্মাননাস্বরূপ ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড প্রতি বছর সমাজের বিভিন্নভাবে অবদান রাখায় সম্মাননাস্বরূপ এ পুরস্কার প্রদান করে থাকে। এবার শত বাধা পেরিয়ে ক্ষুধাকে জয় করার জন্য কালীগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুরের রেনুকা আক্তার, মস্তবাপুরের মারুফা খাতুন ও তহমিনা বেগম, অনুপমপুরের মুন্নি ও জোসনা বেগম, মহেশ্বরচাদার মঞ্জুরা রানী, মলিস্নকপুরের স্বপ্না খাতুন ও রূপবান বেগম, আগমুন্দিয়ার ফারহানা বেগম, বলরামপুরের আসমানি দেবনাথ ও রেকসনা বেগম, ভোলপাড়ার ফাতেমা বেগম, হরিগোবিন্দপুরের আসমা বেগম এবং আড়ুয়াশলুয়ার রিজিয়া ও রিনা বেগমকে এ সম্মাননা দেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে