সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
প্রতিবন্ধী নারীর জীবন নন্দিনী ডেস্ক প্রতিবন্ধী নারীর জীবন কলুর বলদের চেয়েও খারাপ হবে। একজন প্রতিবন্ধীর স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য স্বাভাবিক চলাফেরা ও শিক্ষা কাযর্ক্রম চালিয়ে নেয়ার জন্য ব্রেইল পদ্ধতি, ব্রেইল মুদ্রিত বই, টেপরেকডার্র, ক্যাসেট, রাইটিং ফ্রেম, ছবি ও অন্যান্য শিক্ষাসহায়ক উপকরণ অপরিহাযর্। কিন্তু এসবের বেশির ভাগই আমাদের দেশে পাওয়া যায় না। প্রতিবন্ধীদের রয়েছে সম্ভাবনার অনেক পথ। তাদের জন্য সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সফলতার পথ দেখাতে হবে। প্রতি বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের পর আমরা অনেক কৃতী শিক্ষাথীর্, যারা প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে ভালো ফল করছে। কিন্তু এ ভালো ফল নিয়ে তারা সামনে এগিয়ে যেতে পারে না। ওদের সম্ভাবনা ও সফলতার পথ বন্ধ করে দেয় তাদের অধিকার ও আইনের দুবর্ল ব্যবস্থাপনা। উচ্চপযাের্য়র ভালো ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কোটা থাকলেও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটাব্যবস্থাই নেই। অথচ তারা একটু সুযোগ-সুবিধা পেলেই ভালো কাজে মনোনিবেশ ঘটাতে পারে। প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষায়িত শিক্ষার পাশাপাশি মূলধারায় বাধ্যতামূলক ভতির্র সিদ্ধান্ত এবং শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ খুব প্রয়োজন। মা যদি প্রতিবন্ধী হয়, এর পরও তার সুস্থ-সুন্দর শিশু উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ হয়ে সমাজ ও দেশের মঙ্গল বয়ে আনতে পারবে। সুযোগ-সুবিধা পেলে শুধু প্রতিবন্ধী মা ও শিশুই নয়; সবাই পারে উজ্জ্বল জীবনের দিকে যেতে। শুধু প্রয়োজন তাদের অধিকার এবং তাদের জন্য প্রণীত আইনগুলো বাস্তবায়ন করা। নারীর আয়ে পরিবারের কল্যাণ নন্দিনী ডেস্ক নারী ও পুরুষের সমতা হলোÑ জীবনের সবের্ক্ষত্রে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ, সমান সুযোগ-সুবিধা, সমান অধিকার, সমান ভ‚মিকা ও দায়-দায়িত্ব। এই সমতা থেকে কেবল নারীরই লাভ হয় না। পুরুষ মানুষ, পরিবার, সমাজ ও দেশও এর সুফল ভোগ করে। জীবনের শুরু থেকে শেষ পযর্ন্ত নারীরা বৈষম্য থেকে মুক্তি পেলে তারা নানাভাবে তার সুফল ছড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নারীর উন্নয়নে ১ ডলার ব্যয় করলে তা ১০০ ডলারের সুফল ফেরত দেয়। নারীরা খাদ্য-পুষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার সুযোগ লাভ করলে এর সুফল হয় বহুগুণ। সেই সঙ্গে নারীরা কিছুটা শিক্ষিত হলে শ্রমের বাজারে তাদের মজুরির বৃদ্ধি ঘটে। এ ছাড়া নারী শিক্ষা বিস্তারের কারণে বাল্যবিয়ের হার কমে। বিয়ের গড় বয়স বেড়ে যায়। এর ফলে অকালে মা হওয়ার কষ্ট থেকে তারা রেহাই পায়। নবজাতক রুগ্ণ, কম ওজন ও পুষ্টিহীন হয় না। নারী শিক্ষা শ্রমের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে। ফলে তা জাতীয় আয়ের বৃদ্ধি ঘটায়। আর নারীর প্রতি মজুরি বৈষম্য দূর করা হলে নারীর আয় উপাজর্ন শুধু বাড়ে না। সেই সঙ্গে জাতীয় উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে নারীর সাংসারিক কাজের বোঝা কমলে পরিবারের আয় উপাজর্ন ও উৎপাদনশীলতা বেড়ে যায়। অন্যদিকে দেখা গেছে, নারীর আয়-উপাজর্ন বৃদ্ধি পেলে তা পরিবারের কল্যাণেই ব্যয় হয়। নিযাির্তত বেশি বিবাহিত নারীরা নন্দিনী ডেস্ক দেশে বিবাহিত নারীদের ৮০ শতাংশই জীবনের কোনো না কোনো পযাের্য় নিজের স্বামীর মাধ্যমে অথবা অন্য কোনোভাবে শারীরিক, মানসিক, যৌন কিংবা অথৈর্নতিক নিযার্তনের শিকার হয়েছেন বলে উঠে এসেছে এক প্রতিবেদনে। জরিপে অংশ নেয়া গ্রামের বিবাহিত নারীদের ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ জীবনের কোনো না কোনো সময় স্বামীর নিযার্তনের শিকার হওয়ার কথা বলেছেন। শহরে এই হার ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ; আর জাতীয়পযাের্য় ৪৯ দশমিক ৬ শতাংশ। অথৈর্নতিক নিযার্তনের ক্ষেত্রেও জাতীয় ও প্রামীণ চিত্র প্রায় অভিন্ন। গ্রামের ১২ শতাংশ বিবাহিত নারী স্বামীর মাধ্যমে অথৈর্নতিক নিযার্তনের শিকার হওয়ার কথা বলেছেন। শহরে এই হার ১০ দশমিক ২ শতাংশ; জাতীয়পযাের্য় ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। জরিপে দেখা গেছে, স্বামী ও স্ত্রী শিক্ষিত হলে নিযার্তন করার প্রবণতা এবং নিযাির্তত হওয়ার ঘটনা কম ঘটেছে।