সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সামাজিক ব্যবসায় নারীরা নন্দিনী ডেস্ক বাংলাদেশে সাধারণ ব্যবসায় নারী নেতৃত্ব পঁাচ শতাংশ হলেও সামাজিক ব্যবসার ২০ শতাংশের নেতৃত্ব রয়েছে নারীদের হাতে। এখানে যে কমর্শক্তি রয়েছে তার ৪১ শতাংশই নারী ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের নেতৃত্বে বেটার স্টোরিজ, ইউএন লিমিটেড ও সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ ইউকের সহায়তায় ব্রিটিশ কাউন্সিল ‘দ্য স্টেট অব সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ ইন বাংলাদেশ’ এবং ‘সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ পলিসি ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ’ নামে এ গবেষণা পরিচালনা করেছে। ওই দুই প্রতিবেদন অনুযায়ী সাধারণ ব্যবসার ক্ষেত্রে পঁাচ শতাংশ নারী নেতৃত্ব থাকলেও সামাজিক ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে নারীরা ২০ ভাগ প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। সামাজিক ব্যবসায়ের কমর্শক্তির ৪১ শতাংশই নারী, যা অন্যান্য সাধারণ প্রতিষ্ঠানে নারীর অংশগ্রহণের প্রায় তিনগুণ। সামাজিক ব্যবসা হলো এমন এক ধরনের ব্যবসা, যেখানে সামাজিক উদ্দেশ্য এবং ফের বিনিয়োগের ওপর বেশি জোর দেয়া হয়। মালিক ও অংশীদাররা এজন্য শুধু মুনাফা বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব না দিয়ে সামাজিক কমর্কাÐের ওপর গুরুত্ব দেন। কমর্সংস্থানের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী, অবহেলিতদের গুরুত্ব দেয়া হয়। নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক বৈষম্য দূর করাসহ সমাজের ছোট-বড় সমস্যা নিয়ে কাজ করেন তারা। কমর্জীবী মায়ের শিশুর ডে-কেয়ার নন্দিনী ডেস্ক বতর্মান সমাজব্যবস্থায় একজন মা তার ছোট শিশুকে কোনো নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার নিশ্চয়তা না পেলে সন্তানকে রেখে কাজের জন্য ঘরের বাইরে যেতে পারেন না। তাই অনেকের চাকরি করার ইচ্ছা থাকলেও সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন না। এটা কেবল নিম্নবিত্ত কমর্জীবী মহিলাদের ক্ষেত্রে নয়। এ চিত্র সারাদেশের। এমনকি অনেক মহিলাও আছেন, যারা শুরুতে চাকরি করলেও সন্তান পালনের নিশ্চয়তা না পেয়ে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। নিজের অবতর্মানে কে দেখাশোনা করবে তার আদরের সন্তানটিকে? কোথায় থাকবে সে? ঠিকমতো খাবার খাবে তো? মায়ের মতো আদর-যতœ পাবে তো? এমন হাজারও প্রশ্ন চাকরিতে থাকা নব্য মায়েদের। নারীদের অথর্নীতিতে সমঅধিকার নিশ্চিত করতে কমর্জীবী মায়ের সন্তানদের দিবাকালীন সেবা প্রদানের লক্ষ্যে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর কতৃর্ক শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এতে মহিলারা নিজ নিজ কমের্ক্ষত্রে নিশ্চিন্তে কাজ করার আস্থা পাবে। সরকারের রাজস্ব বাজেটের আওতায় ঢাকা শহরে সাতটি এবং ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহর রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল ও খুলনাসহ মোট ১২টি ডে-কেয়ার সেন্টার নিম্নবিত্ত শ্রেণির কমর্জীবী-শ্রমজীবী মহিলাদের শিশুদের জন্য পরিচালিত হচ্ছে। ঢাকার সাতটি কেন্দ্রের অবস্থান হচ্ছে কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর, আজিমপুর, মগবাজার, রামপুরা, খিলগঁাও ও ফরিদাবাদ। এসব কেন্দ্রে প্রতিটি শিশুর জন্য মাসিক চঁাদা ৩০ টাকা করে গ্রহণ করে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়। ঢাকা শহরে প্রতিটি সেন্টারে ৮০ জন এবং ঢাকার বাইরে পঁাচটি পুরনো বিভাগীয় শহরে ৬০ শিশু সেবা প্রদানের ব্যবস্থা আছে। ছেলেসন্তান এবং মেয়েসন্তানের পাথর্ক্য নন্দিনী ডেস্ক ছেলে সন্তান এবং মেয়ে সন্তানের পাথর্ক্য আজ নতুন নয়। যদিও অনেকাংশেই এখন ভেদাভেদের তারতম্য কমেছে। কালের বিবতের্নর সঙ্গে সঙ্গে চিন্তার নতুন রূপ ধারণ করেছে পুরনো অভ্যাসের আড়ালে। এখন একটি কন্যাশিশুর আগমনে পরিবারের মানুষের মুখে ও মনে আনন্দের ব্যাপার কাজ করলেও সঙ্গে জন্ম নেয় অসংখ্য চিন্তা। শিশুর বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বড় হতে থাকে এই চিন্তাগুলো। আকারে ও পরিসরে বড় হওয়ার সঙ্গে এ ব্যাপারগুলো দাগ কাটতে থাকে সেই শিশুসন্তানটির কোমল মনের ওপর এবং এই ব্যাপারগুলো কেবল দাগই কাটে না বরং একটা নিদির্ষ্ট জায়গা করে নেয়। যা তাকে ভবিষ্যতে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে পদে পদে বাধার দেয়াল ডিঙাতে হয়। ছোট থেকেই কন্যাশিশুটি বুঝতে পারে, তার জন্য এই পৃথিবীতে প্রত্যেক ক্ষেত্রেই স্থান ভাগ করে দেয়া আছে, হোক তা বাড়ি বা খেলার মাঠ কিংবা পাঠশালা। আর এই প্রতিবন্ধকতাগুলোকে সঙ্গে নিয়ে যখন কন্যাশিশুটি বড় হতে থাকবে, তখন তার মধ্যে গুটিয়ে যাবে তার প্রতিভা, তার মতামত প্রকাশের ভাষা ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতা। শহরে এই বাধাগুলো ধীরে ধীরে কেটে গেলেও গঁায়ে এই বাধা উপেক্ষা করতে পারছে না কোনো নারী, কন্যাশিশু কিংবা বালিকা। অথচ একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে সবের্শ্রষ্ঠভাবে গড়ে তুলতে মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা দরকার সবচেয়ে বেশি।