দ্বিতীয় সন্তান আসার পরে

দুই সন্তানের পারস্পরিক সম্পকের্র মধ্যে যথাযথ ভারসাম্য বজায় রাখা বেশ কঠিন। আপনার প্রথম ছোট্ট সোনাটা আজ বেশ বড় হয়ে গেছে। তার জীবনে এসেছে একজন নতুন সঙ্গী। আপনার দ্বিতীয় সন্তান। তার থেকেও ছোট কেউ আদর আহ্লাদে বড় হচ্ছে, এটা তার মনে অনেক প্রশ্নের তৈরি করতে পারে। পরিবারের নতুন সদস্যের জন্য প্রথম সন্তানকে কীভাবে পস্তুত করবেন জানাচ্ছেন রবিউল কমল

প্রকাশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

রবিউল কমল
সন্তানের সঙ্গে আগের মতো সময় কাটান ছবি : ইন্টারনেট
এতদিন আপনার প্রথম সন্তানকেই ঘিরে ছিল সব স্বাদ আহ্লাদ। আজ কিছুটা হলেও হয়তো সেই মনোযোগ একটু কমে গিয়েছে। বেশিরভাগ বাচ্চারাই যেহেতেু এই পরিবতর্নকে দ্রæত মেনে নিতে পারে না, তাই এই পরিবতর্নটাকে একটু অন্যভাবে নিয়ে আসুন। সন্তানের জন্মের পর থেকেই আপনার ছেলে বা মেয়েকে তার সব ব্যাপারে যুক্ত রাখুন। যাতে তার মধ্যে দায়িত্ববোধ আসে এবং তার ভালো লাগে। যেমন ধরুন বাচ্চার জন্য ঘর সাজানো, জামাকাপড় কেনা, খেলনা কেনা সব কিছুতে ছেলে বা মেয়ের পরামশর্ নিন। ছোট বাচ্চার সামনে বড়জনের ছোটবেলার গল্প করুন। ভাই বা বোনের মতোই কতটা দুষ্টু ছিল বা কেমন করে খেত বা খেলত ইত্যাদি বলুন। বড়জনকে তার ভাই বা বোনের ছোটখাটো দায়িত্ব দিতে পারেনÑ যেমন ধরুন জামা পরিয়ে দেওয়া, ঘুমের সময় পাশে বসে থাকা ইত্যাদি। এতে সে নিজেকে অনেক বেশি দায়িত্বশীল ভাবতে শুরু করবে। দ্বিতীয় সন্তান আসার পরে অনেক সময় প্রথম বাচ্চার মনের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়। মা-বাবার ওপরে অভিমান হয়, ছোট ভাই বা বোনের সঙ্গে মা-বাবাকে বেশি সময় কাটাতে দেখলে রাগ হয়। এ কারণেই এটা জরুরি যে আপনি দু’জনের মধ্যে যেন যথাযথ ভারসাম্য তৈরি করতে পারেন। সন্তানের সঙ্গে আগের মতো সময় কাটান। তার কথা শোনার চেষ্টা করুন, তার ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিন। প্রয়োজনে তার প্রতি একটু বেশি খেয়াল রাখুন, যাতে সে কোনোভাবেই নিজেকে একা না মনে করে। হোমওয়াকর্ করতে সাহায্য করুন, ছুটির দিনে পছন্দের খাবার বানান। বাচ্চাকে তার দাদা-দাদির সঙ্গে সময় কাটাতে দিন। শখের কাজ করতে দিন। আপনার বড় ছেলে বা মেয়ে ছোট বাচ্চা দেখে তার কাছে থাকতে চাইবে, আদর করতে চাইবে। ছোট বাচ্চার সঙ্গে খেলার সময় কী কী সতকর্তা মেনে চলতে হবে ওকে বুঝিয়ে বলুন। খেলাচ্ছলে আঘাত লাগলে বড় ছেলে বা মেয়েকে খুব বেশি বকাবকি শুরু করবেন না। সবাই ছোটজনকে নিয়ে বেশি সচেতন বলে ও দুঃখ পেতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে প্রথম থেকেই বাচ্চাটাকে শিখিয়ে দিন সেফটি টিপস।