নারীর নিজের প্রতি যা করণীয়

প্রকাশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

মাসুমা রুমা
নারীদের সচেতন হয়ে উঠতে হবে শিক্ষার প্রতি
রোগ ব্যাধির কারণ, লক্ষণ, করণীয় নিয়ে আমরা প্রায়ই পত্র-পত্রিকার স্বাস্থ্যপাতা বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অথবা বইপত্রে নানা ধরনের লেখা পড়ি। এসব লেখা আমাদের ভেতর কম-বেশি প্রতিক্রিয়া বা সচেতনতার সৃষ্টি করে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের নারীদের স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতিমধ্যে অসংখ্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, বিশেষ করে গ্রামের পিছিয়েপড়া নারীদের জন্য। এসব উদ্যোগ নিঃসন্দেহে আমাদের বতর্মান নারীদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যতের ইঙ্গিত বহন করে। এখন প্রশ্ন হলোÑ এই উদ্যোগগুলো যে নারীদের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে গ্রহণ করা হচ্ছে বা হয়েছে এই বিষয়টি নারীরা নিজেরা কতটুকু উপলব্ধি করতে পারে বা পারছে? অথবা নারীরা এগুলো নিজেদের ভেতর কতটুকু ধারণ করতে পারছে? একজন মানুষের জীবনে শিক্ষার প্রভাব কতটুকু জরুরি সেটা আমরা তার স্বাস্থ্যগত দিক চিন্তা করলেও উপলব্ধি করতে পারি। যে কোনো বিষয় থেকে ইতিবাচক ফলাফল গ্রহণ করতে চাইলে প্রথমে বিষয়টি কী সেটা বুঝবে হবে, বিষয় সম্পকের্ পযার্প্ত তথ্য জানতে হবে, জ্ঞানাজর্ন করতে হবে এবং সবের্শষে তা নিজের মধ্যে ধারণ করতে হবে। নইলে সম্পূণর্ উদ্দেশ্যই বৃথা হয়ে যাবে। এখন, একজন নারী যদি শিক্ষিত না হন, তিনি জানতেই পারবেন না তার নিজের প্রতি নিজের করণীয় কী। একজন মানুষ নারী হোক কিংবা পুরুষ, তিনি নিজে যদি সুস্থ, স্বাভাবিক, উৎফুল্ল না থাকেন তাহলে তিনি তার চারপাশের মানুষগুলোকেও ভালো রাখার ক্ষমতা দিন দিন হারিয়ে ফেলেন। একটা সময় পর এসবের নেতিবাচক প্রভাব তার কিংবা তার পরিবারের ওপর মারাত্মক হতে পারে। কাজেই নিজের প্রতি নিজের করণীয় বা কতর্ব্যগুলো কী সেসব জানা সবার আগে জরুরি। এভাবেই নারীদের সচেতন হয়ে উঠতে হবে শিক্ষার প্রতি, স্বাস্থ্যের প্রতি। ভালোবাসার জন্ম দিতে হবে ব্যক্তি মানুষটির প্রতি। এতে কিছু নিমর্ল সম্পকের্র মেয়াদ যেমন বাড়বে, বাড়বে জীবনের প্রতি সুন্দর মনোভাব, ইতিবাচক চেতনা। বদলে যাবে জীবন, সামাজিকতা, পরিবেশ। পূণর্ হবে রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য, আমাদের স্বপ্ন এবং প্রতাাশা।