বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তাঁতশিল্পে সংসারের সচ্ছলতা

এম আবদুলস্নাহ সরকার
  ২৫ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

রায়গঞ্জ পৌরসভায় পুরুষের সঙ্গে সঙ্গে মেয়েরাও অর্থ উপার্জন করছে। সংসারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে স্বামীর আয়ের পাশাপাশি তারা সুঁই-সুতা তোলার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। সংসারে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে তারা নেমে পড়ছে অর্থ উপার্জনে। পৌরসভার অসহায় পরিবারগুলো তাঁতশিল্পের সুতা ববিনে তোলার জন্য ক্ষুদ্র মেশিন ক্রয় করে বাড়িতেই স্থাপন করে সুতা ববিনে তোলার কাজ করে যাচ্ছে। এতে দিন শেষে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে আয় করে তারা। অনেকের কাছে কাজটি কষ্টসাধ্য হলেও অভাবের সংসারে অভাব দূর করতেই তারা এ কাজ বেছে নিয়েছে বলে জানান।

রায়গঞ্জ পৌরসভায় প্রায় ৫০০ পাওয়ার তাঁত কল মালিক তাঁতের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এসব তাঁতে লুঙ্গি, গামছা ও শাড়ি উৎপাদন করে তারা। উৎপাদিত পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে এসব পণ্য উৎপাদনে প্রচুর সুতা আমদানি করেন ওইসব ব্যবসায়ী।

সুতাগুলো রঙ দিয়ে পাকা করে ববিনে তুলে কাপড় বুনতে হয়। তারা নিজেরা এ কাজ করতে পারে না বিধায় গ্রামের বিভিন্ন পরিবারে সুতা নাটাই ওয়ালাদের নিকট দিত। কিন্তু এখন কাঠের তৈরি নাটাই দিয়ে আর কেউ কাজ করে না। এখন ঘরে ঘরে সুতা তোলার মেশিন থাকায় সেখানেই কাজগুলো দিয়ে থাকে মালিক পক্ষ। পয়সা বেশি লাগলেও কাজ তাড়াতাড়ি হওয়ায় পণ্য উৎপাদন বেশি হয়। করোনায় স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় মায়ের সঙ্গে শিক্ষিত মেয়েরাও এ কাজে পরিবারকে জোগান দিয়ে আসছে। এতে সংসারে কিছুটা হলেও আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে এসেছে বলে জানান নার্গিস খাতুন নামে এক গৃহিণী।

পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাশেদা বলেন, অভাবী সংসার, ছেলেসন্তান নিয়ে চলা কষ্টকর বিধায় সুতা তোলার মেশিন কিনে বাড়িতেই এ কাজ করে যাচ্ছি। দিন শেষে কিছু আসে। মেয়র আব্দুলস্নাহ আল পাঠান বলেন, মেয়েরা বসে না থেকে পুরুষের কাজের পাশাপাশি অর্থ উপার্জনে যে কাজ করছে তাতে সংসারে কিছুটা হলেও স্বচ্ছতা ফিরে আসছে। এটা দেশের অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে