নারী জাগরণের অগ্রযাত্রায় শিক্ষকতা

প্রকাশ | ০১ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

আখতার হোসেন খান
এক সময়ে নারী মুক্তি আর নারী জাগরণ নিয়ে চলত আন্দোলন। এখন নারী জাগরণের বদলে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের প্রতিযোগিতায় মাঠে নেমেছেন নারী এবং অনেক ক্ষেত্রে পুরুষদের পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে নারীরা। তারা প্রমাণ করছে নারী শুধু দুবর্ল গৃহিণীই নয়, তারাও পারে পুরুষের মতো সকল ক্ষেত্রে প্রতিভা, শক্তি আর সাহস দেখাতে, শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে পারে কমের্ক্ষত্রে। কৃষি থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী, বিমান চালনা, ট্রেন চালনা, ব্যাংক, বীমা, অফিস এবং রাষ্ট্র চালনায়ও তারা সিদ্ধহস্ত। শিক্ষকতায়ও কম কিসে? ঘরকন্যার কাজে অধিক সময় দিতে হলেও কমের্ক্ষত্রে নিজ দায়িত্ব পালনেও তারা প্রতিভার সাক্ষর রাখছে। পুরুষের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যাচ্ছে নারীরা। তেমনি প্রতিভাময়ী শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পাওয়া একজন শিক্ষিকা ডলি রানী পাল। ২০১৮ সালে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নিবাির্চত হয়েছেন তিনি। ডলি রানী ২০১৭ সালে সেরা কন্টেন্ট নিমার্তা হিসেবে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত সরকারি আয়োজনে শিক্ষা সম্মেলনে যোগদান করেন এবং পুরস্কার অজর্ন করেন। তিনি তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং ব্র্যাকের বাস্তবায়নে প্রাথমিক শিক্ষা “ইন্টার অ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল কন্টেন্ট” তৈরির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ডলি রানী বোয়ালমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা সমিতির নিবাির্চত মহিলা সম্পাদিকা। তিনি রাষ্ট্র বিজ্ঞানের মাস্টাসর্ এবং সিইনএডবিএড করে ২০০৩ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ডলি রানী পাল ১৯৮৩ সালে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার ছোট কামার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সুকুমার পাল, মা শিখা পাল। তিন বোনের মধ্যে ডলি মেজো। অসম্ভব মেধাবী ডলি রানী পাল ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ত্রিপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমর্রত। ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি ছাড়াও নাচ গানে দক্ষতার সাক্ষর রেখেছেন তিনি। অবসরে লেখেন কবিতা। ২০১৮ সালের উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নিবাির্চত হওয়ায় তার সহকমীর্, রাহিমা খানম, সুবণার্ রায় লিপা, বণার্লী পালিত, রুমা বেগম, নাজমুল হক ও প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জন চন্দ সন্তোষ প্রকাশ করেন।