'থার্টি আন্ডার থার্টি এশিয়া ২০২১'

দুই বাংলাদেশি তরুণী শোমী ও হৃদিতা

প্রকাশ | ০৩ মে ২০২১, ০০:০০

নন্দিনী ডেস্ক
করোনা সংকটে আলো জ্বালালেন আশা জাগালেন বাংলাদেশের ৯ তরুণ। যেখানে রয়েছেন উদ্দীপ্ত দুই তরুণী। প্রযুক্তিভিত্তিক উদীয়মান খাতে অবদান এবং মানুষের জীবনমান ও সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখায় এ বছর ফোর্বস ম্যাগাজিনের 'থার্টি আন্ডার থার্টি এশিয়া ২০২১' তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের ৯ তরুণ। ২০১১ সালে ব্যবসা বিষয়ক ম্যাগাজিন ফোর্বস এই তালিকা করা শুরু করে। ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মোট ৯ বাংলাদেশি এই তালিকায় স্থান পান। আর ২০২১ সালে এসে এক বছরেই ৯ তরুণ সম্মানজনক এই স্বীকৃতি পেলেন, যা করোনা সংকটেও বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছে। সামাজিক প্রভাব ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের তিনজনের অন্যতম 'অ্যাওয়ারনেস ৩৬০'-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা শোমী চৌধুরী (২৬)। কুয়ালালামপুরভিত্তিক এনজিও অ্যাওয়ারনেস ৩৬০-এর বর্তমানে ২৩টি দেশে দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন। হাত ধোয়া, জল-পরিস্রাবণ, স্যানিটেশনসহ ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রচার চালাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। এ ছাড়া অভিযাত্রিকের রয়েছে নিজস্ব স্কুল এবং অনুদান কর্মসূচি। করোনা মহামারির সময়েও পিছিয়ে থাকেনি অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন। সম্প্রতি শোমী অর্থনীতিতে স্নাতক শেষ করেছেন ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়া থেকে। শোমীর মা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ২০১৪ সালে। এর আগেও সমাজ সচেতনতামূলক নানা কার্যক্রমের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। কিন্তু মাকে হারানোর পর পুরোদমে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে কাজ করতে শুরু করেন। কখনো ময়মনসিংহের পতিতাপলিস্ন, কখনো হরিজনপলিস্ন ঘুরে তিনি স্বাস্থ্য সুরক্ষার বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন। সমাজসেবা কার্যক্রমের পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন নানা পুরস্কার। পেয়েছেন 'ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড'। জানা গেছে, বিশ্বের ২৩টি দেশে তরুণরা অ্যাওয়ারনেস থ্রিসিক্সটির সঙ্গে কাজ করছেন। 'টয়লেটের সমস্যার সমাধানের জন্য একটা সামাজিক ব্যবসার মডেল তৈরি করছে তারা। তরুণদের সক্ষমতা তৈরির একটা প্রকল্পও শিগগিরই শুরু করবেন শোমী জানিয়েছেন। সেরার তালিকায় থাকা বাংলাদেশের অন্য তরুণী হাইড্রোকো পস্নাসের প্রতিষ্ঠাতা রিজভানা হৃদিতা (২৮)। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ঢাকাভিত্তিক হাইড্রোকো পস্নাস নিরাপদ পানি নিয়ে কাজ করে। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সেবামূলক সংস্থা পানির গুণগত মান নিয়ে করা তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। গত বছর ফোর্বসের এশিয়ার ৩০ বছরের কম বয়সি উদ্যোক্তা ও সমাজ পরিবর্তনকারী তালিকায় ছিলেন বাংলাদেশের রাবা খান ও ইশরাত করিম।