বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

তুরস্কে কর্মজীবী নারীদের জয়যাত্রা

নন্দিনী ডেস্ক
  ৩১ মে ২০২১, ০০:০০

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো তুরস্কের নারীরাও কর্মক্ষেত্রে আর পিছিয়ে থাকতে চাইছেন না? শীর্ষ স্থানীয় পদগুলোতেও আসীন হচ্ছেন অনেক নারী? সফলও হচ্ছেন তারা।

তুরস্কের শীর্ষ স্থানীয় নারী ম্যানেজার গু্যলার সাবানজে জার্মান শিল্পপ্রতিষ্ঠান সিমেন্সের সুপারভাইজরি বোর্ডে সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সম্প্রতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগাজিন ফোর্বসের এক তালিকায় ২০১২ সালের ১০০ ক্ষমতাশালী নারীর একজন বলে গণ্য করা হয়েছে তাকে। ৫৭ বছর বয়স্ক সাবানজে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান সাবানজে হোলডিংয়ে পরিচালন পরিষদের প্রধান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছেন।

পশ্চিমা দেশগুলোর প্রচার মাধ্যমে তুরস্কের নারী প্রসঙ্গে প্রায়ই একটা নেতিবাচক চিত্র তুলে ধরা হয়। যেমন- নারী বৈষম্য বা নারী নির্যাতনের খবরাখবরই প্রাধান্য পায় সেখানে। সিমেন্সের উঁচু পদে তুরস্কের এক নারী ব্যবসায়ী নির্বাচিত হওয়ায় তুরস্কের সমাজে নারীর স্থান সম্পর্কে সম্পূর্ণ এক অন্য চিত্র উঠে আসে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে নারী আসন সংরক্ষিত রাখার ব্যাপারে আলাপ আলোচনা-তর্ক-বিতর্ক যখন তুঙ্গে, তখন তুরস্কের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের প্রথম সারির পদগুলোর ২৬ শতাংশই মেয়েদের দখলে। দেখা যায় নেতৃস্থানীয় পদগুলোতে নারী কর্মীর গড় সংখ্যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের চেয়ে তুরস্কে অনেক বেশি।

তুরস্কের বৃহৎ মোবাইল ফোন সংস্থা তুর্কসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লালে সারাল ডেভেলিওলু নেতৃস্থানীয় এক সফল নারী কর্মী। ৮টি দেশে ছড়িয়ে থাকা কোম্পানির শাখা প্রতিষ্ঠাগুলোর দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে 'তুর্কসেল ইউরোপ'।

নারী উন্নয়নে স্নোড্রপস নামের একটি প্রকল্পের উলেস্নখ করা যায়। এটির সঙ্গে লালে সারালও যুক্ত। ২০০০ সাল থেকে প্রকল্পটির পক্ষ থেকে দরিদ্র পরিবারের ৯৫০০০ মেয়েকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। এই সাহায্য ছাড়া এই সব মেয়ের স্কুলে পড়া সম্ভব হতো না।'নারীশক্তি এবং অর্থনীতি' নামে আরেকটি প্রকল্পও নারীদের বিকাশে সাফল্য দেখিয়েছে। আর্থিক দিক দিয়ে দুর্বল নারী ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ দিচ্ছে সংস্থাটি। ৫৫০০০ ব্যবসায়ী এই সুবিধা পাচ্ছেন। সামনের চার বছরে এই ঋণ পাবেন আরও এক লাখ নারী ব্যবসায়ী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে