স্কুল সময় সন্তানের বিষয়ে সচেতন হোন

প্রকাশ | ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

আকাশ বন্ধু
একটি শিশুর বড় হওয়া থেকে শুরু করে লেখাপড়া মানসিক শারীরিক পরিবতের্নর ক্ষেত্রে সবার আগে বিরাট ভ‚মিকা রাখে পরিবারের সদস্যদের। সন্তানদের নামকরা প্রতিষ্ঠানে ভতির্র জন্য প্রতিনিয়ত চলছে প্রতিযোগিতা, তার সঙ্গে সন্তান ও পরিবারের খরচ সামলাতে পরিবারের মা বাবা দু’জনকেই ছুটতে হচ্ছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে শ্রমের মজুরি খুবই কম সেই কারণে ব্যয়ের চেয়ে আয়ের ওপর চাপ পড়ে এই কারণে সন্তানদের দিকে সঠিকভাবে নজর দিতে পারে না। প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা ২০/২৫ বছর আগে পরীক্ষায় ৬০-এর উপরে নাম্বার পেয়ে মোট ৬০০ নাম্বার হলেই তাকে প্রথম বিভাগ বলা হতো। এখন সব বিষয়ে ৮০ নম্বরের উপরে হলেই তাকে গোল্ডেন এ+ বলা হয়। এতেই আমরা বুঝতে পারি প্রতিযোগিতা কতটুকু হচ্ছে। আমাদের দেশ মুসলিম দেশ, কিন্তু পাশ্বর্বতীর্ দেশগুলোর অনেক প্রভাব পড়ে আমাদের ওপর। এতে করে বতর্মান সন্তানরা পাশ্বর্বতীর্ দেশকে অনেকটা অনুসরণ করছে। উন্নতির শিখরে পেঁৗছাতে খুব সহজেই হাতের কাছে মোবাইল ও ইন্টারনেট পাচ্ছে ওরা। এই ইন্টারনেট ফেইসবুক ওদের কতটুকু সাহায্য করছে আর কতটুকু প্রভাব ফেলছে, কিছুদিন আগেও পরিবারগুলো সন্তানদের এগুলো থেকে দূরে রাখতে চেয়েছে। কিন্তু আধুনিকতা আর সুযোগের কারণে এখন এগুলো ওদের হাতের কাছে। সুইচ টিপলেই বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে ওরা। আমাদের দেশের প্রাকৃতিক ও জলবায়ুর কারণে বয়সের তুলনায় ওরা বেশি বোঝার ক্ষমতা রাখে এবং হাতের কাছের সুবিধাগুলো পেয়ে নিজেদের একটু আগেই বড় ভাবতে শুরু করে। যা আমরা পরিবারের সদস্যদের বুঝতে পারি না। আর পরিবারের সদস্যদের ব্যস্ততার কারণেও সন্তানরা তাদের ব্যক্তিতগত কথা সমস্যাগুলো বলার সুযোগ পাচ্ছে না। এতে করে ওরা বাহিরমুখী হয়ে পড়ে। যে সময় ওরা ঘরের সদস্যদের সঙ্গে থাকার কথা। সেটা না পেয়ে মোবাইল ইন্টারনেট আর বন্ধুদের ওপর নিভর্র হয়ে পড়ে। বতর্মানে মাদকের বিশাল ছোবল পড়ছে সন্তানের ওপর। দেশে জালের মতো ছড়িয়ে পড়েছে মাদক। বেশ কিছুদিন যাবৎ সমাজের বিশাল এক আতঙ্কের নাম হলো ইভ টিজিং। বতর্মান উচ্ছৃঙ্খল যুবসমাজ আর বখাটেদের অত্যাচারে মেয়ে পরিবারগুলো ভয়ে থাকে। যুব সমাজের অত্যাচারে আত্মহত্যা করছে মেয়েরা আর খুন হচ্ছে অভিভাবকরা। আমরা পরিবারের বড়রা কি জানি আমাদের সন্তানরা কোথায় আছে। কি করছে। এই ধরনের লেখার জন্য মাঝেমধ্যে সমস্যায়ও পড়তে হয়। ৮ম শ্রেণি থেকেই পরীক্ষাথীের্দর পড়ার খুব চাপ পড়ে, এতে করে ওদের অনেক প্রাইভেট কোচিংয়ে দিতে হয়। আবার বিভিন্ন সময় ব্যবহারিক ক্লাসও থাকার কারণে নিদির্ষ্ট সময়ের থেকেও বেশি সময় ওদের থাকতে হচ্ছে। এই পড়ার সময়ে ওরা ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় থাকতো? নাকি আপনার অবতর্মানে এই সুযোগটা ওরা গ্রহণ করছে এবং ভুল পথে যাচ্ছে এটা দেখার দায়িত্ব আপনার নিজের।এভাবে প্রতিনিয়ত রুটিনের বাইরে চলছে অনেক শিক্ষাথীর্। যে সময় ওদের স্কুলে থাকার কথা ওরা থাকছে না। সময়ের আগেই ঘর থেকে বের হয় আবার ঠিক সময়ে পেঁৗছায় না। সেই সময়ে আপনার সন্তান কোথায় থাকে তা জানা দরকার আপনার। এসব ক্ষেত্রে স্কুলগুলো তেমন ভূমিকা রাখতে পারে না। ছোট বাচ্চাদের অভিভাবকরা নেয়া আনা করে একটু বড় হওয়ার পর অনেকে একা চলাচল করে। পরিবারের সন্তানটি কখন কার সঙ্গে চলছে এর খবর রাখা প্রয়োজন আপনার। অনেক স্কুলের শিক্ষাথীের্দর স্কুল চলাকালীন সময়ে ফাস্টফুডের দোকানে দেখা যায় ওদের পরিবারগুলো তার কোন খবর জানে না। এসব ব্যাপারে সন্তানের সঙ্গে আপনাকেই খোলামেলা আলাপ করতে হবে। ভালো এবং মন্দের দিকগুলো তুলে ধরুন ওদের সামনে। বয়সের চেয়ে ওর ভাবনাটা কি একটু বেশি তা বুঝতে চেষ্টা করুন। আসুন পরিবারের সদস্যরা একটু সচেতন হই আর খেঁাজ নেই এ মুহূতের্ আমার আপনার সন্তানটা কোথায় আছে? কার সঙ্গে আছে? কি করছে? ভুল পথে পা রাখছে না তো?