সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
নারী আন্দোলনের অগ্র সেনানি ইলা মিত্র নন্দিনী ডেস্ক উপমহাদেশের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন এবং ঐতিহাসিক তেভাগা তথা নাচোল কৃষক আন্দোলনের পুরোধা ইলা মিত্র ১৯২৫ সালের ১৮ অক্টোবর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ২০০২ সালের ১৩ অক্টোবর এই মহীয়সী নারী মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার বাগুটিয়া গ্রামে ছিল তার আদিনিবাস। ছয় ভাইবোনের মধ্যে বড় ইলা মিত্র। পিতা নগেন্দ্রনাথ সেন তৎকালীন বাংলার ডেপুটি অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল ছিলেন। তিনি মাত্র ১৮ বছর বয়সে কমিউনিস্ট পাটির্র সদস্য হন এবং কমিউনিস্ট পাটির্র উদ্যোগে জঙ্গি নারী গণসংগঠন ‘মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি’র সঙ্গে যুক্ত হয়ে নারীর অধিকার খবর্কারী হিন্দু কোড বিলের (রাও বিল) বিরুদ্ধে নারী আন্দোলন জোরদার করেন। সামন্ত প্রথা অবসানে জঙ্গি কৃষক আন্দোলন এবং পশ্চিম পাকিস্তানের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংগ্রামী চেতনার অগ্রদূত ছিলেন ইলা মিত্র। কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষ এবং জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্র্রদায়ের কাছে ইলা মিত্র ছিলেন প্রেরণার উৎস। তিনি নাচোলের কৃষক-জনতাসহ সঁাওতালদের প্রাণপ্রিয় ‘রানী মা’ হিসেবে তাদের অন্তরে সদাজাগ্রত ছিলেন। গরিব কৃষকরা যাতে তাদের ন্যায্য অধিকার আদায় করতে পারে, আন্দোলন গড়ে তুলতে এবং সেই আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের সম্পকের্ সচেতন হয়ে উঠতে পারেন, সেজন্য তিনি তাদের পাশে দঁাড়িয়েছিলেন। শ্রমজীবী নারীর ছুটি নন্দিনী ডেস্ক ১৯৯৫-এর সেপ্টেম্বরে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ আয়োজিত চতুথর্ বিশ্ব নারী সম্মেলনের গৃহীত প্লাটফরম ফর অ্যাকশন ১৬৭ ধারায় কমীর্ নিয়োগের সুযোগ, উপযুক্ত কাজের পরিবেশ এবং ভ‚মি মূলধন ও প্রযুক্তির ওপর নিয়ন্ত্রণসহ নারীর অথৈর্নতিক স্বনিভর্রতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কমর্সূচি নেয়ার কথা বলা হয়েছে। প্লাটফরম ফর অ্যাকশনের ১৮০ ধারায় কমের্ক্ষত্রে পেশাগত পৃথকীকরণ ও বৈষম্য দূর করার জন্য সরকারের নিয়োগকারী, ট্রেড ইউনিয়ন ও নারী সংঘঠনগুলোর করণীয় বিষয়ে বলা হয়েছে। ১৮১ ধারায় সুপ-রিবতর্নীয় কাজের পরিবেশ কাজের সুষ্ঠু সমন্বয় এবং পারিবারিক দায়-দায়িত্ব নারী ও পুরুষের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়ার কথাও বলা হয়েছে। সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদে জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণের নিশ্চয়তাসহ কমের্র গুণ ও মান বিবেচনা করে মজুরির বিনিময়ে কমর্সংস্থানের নিশ্চয়তা এবং সামাজিক নিরাপত্তার কথা বলা হলেও প্রায় সবক্ষেত্রে নারীশ্রমিকরা মৌলিক অধিকারবঞ্চিত মজুরিতে বৈষম্যের শিকার আর নিরাপত্তাহীন জীবনযাপন করতে যেন বাধ্য হচ্ছে। সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কমর্ হচ্ছে কমর্ক্ষম প্রত্যেক নাগরিকের পক্ষে অধিকার, কতর্ব্য ও সম্মানের বিষয় এবং প্রত্যেকের কাছ থেকে যোগ্য অনুসারে ও প্রত্যেককে কথানুযায়ী এ নীতির ভিত্তিতে প্রত্যেকে স্বীয় কমের্র জন্য পারিশ্রমিক লাভ করবেন। গ্রামীণ নারী দিবস নন্দিনী ডেস্ক ২০০০ সাল থেকে গ্রামীণ নারীদের বাস্তবতাকে তুলে ধরে তাদের অথৈর্নতিক ও সামাজিক মযার্দা সুসংহত করা এবং তাদের অধিকার বাস্তবায়ন ও ক্ষমতায়নে সচেতন করার লক্ষ্যে প্রতিবছর ১৫ অক্টোবর পালিত হয় ‘বিশ্ব গ্রামীণ নারী দিবস’। জাতিসংঘের অথৈর্নতিক সমীক্ষার তথ্যমতে, বাংলাদেশে নারী-পুরুষের অনুপাত ১০০:১০২। সারা দিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করার পরেও ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রামীণ নারী শ্রমিকরা। পুরুষের পাশাপাশি একই কমর্ঘণ্টায় একজন নারী মজুরি পায় একজন পুরুষ শ্রমিকের কম। এ বৈষম্য কেন? দিনরাত পরিশ্রম করেও ন্যায্য মজুরি পায় না নারী। নিজ সংসারেও হচ্ছে উপেক্ষিত। নারী বলে সইতে হয় নানা নিযার্তনও। অশিক্ষা আর সচেতনতার অভাবের কারণেই গ্রামীণ নারীরা সব ক্ষেত্রে অধিকারবঞ্চিত হচ্ছে বলে মনে করে নারী সংগঠনগুলো। সমাজ-সংসার-কমের্ক্ষত্র থেকে শুরু করে প্রতিটি জায়গায় নারীকে কোনো না কোনোভাবে নিযার্তন ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। নারীদের পশ্চাৎপদতার আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারণ সামাজিক বিধিনিষেধের বেড়াজাল। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ তাদের কতৃর্ত্ব বজায় রাখতে গিয়ে নারীদের পেছনে ঠেলে দিচ্ছে। যদিও সরকার নানামুখী কমর্সূচি গ্রহণ করেছে তবুও সামাজিক বিধিনিষেধের বেড়াজাল ডিঙিয়ে তা গ্রামীণ নারীদের কাছে পেঁৗছে দিতে পারছে না।