বিশ্বের নারীদের জন্য ইউএন উইমেন

প্রকাশ | ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

নন্দিনী ডেস্ক
দীঘর্ কয়েক দশক ধরে জাতিসংঘের নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে নারী-পুরুষের মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তাৎপযর্পূণর্ অগ্রগতি। নারী সমাজ পেয়েছে বেইজিং ঘোষণা ও বেইজিং প্লাটফরম ফর অ্যাকশন এবং সিডওর মতো মাইলফলক চুক্তি। নারী-পুরুষের সমতা বা জেন্ডার সমতা শুধু মৌলিক মানবাধিকার নয়, এ ক্ষেত্রে অগ্রগতি আথর্-সামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রেও বিশাল ভ‚মিকা রাখে। নারীর ক্ষমতায়ন অথৈর্নতিক সমৃদ্ধি, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও অথৈর্নতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। এখনো নারীরা মানসম্পন্ন কাজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত, এখনো তারা পেশাগত ও মজুরি বৈষম্যের শিকার। নারীরা অধিকাংশ সময়ই মৌলিক শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ পায় না। বিশ্বের সব নারীই সাধারণভাবে বৈষম্য আর নিযার্তনের শিকার। রাজনীতি ও অথর্নীতির সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর প্রতিনিধিত্ব এখনো খুবই কম। বহু বছর জাতিসংঘ নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে অথর্ সঙ্কট, জেন্ডার সমতার লক্ষ্য পূরণে স্বতন্ত্র দায়িত্ব নিয়ে কাযর্ক্রম পরিচালনায় নানা ধরনের সমস্যা/চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছে। এসব চ্যালেঞ্জ বা সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইউএন উইমেন। নারী এবং কন্যাশিশুদের জন্য ইউএন উইমেন অত্যন্ত শক্তিশালী সমথর্ক হিসেবে কাজ করবে। স্থানীয়, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক পযাের্য় তাদের দাবি তুলে ধরার জন্য সৃষ্টি করবে যথাযথ সুযোগ। জাতিসংঘ চাটাের্রর সমতার লক্ষ্য পূরণে ইউএন উইমেন কাজ করেÑ নারী এবং কন্যাশিশুদের প্রতি বৈষম্য বিলোপের জন্য নারীরা ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠার জন্য উন্নয়ন, মানবাধিকার, মানবিক উদ্যোগ, শান্তি ও নিরাপত্তার অংশীদার এবং উপকারভোগী হিসেবে নারী-পুরুষের মধ্যে সমতা আনার জন্য।