মাতৃমৃত্যুর হার এখনো আশঙ্কাজনক

প্রকাশ | ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

নন্দিনী ডেস্ক
স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের রয়েছে বৈষম্য। দেশে নারী স্বাস্থ্যের অবস্থা খুবই নাজুক। পুরুষদের যতটুকু স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার সুযোগ আছে নারীরা সেটুকু সুযোগ থেকেও বঞ্চিত। মাতৃমৃত্যুর হার এখনো আশঙ্কাজনক। চতুথর্ পঞ্চবাষির্ক পরিকল্পনার স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুচ্ছেদের শুরুতেই বলা হয়েছে ‘স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যে কোনো ব্যক্তির মৌলিক অধিকার’। পঞ্চম পঞ্চবাষির্ক পরিকল্পনায় বলা হয়েছে ‘চিকিৎসাসেবা প্রদান করা সরকারের একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা’। ‘স্বাস্থ্যবান বাংলাদেশের সন্ধানে : একুশ শতকের প্রত্যাশা’ শীষর্ক বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপুষ্টি ও শিশুর মৃত্যুর দিক থেকে বাংলাদেশের স্থান তালিকার শীষের্। এর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা এবং প্রধানত অপযার্প্ত স্বাস্থ্যসেবা। বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ মা ও শিশু অপুষ্টির স্বীকার। প্রতিদিন ৬০০ শিশুর মৃত্যু ঘটে অপুষ্টির কারণে এবং প্রতিবছরে ২৮ হাজার মায়ের মৃত্যু ঘটে গভর্ধারণসংক্রান্ত রোগ-ব্যাধি ও জটিলতায়। বছরে ৩৩ লাখ ৩০ হাজার শিশুর জন্ম হয়, এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের (১১ লাখ ১০ হাজার) জন্মকালীন দৈহিক ওজন হয় স্বাভাবিকের চেয়ে কম। পঁাচ বছরের কম বয়সী শিশুদের দুই-তৃতীয়াংশ অপুষ্টিতে ভোগে। ছয় থেকে সাত মাস বয়সী শিশুদের স্বাভাবিক দৈহিক বৃদ্ধি ঘটে না। সন্তান জন্মদানের সময় প্রতি এক হাজার প্রসূতির মধ্যে পঁাচজন মারা যায়। প্রতি নয়জনের মধ্যে একজন শিশু পঁাচ বছর বয়সের আগে মারা যায়। শিশুমৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ নিউমোনিয়া, উদরাময়, অপুষ্টি, হাম ও জন্মের সময় ধনুষ্টঙ্কার। বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর আরও একটি প্রধান কারণ জন্মকালীন স্বল্প ওজন।