খাদ্য নিরাপত্তায় গ্রামীণ নারী সমাজের ভ‚মিকা

প্রকাশ | ১২ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

নন্দিনী ডেস্ক
দেশীয় পদ্ধতিতে শস্য আবাদ, খাদ্য নিরাপত্তা ও সামগ্রিক ভারসাম্য রক্ষায় গ্রামীণ নারীসমাজের ভ‚মিকা অসামান্য। কৃষিব্যবস্থা কাঠামো গড়ে উঠেছে নারীদের জ্ঞান, পরিশ্রম আর অনুশীলনের মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় ঐতিহ্য ও জ্ঞানের বাহন হচ্ছে আমাদের নারীসমাজ। এমনকি উদ্ভিদ সংরক্ষণ ও ভেষজ ওষুধ ব্যবহারে তারাই প্রধান ভ‚মিকা রেখেছে। উৎপাদন ব্যবস্থায়ও নারীদের রয়েছে অসামান্য অবদান। কিন্তু বতর্মানে বাজার নিয়ন্ত্রিত কৃষিব্যবস্থা জন্ম দিচ্ছে বীজ ব্যবসার। ফলে আমাদের কৃষিনিভর্রশীল হয়ে পড়ছে বাজারের ওপর। কৃষকের ঘরের বীজ আর ঘরে থাকছে না। বাজার থেকে কেনা হাইব্রিড বা বন্ধ্যা বীজ ব্যবহার করেই করতে হচ্ছে চাষাবাদ। এই হাইব্রিড থেকে আবার বীজ উৎপাদন সম্ভব নয়। এর ফলে কৃষক নিভর্রশীল হয়ে পড়ছে বীজ ব্যবসার ওপর, আর সম্মুখীন হচ্ছে অথৈর্নতিক ক্ষতির। বাজারমুখী ও বাজার নিয়ন্ত্রিত কৃষি আর প্রাণ সম্পদের অপরিণামদশীর্ ব্যবহারের ফলে আমাদের বিপুল প্রাণবৈচিত্র্যের জন্য তা হয়ে পড়ছে হুমকিস্বরূপ। ইতোমধ্যে উদ্ভিদ জগতের প্রায় শতকরা ৭০ ভাগ প্রজাতি হারিয়ে গেছে। পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষা, পারিবারিক ও সামাজিক সম্পকের্র সমন্বয় বিনষ্ট হচ্ছে। কিন্তু মানবজাতির বসবাস উপযোগী পরিবেশ ও স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা করা গুরুত্বপূণর্। বহুমুখী শস্য আবাদ ও সার-কীটনাশকবিহীন দেশীয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূণর্।