মুরগি পালনে স্বাবলম্বী আছিয়া

প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

মো.নজরুল ইসলাম, মধুপুর সংবাদদাতা
টাঙ্গাইলের মধুপুরে নিজ মুরগির খামারে আছিয়া বেগম
টাঙ্গাইলের মধুপুরে মুরগি পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন আছিয়া বেগম নামের এক গৃহবধূ। উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা হতদরিদ্র মোতালেব মল্লিকের স্ত্রী আছিয়া বেগম। স্বামী-স্ত্রী, ২ ছেলে ১ মেয়েসন্তানসহ ৫ সদস্যের সংসার। স্বামী মোতালেব অন্যের পোল্ট্রি ফামের্ দিনমজুরের কাজ করত সেখানে যা আয় করত তা দিয়ে সংসার চলতো না। অথের্র অভাবে সংসার চালানো তার পক্ষে খুবই কষ্টকর, অন্যদিকে মাথা গেঁাজার ঠঁাইটুকু তাদের ছিল না এ অবস্থায় মোতালেবের পক্ষে এত বড় সংসার এবং ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ জোগানো অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হযে পড়ে। কীভাবে সংসারের সচ্ছলতা ফিরে আসবে, এ নিয়ে দুচিন্তায় পড়ে যায় আছিয়া বেগম। তবে স্বামী-স্ত্রী মিলে নিজের পায়ে দঁাড়ানোর প্রবল ইচ্ছা ও চেষ্টা ছিল তাদের কিন্তু অথের্র অভাবে কোনো কিছু করতে পারছিল না তারা। এ অবস্থায় বাংলা-জামার্ন সম্প্রীতি (বিজিএস), মাইক্রোফাইন্যান্স প্রোগ্রামের মধুপুর শাখার ক্রেডিট অফিসার আবুল বাসারের সহায়তায় আছিয়া বেগম ঈগল কেন্দ্রের সদস্য হয়ে প্রথমে ৩০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করে প্রথমে ছোট একটি পোল্ট্রি ফামের্ ২৫০টি মুরগি দিয়ে শুরু করেন এবং ভালো লাভের মুখ দেখেন, শুরু হয় পথচলা। পরে দ্বিতীয় দফায় ঋণ গ্রহণ করে পোল্ট্রি ফামের্ বিনিয়োগ করে বতর্মানে ১০০০ হাজার মুরগির বাচ্চা দিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারিত করেন মোটামুটি লাভ করে তা দিয়ে নিজস্ব দুই রুমবিশিষ্ট টিন দিয়ে চারচালা ঘর তৈরি করে স্বামী-স্ত্রী, ছেলেমেয়ে নিয়ে বসবাস করছেন আছিয়া বেগম। বতর্মানে তার দুই ছেলে এক মেয়ে স্কুলে যায়। সাহস আর ইচ্ছাশক্তির বলে দারিদ্র্যকে জয় করে সংসারে এনেছে সচ্ছলতা। স্বামী মোতালেব জানান, তার ছিল অভাবের সংসার; কিন্তু তার স্ত্রীর ইচ্ছা ও চেষ্টার ফলে সংসারের সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। আয়ের পথ সুগম, অথর্ দিয়ে সাহস জোগানোর জন্য বাংলা-জামার্ন সম্প্রীতিকে (বিজিএস) ধন্যবাদ এবং সংস্থার সফলতা কামনা করেন। আছিয়া বেগম জানান, মুরগি পালন করে এখন আমি মোটামুটি ভালো আছি। স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখী। বাংলা-জামার্ন সম্প্রীতি (বিজিএস) মধুপুর শাখার ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম জানান, বাংলাদেশ সরকার যে উন্নয়নের জোয়ার তুলেছে তারই পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা হিসেবে বিজিএস বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে নানামুখী উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আছিয়া বেগমকে অনুকরণ করে যদি সমাজের হতদরিদ্র মানষ আত্মকমর্মুখী হয় তাহলে সমাজের সাফল্য অনিবাযর্। আগামীতে বাংলা-জামার্ন সম্প্রীতির (বিজিএস) উন্নয়নমূলক কাযর্ক্রম আরও সম্প্রসারিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।