‘বিয়ে নয়, লেখাপড়া শিখতে চাই’

প্রকাশ | ২৬ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

নন্দিনী ডেস্ক
আমি বিয়ে করতে চাই না, লেখাপড়া শিখতে চাই। অথচ আমার মা আমাকে জোর করে বিয়ে দেয়ার জন্য খুব চাপ প্রয়োগ করছেন। এমনকি আমার গায়ে পযর্ন্ত হাত তুলেছেন। আমার বয়স এখনো ১৮ হয়নি। অথচ আমার মা আফরোজা পারভীন জোর করে অথের্র লোভে ঘের ব্যবসায়ীর সঙ্গে আমার বিয়ে দিতে চান। এমন অভিযোগ করেন সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী গ্রামের আসাদুজ্জামানের মেয়ে শিউলী পারভীন সুমি। ‘আপনারা বিয়েটা বন্ধ করুন’- এমন আকুতি জানিয়ে শিউলী পারভীন সুমি আরও জানান, জন্মসনদ অনুযায়ী আমার বয়স ১৬ বছর তিন মাস। এসএসসি পরীক্ষায় পাস করার পর বাবার পরামশর্ অনুযায়ী নানা কাসেদ আলী গাজীর বাড়িতে থেকে সীমান্ত আদশর্ কলেজে ভতির্ হয়ে এইচএসসি প্রথম বষের্ লেখাপড়া করছি। সুমি বলেন, আমার মা লেখাপড়া বন্ধ করে বিয়ে দেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আমার বাবা চান আমি লেখাপড়া করি। কিন্তু মা চাইছেন না। জোর করে বিয়ে দিতে চান। বিয়ে দেয়ার জন্য ১৭ নভেম্বর জোর করে নানার বাড়ি থেকে কালিগঞ্জ নিয়ে এসেছেন। মানসিকভাবে খুব চাপ প্রয়োগ করছেন বিয়ের জন্য। আমি বিয়ে করতে চাই না। লেখাপড়া শিখে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে চাই। অভিযোগ অস্বীকার করে সুমির মা আফরোজা পারভীন বলেন, আমার মেয়ের বয়স এখন ১৯ বছর হয়েছে। সাটিির্ফকেটে দুই বছর কম দেয়া হয়েছিল। জোরপূবর্ক মেয়ের বিয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেক মেয়ে বিয়ের আগে এমন করে। তবে তাকে জোর করা হচ্ছে না। তা ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যরাও চান সুমির বিয়ে দিতে।