অকৃষি জমিতে ভাগ্যবদল

প্রকাশ | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

এম এ সাইদ
বাংলাদেশে সংগঠিত যে কোনো প্রাকৃতিক দুযোর্গগুলোর মধ্যে সিডর-আইলা এক বিভীষিকার নাম। অনেক মানুষ হারিয়েছে ভূমি এবং সবর্স্ব। সিডর-আইলা যেখানে আঘাত হেনে তছনছ করেছিল একদা লবণাক্ততায় পরিশ্রমী মানুষগুলো নিজেদের ভাগ্য পরিবতের্ন সকাল-সন্ধ্যা জীবন যুদ্ধ চালিয়ে সেখানেই এখন সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে। জীবিকা আর প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন তাদের নতজানু করেনি বরং ভাগ্যকে করেছে সুসংহত। বাড়ির আনাচে-কানাচে পড়ে থাকা অকৃষি জমি এখন তাদের হাতের ছেঁায়ায় খঁাটি সোনা। দরিদ্রতার কষাঘাতে জীণর্শীণর্ মানুষগুলো প্রাণান্ত পরিশ্রম করে নিজেদের ভাগ্যের চাকাকে ঘুরিয়েছে জীবনের স্বণাির্ল মোড়কে। সরেজমিন পরিদশের্ন ভাগ্য বিবজির্ত মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের সোপান এখন চোখে পড়ার মতো। রোদে পুড়ে বষার্য় ভিজে এ মানুষগুলো ভাগ্যের কালো অধ্যায়কে কিভাবে মুছে ফেলছে, তা রীতিমতো সাধারণ মানুষকে ব্যাপকভাবে উৎসাহ জোগায়। উপক‚লীয় অঞ্চলের আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা ও ঘোপখালী গ্রামে, গ্রামের রুনা, রাহিমা, নাজমা, ফাতেমা, সুফিয়া, শাহনুর, শিউলি, বিউটি, শিল্পী, বিলকিস, শাহিনুর, শান্তি, সোলনাসহ আরও অনেকে এখন কৃষি বিপ্লবের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য পরিবতের্নর স্বপ্ন দেখছেন। তারা নিজেরাই গ্রামের সমস্যা চিহ্নিত করে তা থেকে উত্তরণের উপায় হিসেবে প্রাথমিকভাবে বাড়ির আনাচে-কানাচে পড়ে থাকা জমিতে আবাদ করছেন বিভিন্ন কৃষি পণ্য। এর মধ্যে যেমন রয়েছে, লাল শাক, পালং শাক, বরবটি, মূলা, মিষ্টি কুমড়া, করলা, বেগুন, ডাটা শাকসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি ও সবজির চারা। কিভাবে নিজেদের ভাগ্যোন্নয়ন করা যায়Ñ এমন স্বপ্নও ওই এলাকার নারী-পুরুষদের। স¤প্রতি তারিকাটা ও ঘোপখালীর কয়েকটি বাড়ি পরিদশর্ন করে দেখা যায়, তাদের জীবন পরিবতের্নর এ বৈপ্লবিক স্বপ্নের চিত্র। এদের মধ্যে কেউ কেউ রয়েছেন পেশাগত কৃষক আবার কেউ অন্য পেশার মানুষ। অল্প বা ফেলে রাখা জমি এমনকি বাড়ির আনাচে-কানাচে পড়ে থাকা এক টুকরো জমিকে কাজে লাগিয়ে যে নিজেদের ভাগ্যের চাকা ঘোরানো সম্ভব এমনটি আগে ভাবনায়ও ছিল না তাদের।