সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
নোয়াখালীতে কিশোরী পারভীনকে হত্যা নন্দিনী ডেস্ক নোয়াখালীতে পারভীন আক্তার নামে এক কিশোরী হত্যা মামলায় স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। বুধবার রাতে নোয়াখালী সদর উপজেলার পূবর্ শুল্লুকিয়া গ্রামের জহিরুল হকের মেয়ে পারভীন আক্তার ফাহিমাকে (১৭) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ১১ জানুয়ারি শুক্রবার মধ্যরাতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটক শেখ সেলিমের (২৯) বাড়ি নড়াইলের লোহাগাড়া উপজেলার ডিগ্রি গ্রামে। নোয়াখালী জেলা পিবিআইয়ের পরিদশর্ক তৌহিদুল আনোয়ার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সেলিম চট্টগ্রামের চাটগঁাও থানার মৌলভী পুকুরপাড় এলাকায় থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। ফাহিমা ওই এলাকায় থেকে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। সেখানে তাদের পরিচয় হয়। পরে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ফাহিমা জানতে পারেন সেলিমের আরও একজন স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। ফাহিমা সেলিমের সঙ্গে থাকতে রাজি না হওয়ায় সেলিম ক্ষিপ্ত হন। গত বুধবার সেলিম নোয়াখালী এসে ফাহিমাকে মোবাইল ফোনে বাড়ির পাশে ডেকে নেন। সেখানে তাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ ফেলে চট্টগ্রাম ফিরে যান সেলিম। ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধারের সময় পেটে বিদ্ধ অবস্থায় একটি চুরিও উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সেলিমের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে চট্টগ্রামের চাটগঁাও থানার মৌলভী পুকুরপাড় এলাকায় একটি টিনশেড ঘর থেকে সেলিমকে আটক করা হয়। হয়রানির শিকার নারী গামের্ন্ট শ্রমিক নন্দিনী ডেস্ক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শ্রমিকদের ২২ শতাংশ বলেছেন তারা কারখানার ভেতরে অথবা বাইরে শারীরিক, মানসিক এবং যৌন হয়রানির সম্মুখীন হয়েছেন। ৬৬ শতাংশ শ্রমিক বলেছেন, তারা কারখানার কমিটির কাছে কোনো সহযোগিতা বা প্রতিকার চান না। কারণ, কমিটির কাছে কোনো বিচার পাওয়া যাবে না। ১১ শতাংশ নারী শ্রমিক মনে করেন, তারা কমের্ক্ষত্রে অনিরাপদ। ৮৩ শতাংশ মনে করেন, কমের্ক্ষত্রে তাদের সঙ্গে অশালীন বা অকথ্য ভাষায় কথা বলা, কারখানায় প্রবেশের সময় নিরাপত্তা কমীর্র অস্বস্তিকর চেকিং, পুরুষ সহকমীর্র অপ্রত্যাশিত স্পশর্, যৌন সম্পকর্ তৈরির চেষ্টা এগুলো হয়রানি। আর ৬৮ শতাংশ বলেন, কমের্ক্ষত্রে তেমন কোনো কাযর্কর যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি নেই। কারখানায় কমর্রত নারী শ্রমিকদের যৌন হয়রানি রোধে সরকার সবার্ত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। দেশের আইনব্যবস্থা নারীর জন্য উন্মুক্ত করেছে। তারপরও কমের্ক্ষত্রে নারীর হয়রানি বাড়ছে। এটার জন্য সরকারের পাশাপাশি মালিক-শ্রমিকসহ সব পক্ষকেই সচেতন হতে হবে। কমিউনিটিতে বাণিজ্যিকভাবে ডে-কেয়ার সেন্টার তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে। বেতনসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি ছাড়াও পরবতীের্ত যাতে বিনা বেতনে দীঘির্দন ছুটি নিতে পারেন, সে সুযোগ-সুবিধা আইনে আসা দরকার। মানবাধিকার ও নারীদের অধিকার রক্ষায় কানাডা নন্দিনী ডেস্ক নিজ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া সেই সৌদি তরুণী রাহাফ মোহাম্মেদ আল-কুনুনের জায়গা হয়েছে কানাডায়। ১৮ বছর বয়সী কুনুনকে আশ্রয় দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্্রুডো। বিবিসি বলছে, ট্্রুডোর এক বিবৃতি বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কানাডা সব সময় মানবাধিকার ও নারীদের অধিকার রক্ষায় তাদের পাশে দঁাড়ায়। জাতিসংঘ থেকে আল-কুনুনের পক্ষে শরণাথীর্ হিসেবে আশ্রয়ের আবেদন করা হলে আমরা তা গ্রহণ করেছি।’ এদিকে, কানাডার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণাথীির্বষয়ক সংস্থা। সংস্থাটির হাই-কমিশনার ফিলিপপো গ্রান্ডি বলেছেন, বেশ কিছু দিন ধরে কুনুনের দুদর্শা বিশ্বে সাড়া ফেলেছে। তার সংকট বিশ্বজোড়া শরণাথীের্দর দুদর্শার কথাই মনে করিয়ে দেয়। উল্লেখ্য, গত শনিবার পরিবারের সঙ্গে কুয়েত যাওয়ার পথে ব্যাংককে পালিয়ে আসেন ওই সৌদি তরুণী। ব্যাংকক বিমানবন্দরে আটক হওয়ার পর তিনি দাবি করেন, তার কাছে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা রয়েছে এবং তিনি এখান থেকে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। কিন্তু সুবণর্ভ‚মি বিমানবন্দরে এক সৌদি ক‚টনীতিক তার পাসপোটর্ কেড়ে নিয়েছেন। পরে থাই পুলিশ তাকে পরিবারের কাছে পাঠাতে চাইলেও বিষয়টি বুঝতে পেরে আল-কুনুনকে সেখানে থাকার অনুমতি দেয়। পরে কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশ ওই তরুণীকে আশ্রয় দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে।