নারী ট্রেনচালক সালমা

প্রকাশ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

নন্দিনী ডেস্ক
টাঙ্গাইল জেলার কৃতী সন্তান ভ‚ঞাপুর উপজেলার অজুর্না গ্রামের গৌরব ছালমা, কৃষক পরিবারের সন্তান। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে ছালমা চতুথর্। তার বাবা বেলায়েত হোসেন একজন কৃষক, মা ছাহেরা বেগম একজন গৃহিণী। শৈশবে ছালমা নিজ গ্রাম অজুর্না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম ও অজুর্না মহসিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। টাঙ্গাইল সরকারি কুমুদিনী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও ঢাকা কবি নজরুল কলেজ থেকে অনাসর্, মাস্টাসর্ ও এমএড করেন। ২০০৪ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারী ট্রেনচালক হিসেবে যোগদান করেন। স্কুল জীবন থেকেই ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার নয়, ব্যতিক্রম কিছু করার স্বপ্ন দেখেন ছালমা। সেই ব্যতিক্রম স্বপ্নই তাকে বাংলাদেশে প্রথম নারী ট্রেনচালক হিসেবে স্বীকৃতি এনে দেয়। ছালমা আজ নতুন স্বপ্নে বিভোরÑ স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ট্রেন চালানোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। কবে আসবে সেই শুভদিন, শুভক্ষণ। ব্যক্তিগত অনুভ‚তি প্রকাশ করতে গিয়ে ছালমা বলেন, চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পছন্দ করি কিন্তু ট্রেন চালানো এত বড় চ্যালেঞ্জ হবে বুঝতে পারিনি। এর মধ্যে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিজের বিবেক ও মনের সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে থাকা। যখন দেখি জীবন্ত একজন মানুষ আনমনা হয়ে রেলপথ দিয়ে হঁাটছে বা দঁাড়িয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলছে অথচ ট্রেনের হনর্ শুনছে না। নিজ চোখের সামনে জীবন্ত মানুষের মৃত্যু দেখে আতঙ্কিত হই, কষ্ট পাই। নিজের মনের সঙ্গে যুদ্ধ করে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করি। আরও একটি মহাবিপদের কথা শুনালেন ছালমা। তিনি বলেন, চলন্ত ট্রেনের পাশে দঁাড়িয়ে থাকা কিংবা অন্য ট্রেন থেকে যখন পাথর ছুড়ে মারে তখন। এভাবে তিনবার পাথরের ঢিল থেকে প্রাণে বেঁচে গেছি। তিনি চালকের আসনটিকে আরও নিরাপদ করার কথা বলেন।