সাফল্যময়ী সুমি

প্রকাশ | ০৪ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

তানিয়া তন্বী
সম্মাননা গ্রহণ করছেন আফরোজা নাজনিন সুমি
বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে অনেক নারীরই এখন ক্যারিয়ার সচেতন। আগের চেয়ে বেড়েছে ব্যবসায় বা চাকরিতে অংশগ্রহণ। এ ছাড়া শখের উদ্যোগও ধীরে ধীরে পরিণত হয়েছে শিল্পময় সাফল্যে। তেমনই একজন সফল রন্ধণশিল্পী ঢাকার মেয়ে আফরোজা নাজনীন সুমি। আফরোজা নাজনিন সুমি বাংলাদেশের সবচেয় বহুল প্রচলিত ও জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকা এবং ম্যাগাজিনে তার তৈরি রেসেপি কনট্রিবিউট করেছেন। উলেস্নখযোগ্য হলো দৈনিক প্রথম আলো, দি নিউজ এজ, যুগান্তর, ভোরের কাগজ, যায়যায়দিন, মানবকণ্ঠ, প্রথম আলো নকশা, প্রথম আলো বর্ণালী খাবার দাবার ম্যাগাজিন, দি পেজেস ম্যাগাজিন, আনন্দ আলো, এটিএন লাইফ স্টাইল, স্পুন ম্যাগাজিন, সাতকাহন, অনন্যা, লুক এট মি, ফুড ও ফান ম্যাগাজিন, হ্যাংলা হ্যাংসেল ম্যাগাজিন (কলকাতার ফুড ম্যাগাজিন)। আফরোজা নাজনিন সুমি তার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন সম্মাননায় ভুষিত হয়েছেন। চিত্রজগত অ্যাওয়ার্ড ২০১৬, নব প্রজন্মের সেরা রন্ধনশিল্পী অ্যাওয়ার্ড ২০১৬, এজেএফবি স্টার অ্যাওয়ার্ড ২০১৭। আফরোজা আরও জানান-'যমুনা টেলিভিশনে রন্ধনশিল্পী হিসেবে সুযোগ পাওয়া ছিল আমার জন্য পরম সৌভাগ্য। ছোটবেলা থেকে রান্নার প্রতি আমার দুর্বলতা ছিল। যারা খেতেন, প্রশংসা করতেন। কর্তৃপক্ষ আমাকে সুযোগ দেয়ায় তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।' যমুনা টেলিভিশনে কিছুদিন কাজ করতে আরও কিছু মিডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ হয়। জিটিভি, চ্যানেল নাইন এবং এটিএন বাংলায় নিয়মিত অনুষ্ঠান করছেন। তাকে নিয়ে অনুষ্ঠান হয়েছে চ্যানেল নাইন, চ্যানেল২৪, বাংলাভিশন, মাছরাঙা ও স্বদেশ টিভি। নিয়মিত জাতীয় পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে রেসিপি দিয়ে থাকেন। যারা সরাসরি তার কাছ থেকে শিখতে চান, তাদের জন্য ফেসবুকে রয়েছে সুমিজ কিচেন পেইজ এবং ইউটিউবে আফরোজা নাজনীন চ্যানেল। রন্ধনশিল্পের পাশাপাশি ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসেন। বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির আজীবন সদস্য হিসেবে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেন। রন্ধনশিল্পীদের সংগঠন উইমেন কালিনারি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হিসেবে বিভিন্ন কাজ করে থাকেন। মায়ের সঙ্গে বুটিকসের ব্যবসায়ও সময় দেন। নিয়মিত অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এখন রান্নার ওপর একটি বই তৈরি করছেন। আফরোজা নাজনীন সুমি জানান, 'বর্তমানে রান্নার উপরে একটি ব্যতিক্রমধর্মী বইয়ের কাজ করছি। বইটিতে সহজে করা যায় এমন সব মজাদার রেসিপির পাশাপাশি পাঠকদের জন্য থাকছে কিছু ভিন্ন ধরনের চমক।' নানাবিধ ব্যস্ততা সত্ত্বেও রান্নায় নিয়মিত দিচ্ছেন। পেয়ে আসছেন স্বামীর সহযোগিতা। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয় তাকে। মেয়ে আফরাহ আর ছেলে ফায়েজ আবদুলস্নাহ জুনায়েদ দুজনই অনেক মেধাবী। স্বামী-সন্তান-সংসার মিলিয়ে নিজের কর্মব্যস্ততার মধ্যেও রান্নার জন্য সময় বের করেন। ছুটির দিনগুলোতেই রান্নার অনুষ্ঠানের শুটিং করে থাকি। আমি নিজে ড্রাইভ করি। আমার স্বামীর সহযোগিতা-ই আমাকে এতদূর নিয়ে এসেছে।' রন্ধনশিল্পী আফরোজা নাজনীন সুমি নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানান, 'ভবিষ্যতে রেস্টুরেন্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে। ইচ্ছা আছে রান্না নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার।'