বিঘ্নতার অমানিশা কাটিয়ে সম্ভাবনাময়ী হবেন নারী লেখক

আমাদের দেশের অনেক সম্ভাবনাময় নারী লেখক রয়েছেন যারা নানা রকমের বিঘ্নতায় তাদের প্রতিভা প্রকাশ করতে পারছে না। আমি মনে করি তারা নির্দ্বিধায় 'শিশুসাহিত্য কেন্দ্র'-কে একটি বিশেষ পস্নাটফর্ম হিসেবে বেছে নিতে পারবে। তাদের এগিয়ে নিতে আমি যথাযথ ভূমিকা পালন করব। তা ছাড়া আমি বিশ্বাস করি, প্রত্যেক নারীর ভেতরেই আছে একটি শিল্পী সত্তা। প্রত্যেক নারীই যদি নিজের শক্তি সম্পর্কে জানে, জানে কীভাবে সামাজিক অজ্ঞতা আর কুসংস্কারের বেড়াজাল ডিঙিয়ে নিজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারবে তবে দেশটা একদিন একেবারেই বদলে যাবে। বিঘ্নতার অমানিশা কাটিয়ে সম্ভাবনাময়ী হবেন নারী লেখক

প্রকাশ | ০৪ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

তাসমিমা হোসেইন
ফাতিমা বুলবুল, 'শিশুসাহিত্য কেন্দ্র'-এর প্রকাশক। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ব্যবসায় প্রশাসন'-এর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট নিয়ে মাস্টার্স শেষ করেছেন। কথা হয়েছিল তার সঙ্গে। বর্তমানে প্রকাশনা জগতে নিজের দৃঢ় অবস্থানে প্রতিজ্ঞ এই নারীর গল্পে উঠে এসেছে বাংলাদেশের নারীর জয়গান। নারী লেখকদের জয়গান। তিনি জানালেন, সবসময়ই চেয়েছি নিজেকে এমন একটি অবস্থানে দেখতে, যেখান থেকে মানুষকে তথা সমাজকে কিছুটা হলেও উপকৃত করতে পারি। সে ক্ষেত্রে নারী এবং শিশুদের প্রতি একটু কোমল দৃষ্টিভঙ্গি সবসময়ই ছিল। সত্যি কথা বলতে, প্রকাশক হয়ে ওঠার বা হতে চাওয়ার সব প্রেরণা পাই আমার হাসবেন্ড, আমার সহযোদ্ধা মো. শাহাদাত হোসেনের কাছ থেকে। বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের নিয়ে কাজ করতে চাওয়া পরিকল্পনা করি এই জন্য যে- 'আজকের এই শিশুটি-ই আমাদের আগামী দিনের পথ প্রদর্শক'- তারাই আগামীর বাংলাদেশ। তাই তো শিশু-কিশোরদের ভীত মজবুত হওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। ওরা যখন ছোট থেকেই শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির নির্মল আস্বাদন পেয়ে বেড়ে উঠবে, তখন আমাদের দেশটা সোনার ছেলেমেয়েতে ভরে উঠবে। তা ছাড়া যেহেতু আমি একজন নারী- তাই, নারী প্রকাশক হিসেবে আমি এটাও বলতে চাই আমাদের দেশের অনেক সম্ভাবনাময় নারী লেখক রয়েছেন যারা নানা রকমের বিঘ্নতায় তাদের প্রতিভা প্রকাশ করতে পারছে না। আমি মনে করি তারা নির্দ্বিধায় 'শিশুসাহিত্য কেন্দ্র'-কে একটি বিশেষ পস্নাটফর্ম হিসেবে বেছে নিতে পারবে। তাদের এগিয়ে নিতে আমি যথাযথ ভূমিকা পালন করব। তা ছাড়া আমি বিশ্বাস করি, প্রত্যেক নারীর ভেতরেই আছে একটি শিল্পী সত্তা। প্রত্যেক নারীই যদি নিজের শক্তি সম্পর্কে জানে, জানে কীভাবে সামাজিক অজ্ঞতা আর কুসংস্কারের বেড়াজাল ডিঙিয়ে নিজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারবে তবে দেশটা একদিন একেবারেই বদলে যাবে। বিঘ্নতার অমানিশা কাটিয়ে সম্ভাবনাময়ী হবেন নারী লেখক। 'শিশুসাহিত্য কেন্দ্র'-থেকে ইতোমধ্যে ৪০টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো- কিশোর প্রবন্ধ, লেখক : সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, কিশোর সংশপ্তক, মূল : শহীদুলস্না কায়সার, রূপান্তর : নাজমা জেসমিন চৌধুরী, একাত্তরের নির্যাতিত নারীদের ইতিহাস, লেখক : সুরমা জাহিদ, হঠাৎ অসুস্থতায় জরুরি চিকিৎসা, লেখক : ডা. নাজমুল হাসান, পৃথিবীতে ভীনগ্রহের আজব প্রাণী, লেখক : খায়রুল আলম মনির, আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা, লেখক : তপন কুমার দে, বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা, লেখক : শামস সাইদ, দুই বাংলার কবিতায় বঙ্গবন্ধু, সম্পাদনা : আহমেদ সুবিরসহ আরও অনেক নান্দনিক বই। আমাদের দেশে অনেক শিশুতোষ প্রকাশনী সংস্থা রয়েছে। তাদের মধ্যে হাতেগোনা গুটিকয়েক প্রকাশনী সংস্থা ছাড়া বাকিরা কেউই তেমন বইয়ের মানদন্ড বিচারে শিশু-কিশোর উপযোগী অথবা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বই প্রকাশ করছে না। 'শিশুসাহিত্য কেন্দ্র'- এই লক্ষ্যে কাজ করতে প্রত্যয়ী যে- শিশু-কিশোররা যেন তাদের উপযুক্ত মানসম্পন্ন বইগুলো পাঠ করার সুযোগ পায়। সর্বোপরি এটাই বলব- 'শিশুসাহিত্য কেন্দ্র' নামকরণ হয়েছে আব্দুলস্নাহ আবু সাঈদ স্যারের 'বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র'-এর অনুপ্রেরণায়। আমরাও যেন 'শিশুসাহিত্য কেন্দ্র' নিয়ে যেন বিশ্ব দরবারে অনুকরণীয় ভূমিকা পালন করতে পারি। সেই প্রত্যাশা নিরন্তর। ফাতিমা বুলবুল প্রকাশক, শিশুসাহিত্য কেন্দ্র