কেঁচো সারে স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়ার নারীরা

প্রকাশ | ০৪ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

নন্দিনী ডেস্ক
বড়ছন খোলা, দুধ পুকুরিয়া, ফলহারিয়া, ভোলার টিলা, কমলাছড়ি ও জিলানীপাড়া রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের দুর্গম গ্রাম। কেঁচো সার উৎপাদনে নীরব বিপস্নব ঘটিয়েছেন এসব গ্রামের নারীরা। উৎপাদনের সহজ কৌশল, গুণগত মানসম্পন্ন, মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর নয় ও ভালো দামের হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন এই সার ব্যবহার ও উৎপাদনের প্রতি ঝুঁকছেন। গত কয়েক বছরে পদুয়া ইউনিয়নের অর্ধ শতাধিক নারী এই সার তৈরিতে সফলতা দেখিয়েছেন। তাদের দেখে পাশের গ্রামের নারী-পুরুষরাও এই সার উৎপাদনে এগিয়ে আসছেন। তবে এই সার তৈরিতে পুরুষের চেয়ে নারীরা অগ্রগামী ভূমিকা রাখছেন। বড়ছন খোলা গ্রামের সিরাজী বেগম আয়ের পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন কেঁচো চাষ বা ভার্মি কম্পোস্ট। নিজ বাড়িতে কেঁচো উৎপাদন করে মাত্র ছয় মাসে অর্ধ লাখ টাকা আয় করেছেন তিনি। শুধু সিরাজী বেগম নন, এলাকার আরও অর্ধ শতাধিক নারী এ কাজে সম্পৃক্ত। তাদের কেঁচো চাষ শুধু অর্থ উপার্জন নয়, পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় অবদান রাখছে। অনেক বছর আগেও এ নারীরা সরকার সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে গাছ ও লাকড়ি কেটে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২০১০ সালে রাঙ্গুনিয়ার দুধ পুকুরিয়া বনাঞ্চলকে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ঘোষণার পর থেকে তাদের বনে প্রবেশাধিকার বন্ধ হয়ে যায়। দুধ পুকুরিয়া, ধোপাছড়ি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এলাকায় ইউএসএইডের অর্থায়নে বাস্তবায়িত ক্রেল প্রকল্পের আওতায় বননির্ভর এসব নারী বিকল্প জীবিকায়নের জন্য কেঁচো সার উৎপাদনসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পাশাপাশি উপকরণ ও অনুদান দেয়া হয় ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য। ক্রেল প্রকল্প থেকে সহায়তা পেয়ে রাঙ্গুনিয়ার বননির্ভর নারীরা এখন মেতেছেন কেঁচো সার উৎপাদনে। ৫-৬ জনের গ্রম্নপ হয়ে কেঁচো ও জৈব সার উৎপাদন করে তারা এখন স্বাবলম্বী। এ ছাড়া তারা পেয়েছেন স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক বেস্ট এগ্রো অ্যাওয়ার্ড সম্মাননা।