৫২ প্রজাতি ফুলের সমারোহ

অধ্যাপিকা তাছলিমার 'শখের ফুল বাগান'

প্রকাশ | ১১ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

মো. নজরুল ইসলাম, মধুপুর
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী মহিলা কলেজের অধ্যাপিকা তাছলিমা বেগম। তিনি বাড়ির আঙিনায় গড়ে তুলেছেন প্রায় ৫২ প্রজাতি দেশি-বিদেশি ফুলের 'শখের বাগান'। ধনবাড়ী পৌর শহরের কাজীবাড়ীতে (ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন) 'শখের ফুল বাগান' করে ইতোমধ্যে উপজেলার আদর্শ অধ্যাপিকায় পরিণত হয়েছেন তাছলিমা বেগম। ধনবাড়ীসহ পুরো টাঙ্গাইলে সাড়া ফেলে তার শখের ফুল বাগান। গম্প্রতি যায়যায়দিনের ভূঞাপুর সংবাদদাতা অধ্যাপক আখতার হোসেন খানকে সঙ্গে নিয়ে তাছলিমা বেগমের ফুলের বাগান ঘুরে দেখেন- বাসায় ঢোকার প্রবেশ পথে দু'সারিতে ফুলের গাছ লাগিয়ে প্রায় ১শ মিটারের গেট করেছেন। নন্দিনী, নীলকণ্ঠ, সিলবিয়া, বাটন, মনিং গেস্নারি, পর্তুলিকা, বাসরলতা, গ্রিনলিপ, প্যারাডাইস, রজনীগন্ধ্যা, অর্কিট, লবস্টার, ইয়োলো টিউলিপ, বেড টিউলিপ, বিস্নডিংহার্ড, অপরাজিতাসহ দেশি-বিদেশি প্রায় ৫২ প্রজাতি ফুলের গাছ রয়েছে তার বাগানে। এ ছাড়াও বাড়ির আঙিনায় রয়েছে প্রায় ২২ প্রজাতি ফলের গাছ। শিংড়া, সুন্দরী, রেখা, বেনারশি, বারি, হাড়িয়ভাঙ্গা, ফজলি, চোষাসহ নানা প্রজাতি আমের গাছ রয়েছে তার বাগানে। বেশ কিছু গাছে ইতোমধ্যে ফুল এবং ফল আসতে শুরু করেছে বাকিগুলোতে অচিরেই ফুল এবং ফল আসবে বলে আশা করছেন অধ্যাপিকা তাছলিমা বেগম। ২০১১ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে ফুল বাগানে আরো বেশি মনোনিবেশ করেছেন তাছলিমা বেগম। সম্প্রতি চিকিৎসার জন্য কলকাতায় গিয়েও ভুলেননি ফুলের কথা। টাকা খরচ করে নিয়ে এসেছেন একগাধা ফুলের চারা। বাসার কাছেই তার কর্মস্থল ধনবাড়ী মহিলা কলেজ হওয়ায় বাগানের পরিচর্য়া করতে কোনো অসুবিধায় পড়তে হয় না। বাগান পরিচর্যায় সহযোগিতার করেন তার ভাতিজি মিফতা। অধ্যাপিকা তাছলিমা বেগম ১৯৬৫ সালের ১৫ জন ধনবাড়ীর কাজীবাড়ীতে জন্মগ্রহন করেন। ১৯৮১ সালে ধনবাড়ী সাকিনা মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৮৩ সালে ধনবাড়ী কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ১৯৮৫ সালে বিএ পাস করেন তিনি। ১৯৯৩ সালে ধনবাড়ী মহিলা কলেজে বাংলা প্রভাসক হিসেবে যোগদান করেন তাছলিমা বেগম। অধ্যাপিকা তাছলিমা বেগমের বাবা আবু মোতাহার হোসেন ছিলেন ধনবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তারও ছিলেন ফুলের ওপর ব্যাপক আগ্রহ। বাবার উৎসাহেই ফুল বাগান করেছেন তাছলিমা বেগম। তবে তার পাঁচ ভাই ও তিন বোনেও উৎসাহ জোগিয়েছেন। অধ্যাপিকা তাছলিমা বেগম জানান, ফুল ভালোবাসার প্রতীক। ফুলকে ভালোবাসে না এমন কাউকে খোঁজে পাওয়া যাবে না। প্রতিটি বাড়ির আঙিনা ও পুকুরপাড়ে ফুল এবং ফলের গাছ লাগানো উচিত। তিনি জানান, ইচ্ছা থাকলে বাসার অল্প জায়গায়ও ফুলের বাগান করা সম্ভব।