বিস্মৃতির অতলে উপজাতি নারী মুক্তিযোদ্ধা

প্রকাশ | ১৮ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

নন্দিনী ডেস্ক
খাসিয়া মেয়ে কাঁকেট তখন ২০-২২ বছরের। মুক্তিবাহিনীকে রাজাকারদের গতিবিধি, অবস্থান ইত্যাদি জানায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে একটি বড় অপারেশন পরিচালিত হয়। রাজাকাররা তাকে সন্দেহ করে পাকসেনাদের তার কথা জানালে, পাকসেনারা ধরে নিয়ে যায় তাকে। চলে তথ্য আদায়ে অকথ্য নির্যাতন। তবু তিনি একজন মুক্তিসেনার কথাও জানাননি সেদিন। অত্যাচারে একদিন তিনি শহীদ হন। আরেক শহীদ নারী হলেন প্রিনছা খেঁ। তিনি ছিলেন রাখাইন সম্প্রদায়ের মেয়ে। '৭১-এর মাঝামাঝি পাক আর্মির তৃতীয় বাবুর্চি হিসেবে কাজ শুরু করেন। জ্বালানি কাঠ সংগ্রহকারী বাবুলের সঙ্গে যুক্তি করে অসুস্থতার ভান করে ঝালকাঠিতে ডাক্তারের কাছে আসা-যাওয়া শুরু করে। আর ডাক্তারও তাকে সাহায্য করতে সৈনিকদের জানালেন যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা। তাই প্রতি চারদিন অন্তর তাকে আসতে হবে চেকআপের জন্য। অতঃপর এক সন্ধ্যায় ডাক্তারের কাছ থেকে বিষ এনে প্রথমে দুই বাবুর্চিকে খাইয়ে পরে খাবারে মিশিয়ে সরবরাহ করেন পাকসেনাদের। ১৪ পাকসেনা সেখানেই মারা যায়। বাকিদের ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।