স্বাবলম্বী কয়েক শত নারী

প্রকাশ | ০১ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

নন্দিনী ডেস্ক
জামালপুরের দুর্গম চরাঞ্চলের উৎপাদিত মরিচ যাচ্ছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ও প্রাণ কোম্পানিতে। ওই দুটি কোম্পানি গ্রামের নারী উৎপাদকদের সাথে চুক্তিভিত্তিক মরিচ ক্রয় করে গুঁড়ো মসলা তৈরি করছেন। গ্রামাঞ্চলের উৎপাদিত গুণগত ভালো মানের মরিচ স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গ্রামীণ নারীরা যত্নসহকারে সংরক্ষণ করায় ওই কোম্পানিগুলো চরাঞ্চলের মরিচ ক্রয়ে ঝুঁকে পড়েছে। গণচেতনার রি-কল প্রকল্পের সহায়তায় গ্রামীণ নারীরা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষে প্রশিক্ষিত হয়। এরপর থেকেই ওইসব নারী অন্যের কাছ থেকে জমি বর্গা নিয়ে নিজেরাই মরিচ চাষ শুরু করে। মরিচ চাষের পাশাপাশি অনেক মহিলাকে গাভী পালন ও ভুট্টা চাষের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। গণচেতনার রি-কল প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীরা গ্রামে গ্রামে গড়ে তুলেছে মিনি দুগ্ধ খামার। তাদের মিনি দুগ্ধ খামারে উৎপাদিত দুধ মিল্কভিটা কোম্পানিতে রপ্তানি হচ্ছে। এ কারণে তারা দুধের ন্যায্যমূল্যও পাচ্ছে। ওই প্রকল্পটি নারীর অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়িত করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন। সংস্থাটি পুরুষশাসিত সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে নারীদের সমানতালে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়িত করতে বকশীগঞ্জ- দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করছে। রি-কল প্রকল্পের কর্ম এলাকা বকশীগঞ্জ- দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ৪টি দুর্গম ইউনিয়নের চরের নারীদের কর্মমুখী, স্বাবলম্বী ও নারীর কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করতে ইতোমধ্যে তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।