অথৈর্নতিক উন্নয়নে নারীর শ্রম

প্রকাশ | ২৩ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

নন্দিনী ডেস্ক
নারীশ্রমিকদের দুঃখগাথার শেষ নেই। যে কোনো কাজেই তারা বৈষম্যের শিকার। যেহেতু শিক্ষার হার কম সেহেতু পুরুষশ্রমিকদের তুলনায় নারীশ্রমিকরাই প্রতিনিয়ত বঞ্চনা আর শোষণের শিকার। সমাজ কাঠামোর পরিবতের্নর সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে মানুষের জীবনাচরণ, পারস্পরিক সম্পকর্, মূল্যবোধ। সমাজ এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় পরিবতির্ত হওয়ার মাধ্যমে প্রতিনিয়তই বদলে যাচ্ছে সামাজিক সম্পকের্র মাত্রা ও তার ব্যঞ্জনা। বাংলাদেশে বেশিরভাগ অঞ্চলে নারীশিক্ষার হার আনুপাতিক হারে কম হওয়ায় বিভিন্নভাবে কমের্ক্ষত্রে নারীর অংশগ্রহণ অধিক মাত্রায় বিস্তৃত ও স্বীকৃত হয়েছে মূলত শ্রমিক হিসেবে। আর শ্রম দেয়ার ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে নিমার্ণকাজেও নারীর অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য। ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পযর্ন্ত দরিদ্র পরিবারের গৃহবধূ থেকে শুরু করে ঘরের কিশোরী মেয়েরাও নারীশ্রমিক হিসেবে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ভবন নিমার্ণ-বিনিমাের্ণর কাজে নিজেকে যুক্ত রাখছে। কাজের এই ক্ষেত্রগুলোয় দেখা যায় নারীরা অধিকতর শ্রম দেয়ার পরও বৈষম্যের শিকার হয়ে পুরুষের তুলনায় কম মজুরি পাচ্ছে। উচ্চৈঃস্বরে প্রতিবাদ করার সাহসও নেই। প্রতিবাদ করলে অনেক সময় প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করা হয়। এসব শ্রমজীবী নারী কিছু বলতে পারে না বলেই তাদের অন্যায়ভাবে শোষণ ও অত্যাচার করা হচ্ছে।