লেখাপড়া চালিয়ে যেতে চান লিমা

প্রকাশ | ২৩ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

নন্দিনী ডেস্ক
লেখাপড়া চালিয়ে যেতে কারো বাবা-মা পয়সা খরচ করতে পারেন। কারো কারো সমস্যা কিংবা সংকটের কারণে দেয়ার সামথর্্য হয়ে ওঠে না। তখন মেধাবী হয়েও থেমে যায় লেখাপড়ার গতি। আফসোস থেকে যায় শিক্ষাথীর্র। তেমনই এক মেধাবী শিক্ষাথীর্ সমস্যার মাঝেও অনেক দূর পথ পেরিয়ে এসেছেন। কিন্তু বাকি পথ কি পেরোতে পারবেন তিনি? এটাই তার ও তার পরিবারের চিন্তা এখন। লিমা রানী মোহন্ত। দুই ভাই, তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। হাতের কিছু সম্পদ বিক্রি করে বড় দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন বাবা। বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ৮ নাম্বার ওয়াডের্। বাড়ি ভিটার ৬ শতক জমিই তাদের সম্বল। একসময় হাতের ওপর নিভর্রশীল বাবা সুনীলকান্তি মোহন্ত আজ বয়সের ভারে কাজকমর্ তেমন কিছু করতে পারেন না। মা বীণা রানী মোহন্ত গৃহিণী। লিমার বড় ভাই একটি এনজিওতে অফিস সহকারী পদে কুড়িগ্রামে চাকরি করেন। অন্য ভাই বিমল মোহন্ত ছোট একটি দোকান ভাগে ভাড়া নিয়ে সিল বানানোর কাজ করেন। এই হচ্ছে তাদের পরিবারের আয়ের উৎস। এ অল্প আয়ে পঁাচজনের ভরণ-পোষণের খরচ জোগানো খুবই কষ্টসাধ্য। এর মধ্যে বাবার অসুখের জন্য নিত্য ওষুধ কিনতে হয়। তার পরও লিমার পড়ালেখার অদম্য ইচ্ছাটা দমে যায়নি। স্কুল ও কলেজ জীবন সুন্দরগঞ্জে পার করেছেন। ভীষণ অথর্কষ্ট মাঝে মাঝে কালো মেঘ মেলে ধরলেও দৃঢ়সংকল্প আর পরিশ্রমের কারণে এগিয়েছেন তিনি। স্যারদের সাবির্ক সহযোগিতা পেয়েছেন। কখনো টিউশনি করে নিজের খরচ মিটিয়েছেন। আজ রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিষয়ে অনাসর্ পড়ছেন। রংপুরে মেসে থেকে পড়তে হচ্ছে। এতে বেশ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু তাকে প্রতি মাসে এত টাকা দিতে গিয়ে তার পরিবার হিমশিম খাচ্ছে। এর মধ্যে কয়েকটি বৃত্তি দানকারী সংস্থায় আবেদন করেও সাড়া পাননি। কিন্তু তার যে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার খুব ইচ্ছা। তবে তার সংশয়Ñ অথর্সংকটে লেখাপড়াটা বন্ধ হয়ে যাবে না তো?