নিরাপদ প্রসব মানেই সুস্থ মা ও শিশু

প্রকাশ | ২৩ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

তানিয়া তন্বী
নিরাপদ প্রসব ব্যবস্থা এবং পরিকল্পনা করা খুবই গুরুত্বপূণর্ ছবি : ইন্টারনেট
প্রতিটি পরিবারের কাছেই একটি শিশু মানেই অনেক স্বপ্ন, অনেক আশা, অনেক পরিকল্পনা। গভার্বস্থায় মায়ের যদি সঠিক যতœআত্তি না হয়, তাহলে বাচ্চা প্রসবের সময় দেখা দিতে পারে নানা রকমের সমস্যা। অনাকাক্সিক্ষত দুঘর্টনা। তাই আপনাকে সব সময়ের জন্য তৈরি থাকতে হবে। তাই আজ আসুন আমরা জেনে নেই প্রসবকালীন কিছু সমস্যা ও সমাধান সম্পকের্। নিরাপদ প্রসবে পরিকল্পনা প্রসব একটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। কিন্তু, মনে রাখতে হবে, যে কোনো মুহূতের্ জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। যদি অদক্ষ এবং অপরিচ্ছন্নভাবে প্রসব করানো হয়, মা ও শিশু উভয়ের প্রসবকালীন সংক্রমণ এবং শিশুর টিটেনাস হতে পারে। সবকিছু স্বাভাবিক হলেও এ সময়ে যতেœর প্রয়োজন রয়েছে। প্রসবের সময়ে যতেœর উদ্দেশ্য: য় সংক্রমণ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়া। য় যতটুকু সম্ভব মা ও শিশুর কম আঘাতের মাধ্যমে প্রসব সম্পন্ন করা। য় যে কোনো ধরনের জটিলতাকে মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকা। শিশুর যতœ নেয়া, যেমন: শ্বাস-প্রশ্বাস সঞ্চালনে সহায়তা, নাড়ির যতœ, চোখের যতœ ইত্যাদি আর এসবই শিশুর সংক্রমণ রোধ ও সুস্থতার জন্য প্রয়োজন। মা ও শিশুর জীবনের ঝুঁকি এড়াতে নিরাপদ প্রসব ব্যবস্থা এবং পরিকল্পনা করা খুবই গুরুত্বপূণর্। তাই পরিবারের সদস্যদের প্রসবকালীন করণীয়, প্রসূতি ও নবজাতকের তাৎক্ষণিক যতœ ও জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পূবর্প্রস্তুতি থাকা জরুরি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা ক্লিনিকে প্রসব করানোই নিরাপদ। এখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেবাদানকারীরা থাকেন এবং যে কোনো জরুরি অবস্থা মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থাকে, তাই আগে থেকে কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, ক্লিনিকে বা হাসপাতালে প্রসব করাবে তা ঠিক করে রাখতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে দ্রæত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাবার জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। রক্তদাতা ঠিক করে রাখতে হবে ২/৩ জন। গভর্ধারণের শুরু থেকেই টাকা-পয়সা জমিয়ে রাখতে হবে। যদি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা ক্লিনিকে প্রসব করানো সম্ভব না হয়, তবে সেক্ষেত্রে বাড়িতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ধাত্রী বা স্বাস্থ্যকমীের্ক দিয়ে প্রসব করাতে হবে। এ জন্য তার সাথে আগে থেকেই যোগাযোগ করে রাখতে হবে। বাড়িতে প্রসব হলে প্রসব সরঞ্জাম যেমন: পরিষ্কার সুঁই-সুতা, সাবান, শুকনা সুতি কাপড়/তোয়ালে, ব্যান্ডেজ, ক্লিপ সংগ্রহ করে রাখতে হবে। প্রসবের জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। প্রসবকালীন যে কোনো জটিলতা দেখা দিলে গভর্বতীকে দ্রæত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। গভর্কালীন সময়ে প্রতিটি নারীর নিশ্চিতভাবে অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি খাবার-দাবার খেতে হবে, তা না হলে গভর্স্থ শিশু পযার্প্ত পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হবে। তাই এ সময়ে কোনো প্রকার ডায়েটের কথা চিন্তা করাও যাবে না। ডায়েট করতে গিয়ে নিজের কিংবা সন্তানের বিপদ ডেকে আনবেন না।