সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ০৬ মে ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
নির্যাতন রোধে আইনই যথেষ্ট? নন্দিনী ডেস্ক হঁ্যা। প্রশ্নটা আমাদের সবারই। বাংলাদেশে এত এত শিশু ও নারী ধর্ষণসহ নানা নারকীয় অত্যাচার চলছে- এসব রোধে কী কেবল আইনই যথেষ্ট? কারণ আমরা একথা সবাই ভালোভাবেই জানি, সভ্যতার সূচনাকালে মাতৃতান্ত্রিক সমাজ যখন পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় রূপান্তরিত হলো- তখন থেকেই মূলত নারীরা হচ্ছে বৈষম্যের শিকার। আমাদের দেশে তো বটেই, উন্নয়নশীল বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই নারীসমাজ পেছনে পড়ে আছে, পদে পদে তারা অপমান, অবজ্ঞা, প্রবঞ্চনা আর লাঞ্ছনার শিকার। বিশ্বে ব্যাপকহারে নারী, যুবতী ও বালিকা প্রতিদিন যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের ফলে কোনো নারী বা শিশুর মৃতু্য হলে ধর্ষকের মৃতু্যদন্ডের বিধান রয়েছে। আর ধর্ষিতার মৃতু্য না হলে রয়েছে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের বিধান। আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মামলার দীর্ঘসূত্রতা। মামলার জট লেগেই থাকে। এ জন্য উচিত প্রতিটি ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার নিষ্পত্তির সময়সীমা বেঁধে দেয়া। কন্যাশিশু নন্দিনী ডেস্ক বিশ্বে মোট জনসংখ্যার ১৫ ভাগ কন্যাশিশু। বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ১০ ভাগ; কিন্তু এই কন্যাশিশুরা নানা দিক দিয়ে এখনো অবহেলিত। তারা নিরাপত্তাহীনতা আর অপুষ্টির শিকার- ঘরে-বাইরে, সবখানে। বিজ্ঞান প্রবলভাবে প্রমাণ করে- শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ ক্ষমতা পিতার হাতেই- তবু কন্যাশিশু জন্ম দেয়ার অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে পারছেন না শিক্ষিত-অশিক্ষিত অনেক নারী। ছেলেসন্তান এবং মেয়েসন্তানের পার্থক্য আজ নতুন নয়। যদিও অনেকাংশেই এখন ভেদাভেদের তারতম্য কমেছে। কালের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চিন্তার নতুন রূপ ধারণ করেছে পুরনো অভ্যাসের আড়ালে। এখন একটি কন্যাশিশুর আগমনে পরিবারের মানুষের মুখে ও মনে আনন্দের ব্যাপার কাজ করলেও সঙ্গে জন্ম নেয় অসংখ্য চিন্তা। শিশুর বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বড় হতে থাকে এই চিন্তাগুলো। আকারে ও পরিসরে বড় হওয়ার সঙ্গে এ ব্যাপারগুলো দাগ কাটতে থাকে সেই শিশু সন্তানটির কোমল মনের ওপর এবং এই ব্যাপারগুলো কেবল দাগই কাটে না বরং একটা নির্দিষ্ট জায়গা করে নেয়। যা তাকে ভবিষ্যতে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে পদে পদে বাধার দেয়াল ডিঙাতে হয়। ছোট থেকেই কন্যাশিশুটি বুঝতে পারে, তার জন্য এই পৃথিবীতে প্রত্যেক ক্ষেত্রেই স্থান ভাগ করে দেয়া আছে, হোক তা বাড়ি বা খেলার মাঠ কিংবা পাঠশালা। আর এই প্রতিবন্ধকতাগুলোকে সঙ্গে নিয়ে যখন কন্যাশিশুটি বড় হতে থাকবে, তখন তার মধ্যে গুটিয়ে যাবে তার প্রতিভা, তার মতামত প্রকাশের ভাষা ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতা। শহরে এই বাধাগুলো ধীরে ধীরে কেটে গেলেও গাঁয়ে এই বাধা উপেক্ষা করতে পারছে না কোনো নারী, কন্যাশিশু কিংবা বালিকা। অথচ একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে সর্বশ্রেষ্ঠভাবে গড়ে তুলতে মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা দরকার সবচেয়ে বেশি। অংশীদারিত্বে আধুনিকায়ন এম আর মাসুদ নারীর সরাসরি অংশীদারিত্বে আধুনিকায়নে বিশ্ব আজ অগ্রসর হচ্ছে। অত্যাধুনিকতায় নারীর বিচরণ সবখানে। নেতৃত্ব কর্তৃত্বে নারী তাদের অবস্থানকে করেছে সুদৃঢ়। সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও বিশ্বায়ন পরিমন্ডলে নারীর অবদান যৎসামান্য নয়। তার পরও নারীরা অনেক ক্ষেত্রে এখনও রয়েছে অবহেলা অবজ্ঞায়। ধর্মের খোঁড়া অজুহাত আর ধর্মান্ধ ফতুয়া নারীকে আবদ্ধ করেছে অনেক ক্ষেত্রে। বিশেষ করে আমাদের দেশের গ্রামঞ্চলে এর অপতৎপরতা বেশি। এসবের পরও প্রত্যন্ত গ্রামের নারীরা এগিয়েছে। অংশ নিচ্ছে সব কাজ থেকে শুরু করে নেতৃত্ব পর্যন্ত। গ্রামের নারীরা এখন কোমরে কাপড় বেঁধে ক্ষেত খামারে কাজ করছে পুরুষের সঙ্গে সমানতালে। সে ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে নারীরাই নিষ্ঠার সঙ্গে কাজের পরিচয়ও দিচ্ছে। তবে এসব নারীরা এখনও মজুরি বৈষম্যে শিকার।